আমাদের প্রায় প্রতিটি মোবাইল ফোনেই ব্লুটুথ আছে। ব্লুটুথই হচ্ছে, সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত ডাটা ট্রান্সফার প্রযুক্তি।

তাছাড়া আমাদের মোবাইল ফোনের সঙ্গে অন্য কোনো ডিভাইস যুক্ত করতেও আমরা ব্লুটুথের ওপর নির্ভরশীল, সেক্ষেত্রে কিন্তু শেয়ারইটের মতো সাম্প্রতিক সময়ের জনপ্রিয় ডাটা বাহকও অর্থব।

মোবাইল ফোনের মতো ব্লুটুথও কিন্তু আপডেট হয়। আমরা হয়তো সে বিষয়টা তেমন খেয়াল রাখি না। এতোদিন আমরা যেটা ব্যবহার করেছি সেটা ছিল ৪-৪.২। সম্প্রতি ব্লুটুথ তার ভার্সন ৫ বের করেছে। যেটা স্যামসাং তার গ্যালাক্সি ৮ এ ব্যবহার করেছে।

আমরা কিন্তু আসলে বুঝি না যে, ব্লুটুথ আপডেট হলে আমাদের কি সুবিধা। অথচ ব্লুটুথের আপডেট ভার্সনগুলো অনেক নতুন নতুন ফিচার নিয়ে আসে। আমরা তেমন একটা জানি না বলে এর ব্যবহার বুঝি না।

বিশেষ করে যারা ব্লুটুথ প্রযুক্তির সাহায্যে কোনো ডিভাইস ব্যবহার করেন, তাদের জন্য ব্লুটুথের আপডেট বুঝাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেননা নতুন ভার্সনের ব্লুটুথ রেঞ্জ অনেক বাড়াচ্ছে। অর্থাৎ আগে ব্লুটুথের সঙ্গে যুক্ত ডিভাইসটি আপনি যতটা দূরে রেখে ব্যবহার করতে পারতেন, এখন তার চেয়েও দূর রেখে ব্যবহার করতে পারবেন।

তাছাড়া ডাটা লেনদেনও আগের চেয়ে দ্রুত সময়ে হবে।

একটা সময় ছিল, যখন মানুষ ডাটা লেনদেনের জন্য ইনফ্রারেডের ওপর নির্ভর করতো। সেটা ছিল আরো বিরক্তিকর প্রযুক্তি। একটি ডিভাইসের ইনফ্রারেডের সঙ্গে আরেকটির ইনফ্রারেডের সঙ্গে যুক্ত করতে হতো। আবার তা কোনোভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে ডাটা ট্রান্সফারও বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত। এরপরই মূলত ব্লুটুথ প্রযুক্তির আবির্ভাব। যেটা মানুষকে অনেক ঝামেলা থেকে মুক্তি দিয়েছিল। মানুষ দূর থেকেই ছবি কিংবা গান শেয়ার করতে পারতো। এরপর ধীরে ধীরে তারহীন প্রযুক্তির উন্নয়নে ব্লুটুথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

স্যামসাং গ্যালাক্সি ৮ এর ব্লুটুথ ২৬০ ফুট দূরের স্পিকারও বাজাতে সক্ষম। অথচ আগের ভার্সনে মাত্র ৬৬ ফুট দূর থেকে কাজ করা যেত। তবে একটি বিষয় হচ্ছে, এখনই কিন্তু সকল ব্লুটুথ ডিভাইস ব্লুটুথ-৫ সাপোর্ট করছে না। বেশকিছু ব্লুটুথ ডিভাইস ভার্সন ৫ সাপোর্ট করবে ২০১৮ থেকে। তখন আপনি আপনার ফোন তিন তলায় রেখে ব্লুটুথ হেডসেটের সাহায্যে নিচে বসেই কথা বলতে পারবেন।

Leave a Reply