অনেকে মা এর বিষয়ে / মা কে নিয়ে দেখা যায় আস্তিক-নাস্তিক দেখেনা,, শিয়াল পণ্ডিতের পাঠশালা থেকে লেখা পেলেও তা প্রচার করছে , টাইটেল “মা কে নিয়ে সেরা উক্তি”। দেখে খারাপ লাগলো দুটো কারণে = ১, মা কে নিয়ে সেরা উক্তি ইসলাম নামক ধর্মের চেয়ে সেরা আর কেউ করতে পারেনি, পারবেও না। ২, যারা উক্তি গুলো করেছে তাদের নাম বলছিনা, কিন্তু তারা যা করেছে তাদের উক্তি গুলো ফেক ফেক লাগে, কারণ হলো – তাদের কাছে কি মা, কি বাবা কি বোন তারা চেনেনা, পশ্চিমা জাতি বললেই মনে হয় বুঝবেন আমার এই আক্ষেপের কারণ। যাহোক আমি ইসলামের কিছু উক্তি তুলে ধরছি।


* * হাদিস শরীফে মায়ের কোল শব্দটি যেভাবে উল্লেখ আছে, বাবার কোল শব্দটি ওভাবে উল্লেখ নেই। মা হচ্ছে সন্তানের আদর্শ বিদ্যা নিকেতন। মায়ের আদর অতুলনীয়। মা হতে গিয়ে যে মারা যায় ইসলামে তাকে শহীদের মর্যাদা দিয়েছে।
* * আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘তোমাদের প্রভু তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন তোমরা একমাত্র তারই ইবাদত করবে এবং মাতা-পিতার প্রতি সদাচরণ করবে। তাদের একজন বা উভয়ে যদি বার্ধক্যে উপনীত হয় তবে তুমি তাদের প্রতি বিরক্ত হয়ে উহ্ শব্দটি বলো না এবং তুমি তাদেরকে পরিত্যাগ করো না। আর তুমি তাদের সঙ্গে নম্র ও বিনয়ী হয়ে কথা বলো।’। ——- চিন্তা করুন ,আল্লাহ্‌র ইবাদতের পরেই মা ও বাবার সেবার স্থান।
* * বুখারি শরিফে এসেছে, এক সাহাবী ইসলামের জন্য যুদ্ধে যেতে চাইলে নবী (সা.) তাকে জিজ্ঞাসা করেন তার মা আছেন কিনা? আছে জেনে তাকে তার মায়ের সেবা করতে নির্দেশ দেন,।
* * বুখারি শরিফের আরেকটি হাদিসে এক সাহাবী নবী (সা.) কে বলেন, হে আল্লাহর রাসুল আমার ওপর কার মর্যাদা ও অধিকার বেশি। নবী (সা.) বলেন তোমার মায়ের। এরপর? তিনি বললেন, তোমার মায়ের, প্রশ্ন করা হল অতঃপর? তিনি বললেন, তোমার মায়ের। জিজ্ঞাসা করা হল এরপর? নবী (সা.) বললেন, তোমার বাবার। অতঃপর সর্বাধিক ঘনিষ্ঠজনদের। এ হাদিসে গর্ভধারণ, দুধ পান ও লালন-পালনের কষ্ট সহ্যের জন্য মায়ের মর্যাদা ৩ গুণ বেশি বলে নবী (সা.) মায়ের কথা ৩ বার বলেছেন।
* * এক সাহাবী তার মাকে কাঁধে নিয়ে কাবা প্রদক্ষিণ করে, ইবনে ওমরকে জিজ্ঞাসা করল মায়ের হক কি আদায় হল? তিনি বললেন, মায়ের ফোটা দুধের ঋণও শোধ হয়নি।
* * ইসলাম বলেছে, মায়ের প্রতি ভক্তিদৃষ্টি হতে পুণ্য হতে পারে না। প্রতিবার মায়ের দিকে যত্নের দৃষ্টিতে তাকানোর জন্য একটি কবুল হজ্জের সাওয়াব লিখে দেয়া হয়।
* * নবী (সা.) এর এক সাহাবি মায়ের ওপর স্ত্রীকে প্রাধান্য দেওয়ার কারণে তার মৃত্যুক্ষণে মুখে কালিমা বের হচ্ছিল না। অতঃপর মা তাকে মাফ করে দিলে তার মুখে কালিমা উচ্চারিত হয়।
* * নবী করিম (সা.) ঘোষণা করেছেন, ‘বেহেশত মায়ের পায়ের তলে অবস্থিত।’ অর্থাৎ মাকে যথাযোগ্য সম্মান দিলে, তার উপযুক্ত খিদমত করলে এবং তার হক আদায় করলে সন্তান বেহেশত লাভ করতে পারে। অন্য কথায়, সন্তানদের বেহেশত লাভ মায়ের খেদমতের ওপর নির্ভরশীল। মায়ের খেদমত না করলে কিংবা মায়ের প্রতি কোনোরূপ খারাপ ব্যবহার করলে, মাকে কষ্ট ও দুঃখ দিলে সন্তান যত ইবাদত-বন্দেগি আর নেক কাজই করুক না কেন, তার পক্ষে বেহেশত লাভ করা সম্ভবপর হবে না।
ma
কিসের মা দিবস? মা বছর হওয়া চাই। কথা বুঝছেন কি?

আসুন, মা কে ভুলে না যাই। আমার মতে, যে মানুষ তার মা এর ভুল ধরে, মা এর সাথে বেআদবী করে, সেই বান্দার আম্মা যদি নবীর কোন স্ত্রী ও হতেন, তার সাথেও বেআদবী করতেন তার ও ভুল ধরতেন। কথা টা মাথায় রেখে চলুন।





18 thoughts on "মা কে নিয়ে সেরা উক্তি (কালামুল্লাহ ও কালামুর রাসুল সঃ)"

    1. Md Khalid Author Post Creator says:
      Thank u vaia
  1. Rubel Author says:
    আলহামদুলিল্লাহ খুবই ভালো post
    1. Md Khalid Author Post Creator says:
      thank you, @ Rubel
    1. Md Khalid Author Post Creator says:
      amin
  2. MH REMON Contributor says:
    আমি খুব হতভাগা আমার মা নেই।
    1. Md Khalid Author Post Creator says:
      dukkho korben na, Allah apnar valo korun ,
  3. King Sam Contributor says:
    Nice Via Super Hoysa….
    1. Md Khalid Author Post Creator says:
      thank you, kobe je bumper hobe . sei ashay achi………
    1. Md Khalid Author Post Creator says:
      ya, rag kore likhlam……. thank you
  4. Reja BD Author says:
    অনেক সুন্দর পোষ্ট।
    1. Md Khalid Author Post Creator says:
      onek din por…………. Thanks for comment, @ reja bd
    2. Reja BD Author says:
      একটা ট্রেইনার এর কারণে ট্রিকবিডিতে কমেন্ট করতামনা।

      কমেন্ট করলেই শে আমার বিরুদ্ধে পোস্ট করে দেয়।

    1. Md Khalid Author Post Creator says:
      valo/
      ………..

Leave a Reply