“রমজ” শব্দ থেকে এসেছে “রমজান।” “রমজ”-এর অর্থ জ্বালিয়ে দেয়া, দগ্ধ করা। রোজা মনের কলুষ-কালিমা পুড়িয়ে নষ্ট করে দিয়ে মনকে নির্মল ও পবিত্র করে।পাপরাশিকে দগ্ধ করে মানুষকে করে তোলে পুণ্যবান।
আগামী ২৭ মে শনিবার সন্ধ্যায় চলতি বছরের পবিত্র মাহে রমজান মাসের চাঁদ দেখা যেতে পারে। সে অনুযায়ী শনিবার রাতে সেহরি খাওয়ার মাধ্যমে রোববার পবিত্র রমজান শুরু হবে সৌদি আরবে।
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যর দেশগুলোতে শুরুর পরদিন থেকে বাংলাদেশে রোজা শুরু হয়। সে ক্ষেত্রে ২৮ মে থেকে বাংলাদেশে পবিত্র মাসটি পালিত হতে পারে।
রমজান মাস নিঃসন্দেহে অন্য মাসসমূহ থেকে গুরুত্বপূর্ণ।কারণ এ মাসে কোরআন নাযেল হয়েছে।
হাদীস শরীফ থেকে আমরা জানাতে পারি যে,শুধুমাত্র কোরআন মজিদই এ পবিত্র রমজান মাসে নাযেল হয়নি, অন্য বহু ঐশীবাণীও এমাসেই নাযেল হয়েছে।
কোরআন শরীফে সূরা বাকারাতে ১৮৩নং আয়াতে বলা হচ্ছে : হে ঈমানদারগণ!রোজা ফরজ করা হয়েছে তোমাদের ওপর,যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যাতে তোমরা সংযমী, মোত্তাকী ও পরহেজগার হতে পার।
দ্বীন ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম হচ্ছে রমজানের রোজা। “রোজা” একটি ফারসী শব্দ। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকা ও সংযম পালন হচ্ছে “রোজা” বা “সওম”।রোজা হচ্ছে সংযমের সাধনা। সকল কু-প্রবৃত্তি দমনের নিমিত্তে কঠোর সংগ্রাম।
পবিত্র রমজান তিন ভাগে বিভক্ত : রহমত, মাগফেরাত ও নাজাত। প্রথম দশদিন অসীম রহমত বর্ষিত হয়। দ্বিতীয় দশদিন রোজাদার ক্ষমা লাভ করে। অন্যায় কুকর্ম, কুচিন্তা ও চারিত্রিক নোংরামির জন্য ক্ষমা লাভের সুযোগ পায়। শেষ দশদিন পাওয়া যায় মুক্তি।

দোযখের শাস্তি থেকে মুক্তি,সকল প্রকার পাপ থেকে মুক্তি। আর এই মুক্তির জন্যই এতেকাফের সাধনা।হাদিস শরীফে বলা আছে, সিরকা যেমন মধুকে নষ্ট করে, মানুষের মন্দ স্বভাবও তেমনি তার এবাদতকে নষ্ট করে। রোজা নিঃসন্দেহে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত।
হাদীস শরীফ থেকে জানা যায়, কা’ব আল-আহ্বার (রা)-কে হযরত ওমর বিন খাত্তাব (রা.) প্রশ্ন করেন : “তাক্বওয়া কি?”উত্তরে কা’ব (রা.) জিজ্ঞাসা করেন : “আপনি কি কখনও কণ্টকাকীর্ণ পথে চলেছেন? তখন আপনি কি পন্থা অবলম্বন করেন?” হযরত ওমর (রা) বলেন, “আমি সতর্ক হয়ে কাপড় গুটিয়ে চলেছি।” কা’ব (রা.) বলেন : “ইহাই তাক্বওয়া।
হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে : যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা ও অন্যায় কাজকর্ম পরিত্যাগ করেনা, তার শুধু খানাপিনা পরিত্যাগ করায় আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই।
রমজান মাসের সিয়াম সাধনার ফযিলত যে কতো বিশাল ও গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝা যায় একটি কুদসী হাদীস থেকে।
আল্লাহতায়ালা বলেন : মানুষ যত প্রকার নেকী বা নেক কাজ করে আমি তার সওয়াব দশগুণ থেকে সাতশত গুণে বৃদ্ধি করে দিই। কিন্তু রোজার সওয়াব একইভাবে সীমাবদ্ধ বা সীমিত নয়। রোজার সওয়াব ও পুরস্কার স্বয়ং আমি প্রদান করবো।

আরো নতুন নতুন টিউন পেতে ভিসিট করুনBDMoU.xyZ এই সাইটটি তে

5 thoughts on "আসছে সামনে রমজান মাস নিঃসন্দেহে বছরের শ্রেষ্ঠ মাস রমজান"

  1. Md Khalid Author says:
    সুন্দর ভাই। ধন্যবাদ এরকম সহীহ কালেকশোনের জন্য। বিশেষ করে হাদীস , কা’ব আল-আহ্বার (রা)-কে হযরত ওমর বিন খাত্তাব (রা.) প্রশ্ন করেন : “তাক্বওয়া কি?”উত্তরে কা’ব (রা.) জিজ্ঞাসা করেন : “আপনি কি কখনও কণ্টকাকীর্ণ পথে চলেছেন? তখন আপনি কি পন্থা অবলম্বন করেন?” হযরত ওমর (রা) বলেন, “আমি সতর্ক হয়ে কাপড় গুটিয়ে চলেছি।” কা’ব (রা.) বলেন : “ইহাই তাক্বওয়া।
    1. Mehadi Hasan Mehadi Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ খালিদ ভাই আর আপনার ফেসবুক লিংক টা দিয়েন তো একটু
    2. Md Khalid Author says:
      facebook a jawa hoyna temon. . personal kichu bolben ,maybe…….

Leave a Reply