সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের নানা নেতিবাচক দিক নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। ফেসবুক আসক্তির কারণে বিষাদগ্রস্ততা, দাম্পত্য কলহ, বিবাহ বিচ্ছেদ, সামাজিক বিচ্ছিন্নতাসহ নানা সমস্যার কথা এতোদিন শুনা গেছে। কিন্তু সর্বশেষ এক মনোবৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, এর ভালো দিকও আছে। যুক্তরাজ্যের বাকিংহামশায়ার নিউ ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ২৩ থেকে ৬৮ বছর বয়সী ২০ জন ফেসবুক ব্যবহারকারীর ওপর জরিপ চালিয়ে এমন ফলাফল পেয়েছেন।।এতে দেখা গেছে হতাশা, উদ্বিগ্নতা, বায়পোলার ডিজর্ডার (চোখের সমস্যা), সিজোফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ফেসবুক ব্যবহারে মানসিক উন্নতি ঘটে। গবেষক দলের প্রধান কেলিন হাওয়ার্ড বলেন, মানসিক রোগ প্রতিরোধে ফেসবুকের যেমন অবদান রয়েছে, তেমনি ফেসবুক ব্যবহারে মানসিক রোগের মাত্রা আরো বেড়েও যেতে পারে। এটা নির্ভর করে আপনি কীভাবে এটি ব্যবহার করছেন। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের অনেকে বলেছেন, ফেসবুকে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে, নিজের কথাগুলো অন্যকে জানাতে পেরে, ছবি কিংবা স্ট্যাটাসে কারো লাইক, কমেন্টস পেয়ে তাদের মানসিক অবস্থার উন্নতি ঘটেছে। তবে, মানসিক রোগের কারণে যাদের মনোবৈকল্য ঘটেছে তারা ফেসবুককে সমস্যা হিসেবে দেখেছেন।যারা সিজোফ্রেনিয়ায় (অযথা আতঙ্কগ্রস্ত হওয়া) আক্রান্ত তাদের অনেকে মনে করেন, অসুস্থ অবস্থায় ফেসবুক ব্যবহার করা ক্ষতিকর। তবে ফেসবুক ব্যবহারের মাধ্যমে অবসর সময় কাটিয়ে, মানসিক রোগ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা নিয়ে রোগী সুবিধা পেতে পারে। কেলিন হাওয়ার্ড মনে করেন, ফেসবুক ব্যবহারের সময় মাথা খাটাতে হয় বলে এটা রোগীর বুদ্ধিবৃত্তিকে জাগ্রত করে।

Leave a Reply