কুরআন পড়ার সময় যেকোন ভাষায় যদি তেলাওয়াতে সেজদা পড়া হয় তবে যে পড়ে ও যে শোনে উভয়কে একেকবার পড়া বা শুনার জন্য একেকটা সেজদা দেয়া ওয়াজিব হয়ে যায় |

কুরআনে মোট ১৪ টি সেজদার আয়াত আছে |

* নিয়মঃ আয়াত পড়া বা শুনা মাত্র অযু করে পশ্চিম দিকে ফিরে দাড়িয়ে তাকবিরে তাহরীমা বলতে হয় তার পর আল্লাহু আকবার বলে সেজদাতে গিয়ে ৩ তাসবিহ পড়বেন তারপর সোজা ঊঠে দাড়িয়ে শেষ

* ব্যতিক্রমঃ যদি একসাথে কয়েকটি তেলাওয়াতে সেজদা পড়া হয় তবে এক তাকবীরে আলাদা সেজদা দিবে.
# তেলাওয়াতে সিজদার ১৪ টি আয়াত (সুরা ও আয়াত ও পারা নাম্বার সহ) দেয়া হলোঃ

সূরা আরাফ ২০৬ {পারা ৯}

সূরা রাদ ১৫ {পারা ১৩}

সুরা নাহল ৫০ {পারা ১৪}

সুরা বণী-

ইসরাঈল ১০৯ {পারা ১৫}

সুরা মারইয়াম ৫৮ {পারা ১৬}

সুরা হজ্জ ১৮ (ইমাম শাফেয়ীর মতে ৭৭) {পারা ১৭}

সুরা ফুরকান ৬০ {পারা ১৯}

সুরা নামল ২৬ {পারা ১৯}

সুরা সাজদাহ ১৫ {পারা ২১}

সুরা সোয়াদ ২৪ {পারা ২৩}

সুরা হা মীম
সেজদাহ ৩৮ {পারা ২৪}

সুরা নাজম ৬২ {পারা ২৭}

সুরা ইনশিকাক ২১ {পারা ৩০}

সূরা আলাক্ব ১৯ {পারা ৩০}
……. ……………… ……..

কিছু এলাকাতে দেখা যায় আজান দেয়ার মাইকে কুরআন তেলাওয়াত করে থাকেন | এটা মোটেও উচিৎ কাজ নয় | একটা কারণ হলো তেলাওয়াতে সিজদার আয়াত, আরেকটা কারণ যখন মাইকে কুরআন তেলাওয়াত করা হয় তখন অনেক মানুষ কাজে ব্যাস্ত থাকতে পারে , আর কুরআন তেলাওয়াতের সময় চুপ করে তা শুনা ওয়াজিব,কারো মতে ফরজ (সুরা আরাফ ২০৮) | সবাই কাজ বাকি রেখে আপনার তেলাওয়াত শুনবে এটা সম্ভব না | আপনার জন্য কেন পুরো এলাকাবাসীকে গুনাহগার করবেন? আর সেজদার এই ১৪ আয়াতের ১ টি শুনলে সেজদা দেওয়া ওয়াজিব।

Leave a Reply