সবচেয়ে সহজ শব্দে বলা যায়, রুট হচ্ছে
অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বা প্রশাসক। যদিও
এর বাংলা অর্থ গাছের শিকড়,
লিনাক্সের জগতে রুট বলতে সেই
পারমিশন বা অনুমতিকে বোঝায় যা
ব্যবহারকারীকে সর্বময় ক্ষমতার
অধিকারী করে তোলে । রুট হচ্ছে একটি
পারমিশন বা অনুমতি। এই অনুমতি
থাকলে ব্যবহারকারী সেই ডিভাইসে
যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন। উইন্ডোজ
অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহারকারী
অ্যাডমিনিস্ট্রেটর প্রিভিলেজ ছাড়া
সিস্টেম ফাইলগুলো নিয়ে কাজ করতে
পারেন না (যেগুলো সাধারণত সি
ড্রাইভে থাকে)। লিনাক্সেও তেমনি
রুট পারমিশন প্রাপ্ত ইউজার ছাড়া
সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের
কাজগুলো করা যায় না। যিনি
লিনাক্স-চালিত কম্পিউটার যা ইচ্ছে
তাই করতে পারেন অথবা যার সব কিছু
করার অনুমতি রয়েছে, তাকেই রুট
ইউজার বলা হয়। অনেক সময় একে
সুপারইউজার বলেও সম্বোধন করা হয়ে
থাকে।

রুট করা থাকে না কেন?

ফোন প্রস্তুতকারকরা ইচ্ছে করেই
তাদের ফোনগুলো Lock করে দিয়ে
থাকে। Root ফোল্ডারে থাকা
ফাইলগুলো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ভুলবশত

এর কোন একটি মুছে গেলে আপনার
ডিভাইস কাজ করা বন্ধ করে দিতে
পারে। তাছাড়া ভাইরাস বা
ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম অনেক সময় রুট
করা ডিভাইসের ক্ষতি করতে পারে।
তবে Lock থাকায় ব্যবহারকারী Root
Access পান না, তাই অন্য
প্রোগ্রামগুলোর রুট অ্যাক্সেস পাওয়ার
সম্ভাবনা থাকে না। ফোন Lock করে
বাজারে ছাড়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে
সিস্টেম অ্যাপ্লিকেশন ও ফাইল।
অনেকেই ইন্টারনাল মেমোরি খালি
করার জন্য বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন
এসডি কার্ডে ট্রান্সফার করে থাকেন।
রুট করা থাকলে সিস্টেম
অ্যাপ্লিকেশনগুলোও ট্রান্সফার করে
ফেলা যায়। কিন্তু অপারেটিং
সিস্টেমের কিছু ফাইল রয়েছে যেগুলো
ইন্টারনাল মেমোরির ঠিক যেখানে
আছে সেখানেই থাকা আবশ্যক।
ব্যবহারকারী যখন ডিভাইস রুট করেন,
তখন স্বভাবতই অনেক কিছু জেনে তারপর
রুট করেন। তখন বলে দেয়াই থাকে যে,
কিছু কিছু সিস্টেম অ্যাপস এসডি
কার্ডে ট্রান্সফার করলে সমস্যা হতে
পারে। কিন্তু যদি স্বাভাবিক
অবস্থায়ই সেট রুট করা থাকে, তাহলে
ব্যবহারকারী না জেনেই সেটের ক্ষতি
করতে পারেন।

কেন রুট করবেন?

আপনি তখনি রুট করার চিন্তা করবেন
যখন আপনার মোবাইলে সব ধরনের
সুযোগ ব্যবহার করতে পারছেন না ,

আপনার মোবাইল আপনাকে কোন
সীমার মধ্যে বেধে রেখেছে । যারা
একদমই নতুন এই বিষয় ভালভাবে কিছু
জানেন না তারা তাদের মোবাইল রুট
করার চিন্তা কিছুদিন পর করার
সিদ্ধান্ত নিবেন । তার কারন আপনি
আগে ভাল করে বুঝে নিন কেন আপনি রুট
করবেন , এবং রুট করার পর আসলেই
আপনার উপকার হবে কি না । অনেকে
না বুঝে রুট করে অনেক সমস্যায় পড়তে
হয়েছে । তাই আমি তাদের উদ্দেশ্যে
বলছি সাবধানতার মাধ্যমে আপনি
আপনার মোবাইল রুট করুন ।

রুট করার সুবিধা:
১।পারফরমেন্স বাড়ানো
২।কাস্টম রম ইন্সটল
৩। ব্যাটারি ব্যাকাপ বাড়ানো
৪। Font Change করা
৫।বিভিন্ন অ্যাপ ক্র্যাক
রুট করার অসুবিধা:
১। Warranty হারানো

২। OTA Update না পাওয়া

৩। ফোন ব্রিক করা

Leave a Reply