সরাসরি কাজের কথায় যাই → বিষয়
০১:- ট্যাগ কী ? ট্যাগ হলো আপনার
সুন্দর টাইম লাইনে আপনার অনুমতি
ছাড়াই আমার ছবি দেওয়া।
★আপনি চাইলে এটা বন্ধ করতে
পারেন এতে আপনার অনুমতি ছাড়া
কেউ আর আপনাকে ট্যাগ এ অ্যাড
করতে পারেবে না।
এর জন্য যা করতে হবে নিছে দেয়া
হল।
→ প্রথমে Setting and privacy ট্যাব এর
Timeline and Tagging এ ক্লিক করুন।
এরপর Review posts friends tag you in before
they appear on your timeline? > On এ ক্লিক
করুন । ব্যাস কাজ ওকে। এর পর কেউ এর
ট্যাগ করতে পারবেনা আপনার
অনুমতি ছাড়া।…… বিষয়ে নং০২:-
আটো লাইক কী? ★ আমাকে কেউ কি
বলবেন যে আপনি অটো লাইক নিয়ে
কি করবেন? খাবেন নাকি মাথায়
দিবেন? সবার উত্তর হবে
সেলিব্রেটি হওয়ার জন্য অটো লাইক
নিবেন।
এই যে ভাই সেলিব্রেটি মনে কি?
সেলিব্রেটি মানে কি আপনি
একখান আউফাউ স্ট্যাটাস দিলেন,
কয়েক হাজার অটো লাইক পাইলেন,
আর আপনারে মানুষ সেলিব্রেটি
বলবে? মানুষকে গালি দিতে
চাইনা। তবুও বলি এই অটো লাইকে
যারা আপনারে সেলিব্রেটি বলবে
তাঁরা আসলেই আস্ত বড় আবাল।
আবাল শব্দ ছাড়া অন্য কিছুও বলা
যেতে পারে।
আচ্ছা যাই হোক সময় কম সব কথাই অল্প
অল্প করে বলি।
এবার আসি ফেসবুকে আটোলাইক যে
ভাবে কাজ করে।
★ অটো লাইক নিতে হলে প্রথমেই
এক্সেস টোকেন সাবমিট করতে হয়।
এটাই হচ্ছে অটো লাইকের মূল কাজ।
প্রতিটি অটো লাইকের সাইটেই
একটি করে ডেটাবেজ থাকে। আপনি
যখন প্রথমবার এক্সেস টোকেন সাবমিট
করেন তখনই তাদের MySQL
ডেটাবেজে আপনার টোকেন সেভ
হয়ে যায় এবং ওই ডেটাবেজে আগে

সেভ থাকা এক্সেস টোকেন থেকে
আপনার স্ট্যাটাসে লাইক আসে।তার
মানে সেভ করা টোকেন থেকেই
অটো লাইক যায়।অটোলাইক হচ্ছে
অনেকটা লাইক এক্সচেন্জে এর মত।
আপনি অটো লাইক নিলে আপনার
আইডি থেকেও অটো লাইক যাবে
(বিশ্বাস না হলে Activity Log দেখুন)
ধরুন একটা অটো লাইক সাইটে ৫০০ জন
ইউজার আছে।
তাহলে সেই সাইটের MySQL
ডেটাবেজে সেভ করা এক্সেস
টোকেনের সংখ্যা ৫০০।
আপনি ওই সাইট থেকে কখনোই ৫০০ এর
বেশী লাইক পাবেন না। তবে অনেক
ভুয়া সাইট আছে যেখান থেকে অটো
লাইক নিতে গেলে আপনি লাইক
তো পাবেন ই না উল্টো আপনার সেভ
করা টোকেন দিয়ে স্প্যামিং
করবে। কাজেই সব সাইট থেকেই অটো
লাইক নিতে যাবেন না। আরেকটা
কথা অটো লাইক নিতে হলে
আপনাকে কখনোই কোন সাইটে
ফেসবুকের ইউজারনেম এবং
পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করতে হয় না।
অনেকে ফিশিং সাইট বানিয়ে
রাখে যেখানে আপনাকে
ফেসবুকের ইউজারনেম এবং
পাসওয়ার্ড দিতে বলে।ভুলেও এটা
করবেন না। আর দিনে ৫ বারের কম
অটো লাইক ব্যাবহার করবেন।বেশী
অটো লাইক ব্যবহার করলে ফেসবুক
মাঝে মাঝে ওয়ার্নিং দেয়। আশা
করি বুঝতে পেরেছেন অটো লাইক
কিভাবে কাজ করে?? ★ এখন দেখে
নিন কিভাবে অটো লাইক নিবেন
তার আগে বলি খারাপরদিকের কথা।
আসলে সব কিছুর খারাপ দিকের আগে
ভালো দিকটা বলা উচিত। কিন্তু
ইহার আমি ভালো দিক আমি খুজেই
পাইলাম না। একটা ভালো দিক
আছে অবশ্য। আর সেটা হল কিছু আবাল
আপনাকে ফেসবুক চেলিব্রেটি বলে
ডাকবে। আর বাকি সবই খারাপ দিক।
মানুষ যেদিকে নজরবেশী দেয়
হ্যাকাররা বা অন্য কোন গোষ্ঠী
সেটাকে কাজে লাগিয়ে থাকে।
হাজার হাজার ফেসবুক অটো লাইক
সাইটের ভিড়ে আসল অটো লাইক
সাইট আসলেই হাতে গোনা। যেহেতু
আপনি চোখ বন্ধ করেই অটো লাইকে
যেয়ে পাগলামি শুরু করবেন। সেহেতু
অনেকেই সেই সুযোগটাকে কাজে
লাগিয়ে হ্যাকিং বা অন্য কিছুতে
নেমে পড়েছে। আপনি পাগলের মত
মাতাল হয়ে সুন্দর বিউটি পার্লারের
মত কোন অটো লাইক সাইটে গেলেন।
আপনাকে ফেসবুকে লগিন করে
এক্সেস টোকেন গ্রহনের জন্য আদেশ
দেয়া হল।
আর আপনি সেটাই করলেন।
তারপর দেখলেন নাহ! এই সাইটে হল
না !!!!! আরেকটা কোন ভাল সাইটে
যাই। আর এভাবেই আপনি আপনার
সর্বনাশ ডেকে আনেন নিজে নিজে।
ভাই শুনেন, আপনারা আমাকে
অনেকেই জিজ্ঞাস করেন ফেসবুক
আইডি টেকে না কেন? ভাই ক্যামনে
টিকবে এবার আপনিই বলুন তো?
ফেসবুকে আইডি ব্যান হয় শুধু মাত্র
একটা কারণে। জানতে চান কি সেই
কারণ? ★ফেসবুক নীতিমালা!!!!!
ফেসবুকের নীতিমালা ভাঙবেন
তো আপনাকে ঘাড় ধরে বের করে
দিবে। অনেকের সেই অভিজ্ঞতা
রয়েছে। ফেসবুক এর প্রধান উদ্দ্যেশ্য হল
ফ্রেন্ডস এন্ড ফেমিলির সাথে
কানেকটেড থাকা। আর আমরা
বাঙালিরা নয়া নিয়ম বানাইছি
যে, প্রথমে ৫০০০ ফ্রেন্ড বানাও
তারপর অটো লাইক ইউজ করো+লাখ
লাখ অটো ফলোয়ার বানাও।
বাহ,আমাদের আইডি ব্যান হবেনা
ক্যান বলুন?? আর আরেকটা কথা বলতে
ভুলেগেছি, আপনি অটো লাইক
সাইটে যে ফেসবুকের এক্সেস
টোকেন দান করেআসেন সেটা
পাসওয়ার্ড না হলেও অনেকটা
চোরকে বকরি দিয়ে আসার মত
কাহিনী।
অর্থাৎ আপনি হ্যাকারকে পাসওয়ার্ড
দিয়ে আসলেন।
ধন্যবাদ সবাইকে, কষ্ট করে পড়ার জন্য।
ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন

Leave a Reply