প্রায়ই শোনা যায় ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড হ্যাক হয়ে গেছে। এক্যাউন্ট থেকে টাকা কমে গেছে ইত্যাদি। অনেকে বুঝতে পারে আবার অনেক বুঝতে পারে না।

উন্নত দেশগুলোতে বরাবরই সাইবার ক্রিমিনালদের দৌরত্ব একটু বেশিই ছিল। সেখানে সাইবার ক্রিমিনালরা বিগত কয়েক বছর আরাম আয়েশে দিন কাটিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে উন্নত দেশগুলোও সাইবার অপরাধের বিষয়ে একটু নড়ে চড়ে বসেছে। এবং তাদের নেটওয়ার্ক সিকিউরিটিকে যথেষ্ট জোরদার করেছে এবং আইন তৈরি করে তার সৎ ব্যবহার করছে।
যেভাবে একজন ক্রিমিনাল ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড হ্যাকিং করে
স্ক্রিমিং পদ্ধতি: কার্ডে সংরক্ষিত তথ্য চুরি করা যায়।
ক্লোনিং পদ্ধতি: একই রকমের আরেকটি কার্ড তৈরি করা যায় ক্লোন করে।
আমরা যে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যাবহার করি তা দুই ধরনের হয়ে থাকে। যেমন-
ম্যাগনেটিক: এক্ষেত্রে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের পিছনে একটা ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ থাকে কালো বা খয়েরি রঙের। সেখানে কার্ডের নম্বর থেকে শুরু করে আপনার যাবতীয় তথ্য রেকর্ড করা থাকে।
মাইক্রো চিপ : এক্ষেত্রে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের পিছনে একটা মাইক্র-চিপ বসানে থাকে ঠিক আপনার মোবাইলের সিমের কার্ডের মত। ব্যাবহার কারীর যাবতীয় তথ্য এই চিপের মধ্যে সংরক্ষন করা থেকে।
হ্যাকিং করার পদ্ধতি

কার্ডের তথ্য সংগ্রহের জন্য স্ক্রিম্মিং ডিভাইস ব্যবহার করা হয়। স্ক্রিমিং ডিভাইস বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। স্ক্রিমিং ডিভাইস প্রথমে দেখলে আপনার কাছে মনে হতে পারে তা একধরনের ডিজাইন অথবা অতিরিক্ত কাভার। আমরা যেমন আমাদের স্মার্টফোনের সুরক্ষার জন্য কাভার ব্যবহার করি ঠিক তেমন।

:-P:-P
আপনি যখনি এরকম কাভারযুক্ত কোন বুট বা পাঞ্চিং মেশিনে আপনার কার্ড পাঞ্চ করবেন তখনি আপনার তথ্যগুলো স্ক্রিমিং ডিভাইসের মধ্যে রেকর্ড হয়ে যাবে। আর পাসওয়ার্ড সংরক্ষনের জন্য ছোট্ট ক্যামেরা স্থাপন করা হয় এবং ভিডিও দেখে সনাক্ত করা হয় ভিক্টিমের পাসওয়ার্ড।
এছাড়াও পাসওয়ার্ড সংরক্ষনের জন্য কোনো কোনো ক্ষেত্রে কি-লগার ব্যবহার করা হয়। সুতরাং আপনি বুঝতেই পারতেছেন আপনার ব্যাংক এক্যাউন্ট ও গচ্ছিত টাকা ঝুকির মধ্যে আছে। এখন আপনার করণীয় কী?
যা করতে পারেন

😛
১। এটিএম বুথে থেকে টাকা তোলার আগে দেখে নেয়া উচিত, কার্ড ঢোকানোর জায়গাটা কি আলগা বা একটু ব্যতিক্রম কি না। সেটা কি অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে, না কি এটা ওপর কিছু একটা লাগানো হয়েছে? দরকার হলে হালকা টান দিয়ে দেখেন ঐটা আলগা কি না।
২। পিন কোড টাইপ করার সময়ে কী-বোর্ডটা আলগা নাকি দেখে নিন।
৩। পিন কোড টাইপ করার সময়ে কোন কী চাপছেন সেটা অন্য হাত দিয়ে ঢেকে নিন।
৪। রেস্টুরেন্টে বা কোথাও কেনাকাটার সময় অন্যের হাতে নিশ্চিন্তে কার্ড দিয়ে নিজেকে বাহাদুর ভাববেন না। একটু কষ্ট করে কাউন্টারে গিয়ে সামনে উপস্থিত থাকা অবস্থায় বিল পরিশোধ করুন। রেস্টুরেন্ট যত নামিদামিই বা পরিচিত হোক না কেন, বিশ্বাস করবেন না।
##

সূত্র: সিসিএ ফোরাম

ME…

5 thoughts on "[MEGA POST] যেভাবে হ্যাক হতে পারে আপনার ব্যাংক একাউন্ট অথবা ক্রেডিট কার্ড।By-Shohagh"

  1. Sami Contributor says:
    Tor author id koita
  2. #Rasel Contributor says:
    ei copy buzz abar aslo
    kota theke
    1. Shohagh Contributor Post Creator says:
      Tor bon er…..
  3. SHOHUG Contributor says:
    Rana ভাই আমার post গুলা একবার হলেও একটু দেখেন Please
  4. shimol Contributor says:
    tnq.tips deoyar jono.

Leave a Reply