Hi,
I,mxprogrammer

আসা করি সবাই ভালো আছেন!
কারণ ট্রিবিডি এর সাথে থাকে সবাই ভালো থাকে;}
#প্রথমে ধন্যবাদ জানাই Ra
na
& Nasir ভাইকে, আমাকে অথর করার জন্যে!

#এই পোস্টটা আমি ৭ মাস আগে করছি!কিন্তুু পেন্ডিং এ ছিলো!
#আজকে যখন অথর হলাম তো পোস্টটা রিভিউ করে দিলাম!
#তো~~~~~~~

“স্মার্টফোনের অনেকাংশে এর
সেন্সর গুলোর ওপর নির্ভর করে। সেন্সর
বিহীন একটি স্মার্টফোন চিন্তাই করা যায়না।
সেন্সর বিহীন স্মার্টফোনকে খোড়া/ল্যাংরা
বলা যায়। আমার জানা মতে পৃথিবীতে সেন্সর
বিহীন কোন স্মার্টফোন নাই। আসুন দেখি
কত সহজ ভাবে সেন্সরগুলো সম্পর্কে জানা
যায়। স্মার্টফোনে যে সেন্সর গুলো ব্যবহৃত
হয়, সেগুলোর ব্যবহারিক গুরুত্ব বিবেচনা করে
নিচে সাজানো হলো।

১. এক্সিলারমিটার (ACCELEROMETER)

এক্সিলারমিটার একটি হার্ডওয়্যার বেইজড
সেন্সর। মূলত এটি মাইক্রো মেকানিকাল
ডিভাইস, যেটি কোন বস্তুর অবস্থান, গতি
প্রকৃতি, কম্পন, ত্বরণ ইত্যাদি পরিমাপ করতে
ব্যাবহার করা হয়। বিভিন্ন ধরনের
এক্সিলারমিটার রয়েছে, যেমন এক অক্ষ, দ্বি
অক্ষ বা ত্রি অক্ষ বিশিষ্ট এক্সিলারমিটার।
তারমদ্ধে ত্রি অক্ষ বিশিষ্ট এক্সিলারমিটার
সবচেয়ে শক্তিশালী। এটি খুব সহজেই ফোনের
অরিয়েন্টেশন বুঝতে পারে। অর্থাৎ আপনার
ফোনে এক্সিলারমিটার সেন্সর অন করে যদি
আপনি আপনার ফোন কে কাত করে
‘ল্যান্ডস্কেপ’ অথবা ‘পোরট্রেইট’ করে ধরেন,
তাহলে সেটি অনুযায়ী আপনার স্ক্রিনটি
পরিবর্তিত হবে। অনেক সময় আমাদের ফোনের
অরিয়েন্টেশন পরিবর্তন করার দরকার পরে।
যেমন- ওয়েব ব্রাউজিং, ভিডিও দেখা, গেইম
খেলা, বই পড়া বা টেক্সট পাঠানো। এসব
ক্ষেত্রে ‘পোরট্রেইট’ মুড এর চেয়ে
‘ল্যান্ডস্কেপ’ মুড ব্যাবহার করা বেশী
আরামদায়ক। এক্সিলারমিটারের কল্যাণেই আমরা
সহজে মুড সুইচ করতে পারি। এক্সিলারমিটারের
আরও কিছু জনপ্রিয় ব্যাবহার রয়েছে। যেমন
মিউজিক প্লেয়ার কন্ট্রোল করা (সেক টু
চেঞ্জ), গেইমিং এর সময় কি প্রেস না করে শুধু
টিল্ট করে কন্ট্রোল করা, কিংবা বাটন প্রেস
না করে শুধু ফ্লিপ করে রিঙ্গার অফ করা (ফ্লিপ
টু মিউট) ইত্যাদি। মোদ্দা কথা,
এক্সিলারমিটার আমাদের ফোনের অরিয়েন্টেশন
কে বুঝতে পারে এবং সেটি পরিবর্তনের সাথে
সাথে নতুন অরিয়েন্টেশনের সাথে ফোন কে খাপ
খাইয়ে নিতে সাহায্য করে।
কাজঃ Accelerometer এর মূল কাজ হচ্ছে
স্মারটফোনটির অরিয়েন্টেশন কিভাবে পরিবর্তন
করা হচ্ছে, কিভাবে ঘুরানো হচ্ছে, উল্টানো
পাল্টানো হচ্ছে তা বুঝতে পারা।

২. এম্বিয়েন্ট লাইট সেন্সর (AMBIENT
LIGHT SENSOR)

এটিও একটি হার্ডওয়্যার বেইজড সেন্সর।
স্মার্ট ফোনে বা ট্যাবলেট পিসি তে সেন্সরটি
ব্যাবহার করা হয় এর ডিসপ্লে ব্রাইটনেস
অ্যাডজাস্ট করার জন্য। এই সেন্সরটি তৈরি
করতে ব্যাবহার করা হয় বিভিন্ন ফটো সেল,
যেগুলো আলোক কনার প্রতি সংবেদনশীল।
আপনি যে পরিবেশে আছেন, সেন্সরটি সে

পরিবেশের আলোর উপস্থিতি ধরতে পারে।
যেমন, আপনি যখন কোন অন্ধকার রুম বা বদ্ধ
অন্ধকার পরিবেশে যাবেন তখন সেন্সরটি
আপনার ডিসপ্লে ব্রাইটনেস বাড়িয়ে দিবে, যাতে
করে আপনি অনায়াসে ডিসপ্লে দেখতে পান।
আবার, যখন আপনি কোন উজ্জ্বল আলোকময়
পরিবেশে যাবেন, যেমন দিনের বেলায় বা সূর্যের
আলোতে এটি আপনার ডিভাইসের ডিসপ্লে
ব্রাইটনেস কমিয়ে দিবে, কেননা সূর্যের
আলোতে বা দিনের বেলায় আপনি এমনিতেই
ডিসপ্লে ভাল দেখতে পাবেন। এতে করে আপনার
ডিভাইসের ব্যাটারিও সাশ্রয় হবে। যেসব স্মার্ট
ফোনে অটো ব্রাইটনেস অপশন আছে, সেগুলো
সবগুলোই এম্বিয়েন্ট লাইট সেন্সরের মাধ্যমে
কাজ করে।
কাজঃ এর মূল কাজ হচ্ছে স্মার্টফোনের
আশেপাশের পরিবেশের আলো পরিমাপ করা এবং
এর সাথে স্ক্রিনের ব্রাইটনেসের সমন্বয় করা।

৩. প্রক্সিমিটি সেন্সর (PROXIMITY
SENSOR)

প্রিক্সিমিটি সেন্সর স্মার্ট ফোনের জন্য
অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি সেন্সর। এটিও
একটি হার্ডওয়্যার বেইজেড সেন্সর। এটি
আপনার স্মার্ট ফোনের তুলনায় কোন বস্তু
কত দূরে বা কাছে রয়েছে সেটি ডিটেক্ট করতে
সক্ষম। স্মার্ট ফোন থেকে আপনার শরীর
কতদূরে রয়েছে এটি সেন্স করেই প্রক্সিমিটি
সেন্সর বুঝতে পারে আপনি যখন আপনার ফোন
কানের কাছে নিয়ে জান, এবং তখন স্বয়ংক্রিয়
ভাবেই ফোনের ডিসপ্লে লাইট অফ হয়ে যায়,
যাতে করে আপনার ব্যাটারি খরচ কম হয়। শুধু
তাই নয়, এ সেন্সর অ্যাক্টিভ হবার ফলেই
আপনি যখন ফোনে কথা বলেন তখন যদি
আপনার ফোনের স্ক্রিনে অসাবধানতাবশত টাচ
লেগে যায় তাহলে কোন কাজ করবে না। অর্থাৎ,
আপনি যতক্ষণ কথা বলবেন ততক্ষণ এটি
আপনার ফোনকে অপ্রয়োজনীয় কাজ করা থেকে
রক্ষা করবে। আপনি কানের কাছ থেকে ফোনটি
সরিয়ে নিলেই পুনরায় ডিসপ্লে লাইট ফিরে
আসবে।
কাজঃ প্রক্সিমিটি(Proximity) সেন্সর এর মূল
কাজ হচ্ছে দেহ থেকে আপনার স্মার্ট
ডিভাইসটি কত কাছে অবস্থান করছে তা নির্নয়
করা।

৪. কম্পাস/ ম্যাগনেটোমিটার/ ম্যাগনেটিক
সেন্সর (COMPASS/MAGNETOMETER/
MAGNETIC SENSOR)

সহজভাবে বলতে গেলে কম্পাস বা ম্যাগনেটিক
সেন্সর পৃথিবীর মেরুর সাথে সম্পর্কিত।
সেন্সরটিতে একধরনের চুম্বক বা ম্যাগনেট
ব্যাবহার করা হয় যা পৃথিবীর ম্যাগনেটিক ফিল্ড
বা চুম্বক ক্ষেত্রের সাথে ক্রিয়া করে এবং
পৃথিবীর সেই দিক কে নির্দেশ করে। মূলত
ন্যাভিগেশন এর ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা হলেও
আজকাল স্মার্ট ফোনে বেশ ভাল ভাবেই
ম্যাগনেটিক সেন্সর ব্যাবহার করা হচ্ছে। তবে,
স্বল্প দামি স্মার্ট ফোন গুলোতে এই
সেন্সরটির ব্যাবহার খুব বেশী লক্ষ করা যায় না।
যেসব ফোনে ন্যাভিগেশন ফিচারটি রয়েছে, কেবল
সেসব ফোনেই এই সেন্সরটির উপস্থিতি লক্ষ
করা যায়। মোট কথা, পৃথিবীর বিভিন্ন মেরুর
সাথে তুলনা করে আপনার অবস্থান কোথায়,
এটি দেখানই ম্যাগনেটিক সেন্সর এর কাজ।
কাজঃ এর কাজ হলো দিক নির্নয় করা।

৫. জায়রোস্কোপ (Gyros or
Gyroscope)

জায়রোস্কোপ হলো কৌনিক অক্ষে নড়াচড়া
বুঝতে পারে এমন একটি সেন্সর।
এক্সেলেরমিটারের কিছু সীমাবদ্ধতা দূর করার
জন্য ব্যবহৃত হয়। এক্সেলেরমিটার ছয়টি অক্ষে
অর্থাৎ ডানে বামে সামনে পিছনে উপরে নিচে

পজিশন নির্নয় করতে পারলেও কৌনিক অক্ষ
নিরুপন করতে ব্যর্থ। অর্থাৎ আপনি একটি
স্মার্টফোনকে ডানে একটু কোনাকোনি করে
কাত করলেন, এই ক্ষেত্রে এক্সেলেরমিটার
স্মার্টফোনটি ডানে কাত হয়েছে এইটুকু বুঝতে
পারবে, কিন্তু সাথে যদি জায়রোস্কোপ থাকে
তাহলে স্মার্টফোনটি ঠিকই বুঝতে পারবে
আপনি একে একটু কোনাকোনি করে ডানে কাত
করেছেন। এর চেয়ে সহজ করে আর বোঝাতে
পারবোনা।
কাজঃ জায়রোস্কোপ ছয়টি অক্ষে কৌনিক যে
কোন ধরনের নড়াচড়া নির্নয় করতে সক্ষম।
এটি একটি micro electrical &
mechanical system.

6)GPS(Global positioning system)
জিপিএস এর পুরো রুপ হলো Global
Positioning System.

পুরো নামটা দেখলেই
বোঝা যায় এর ধারনাটা কত ব্যাপক। তবে আমি
ব্যাপক ব্যাখ্যায় যাবনা। ধরুন, আপনি আছেন
মিরপুরে, বন্ধু বান্ধব নিয়ে যাবেন পুরান ঢাকায়
নান্না মিয়ার মোরগ পোলাও খেতে, কিন্তু
নান্না মিয়ার মোরগ পোলাও খেতে যাওয়ার
রাস্তাঘাট চেনেন না। এবার কানার লাঠির মত
ম্যাপ ওপেন করে জিপিএস নেভিগেশন এর
মাধ্যমে নিশ্চিন্তে মোরগ পোলাও খেতে যেতে
পারেন।
কাজঃ আপনার স্মার্টফোনে যদি জিপিএস থাকে
তাহলে সে দেখিয়ে দিবে আপনি পৃথিবীর কোন
জায়গায় স্মার্টফোনটি নিয়ে অবস্থান করছেন।
জিপিএস(GPS) হলো স্যাটেলাইট এর
সহযোগিতায় পৃথিবী ও এর আশে পাশে চষে
বেড়ানোর প্রযুক্তি, এটি USA শুধু তার
মিলিটারি এর ব্যাবহারের জন্য স্থাপন করে ৬০
এর দশকে। পরে ৮০ দশকে সীমিত পরিসরে
সর্বসাধারনের ব্যবহারের জন্য খুলে দেয়া হয়।
জিপিএস(GPS) নেভিগেশন এর জন্য ২৪ টি
স্যাটালাইট প্রতিনিয়ত পৃথিবীর উপর চোখ
রাখছে।

7. বি,এস,আই(BSI)
BSI এর পুরো রুপ back side illumination
বা back illuminated sensor.

এর নাম
থেকেই বোঝা যায় কিছু একটা আলকিত করার
জন্য এই সেন্সরের আগমন। BSI সেন্সর
ডিজিটাল ক্যামেরায় ব্যবহার করা হয়, যেটা
ডিজিটাল ক্যামেরার লেন্সে বেশি আলো ধরতে
সাহায্য করে, যার ফলে অল্প আলোতে ভালো
ছবি তোলা যায়। এই সেন্সরটি সিকিউরিটি
ক্যামেরা ও জ্যোতিরবিদ্যায় ব্যবহৃত ক্যামেরায়
ব্যাবহারের জন্য আবিষ্কৃত হয়। জাপানের সনি
২০০৯ সালে প্রথম তাদের ক্যামেরায় এই সেন্সর
ব্যাবহার করে। আজকাল ভালো মানের
স্মার্টফোনের ক্যামেরায় এই সেন্সর ব্যবহার
করা হচ্ছে।
কাজঃ লেন্সে বেশি আলো ধরতে সহায়তা করে,
যাতে করে অল্প আলোতে dead pixel এর
সংখ্যা কমিয়ে আরও ভালো মানের ছবি উপহার
দিতে পারে।”

#আসা করি পোস্টটি সবার ভালো লেগেছে:
সবাই ভালো থাকুন & ট্রিকবিডি এর সাথেই থাকুন

23 thoughts on "জেনে নিন স্মার্টফোনের বিভিন্ন সেন্সর এবং এর কাজ সম্বন্ধে!by ♠Exprogrammer♠"

  1. Alif Author says:
    onk kichu janlam…. thanks bro
  2. @$hπ@fuL Contributor says:
    Bro copy post kora lav ki.
    Html glo valo den.
    1. Ex Programmer Contributor Post Creator says:
      ভাইয়া আমি এটা কপি করিনায়!এটা আটও ৭ মাস আগে লেখা।যদি আপনি প্রমান দেখাতে পারেন তাহলে আমি পোস্ট ডিলেট করে দিব!এবং আমিতো মোবাইল আবিস্কার করেনি………
    2. Ex Programmer Contributor Post Creator says:
      এই পোস্টটা আমি একটা ইংলিশ সাইটে পেয়েছিলাম!সেখান থেকে সংখেপে কিছু অংশ বাংলায় লিখে ট্রিকবিডিতে উপস্থাপন করেছি & আপনার মতামতের জন্যে ধন্যবাদ!
    3. @$hπ@fuL Contributor says:
      Hmm gd
    4. Ex Programmer Contributor Post Creator says:
      ভুল বুঝার জন্যে ধন্যবাদ ভাইয়া!
  3. Trickbd lover Muzahid Author says:
    ভাইয়া, আমি জানি আপনি এই পোস্ট নিজেই লিখেছেন। বাট এমন করে লিখেছেন যে কপি করা মনে হচ্ছে। আমি জানি আমার কথায় কস্ট পেলেন। কিন্তু তবুও বলছি পোস্টটা ডিলিট হয়ে যাবে
    1. Ex Programmer Contributor Post Creator says:
      ভাইয়া আমি এটা কপি করিনায়!এটা আটও ৭ মাস আগে লেখা।যদি আপনি প্রমান দেখাতে পারেন তাহলে আমি পোস্ট ডিলেট করে দিব!এবং আমিতো মোবাইল আবিস্কার করেনি………
    2. Ex Programmer Contributor Post Creator says:
      এই পোস্টটা আমি একটা ইংলিশ সাইটে পেয়েছিলাম!সেখান থেকে সংখেপে কিছু অংশ বাংলায় লিখে ট্রিকবিডিতে উপস্থাপন করেছি & আপনার মতামতের জন্যে ধন্যবাদ!
  4. SK SHARIF Author says:
    ফেবুতে আসেন প্লিজ fb/omar.sharif.00
    1. Ex Programmer Contributor Post Creator says:
      facebook a asbo na pleaseeeee!twitter account aca apner????
  5. SK SHARIF Author says:
    আছে কিন্ত চালাইনা ত
    1. Ex Programmer Contributor Post Creator says:
    2. SK SHARIF Author says:
      ফেবুতে আসবেন?
    3. Ex Programmer Contributor Post Creator says:
      না ভাইয়া!আমি পোস্টের শুরুতে{ I,m Exprogrammer }লিখি!আপনার কাছে কেমন লাগে লেখাটি ভাইয়া!
    4. SK SHARIF Author says:
      ভাল,,,কিন্ত,, আন্ডারলাইন আর বল্ড ও ইটালিক বাদ দেন
  6. Md.Al-amin Author says:
    লেখার কোড ঠিক করেন
  7. AH.Rana Contributor says:
    Underline diye post nosto kore disen post read korte icce kortece na
    1. Ex Programmer Contributor Post Creator says:
      ওয়েট ঠিক করে দিতেছি!
  8. Rana Subscriber says:
    Facebook Pack dia gp free net ki lifetime calano jabe??
    1. Ex Programmer Contributor Post Creator says:
      মনে হয়।তবে শীঘ্র অফ হবে না!
    1. Ex Programmer Contributor Post Creator says:
      ধন্যবাদ ভাইয়া।

Leave a Reply