হজ যাত্রার সময় উপস্থিত৷ লক্ষ লক্ষ মুসল্লি এ-সময় মক্কা শরীফে যান৷ এ বছর কিন্তু আঞ্চলিক রাজনৈতিক উত্তেজনা ও বিশ্বব্যাপী শঙ্কাজনক নিরাপত্তা পরিস্থিতির ছাপ পড়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশের উপর৷

►ধর্মীয় অনুভূতি
হজ এমন এক অভিজ্ঞতা, যা ধরে রাখতে চান সকলে৷ বহু মুসলমানের কাছে হজ যাত্রা হলো তাঁদের ধর্মীয় জীবনের সবচেয়ে বড় অধ্যায়৷ স্বাস্থ্যগত ও আর্থিক সামর্থ্য থাকলে প্রত্যেক মুসলমানেরই জীবনে একবার হজ পালন করার কথা৷ হজ আয়োজনের সাংগঠনিক দায়িত্ব সৌদি আরবের উপর ন্যস্ত৷

►কাবা পরিক্রমা
আরবি ভাষায় যার নাম তাওয়াফ আল ইফাদা৷ মুসল্লিরা কাবার চারপাশে সাতবার ঘোরেন, ঘড়ির কাঁটার উল্টোমুখ করে৷ পরে মুসল্লিরা

মিনাতেই রাত্রি যাপন করেন৷

►দুর্ঘটনা
বিশ লাখ মানুষের সমাবেশ যেখানে, সেখানে দুর্ঘটনা ঘটা অসম্ভব কিছু নয়৷ ২০১৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর হজ শুরু হওয়ার স্বল্প আগে আবহাওয়ার দুর্যোগে একটি বড় ক্রেন ভেঙে পড়ায় শতাধিক মানুষ প্রাণ হারান৷

►মানুষের পায়ে পিষ্ট হয়ে মৃত্যু

ক্রেন ভেঙে পড়ার মাত্র দু’সপ্তাহ পরে আবার ট্র্যাজেডি৷ তারিখটা ছিল ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫৷ মিনায় মুসল্লিদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিলে অনেক মানুষ পদদলিত হয়ে মারা যান৷

►ইরানিদের হজযাত্রা উপর নিষেধাজ্ঞা
মিনায় নিহতদের মধ্যে ৪৬৯ জনই ছিলেন ইরানের নাগরিক৷ দুর্ঘটনার পর ইরানিরা তেহরানে সৌদি আরবের দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেন৷ ইরান সরকার সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ করেন৷ উভয় দেশের সম্পর্কে তিক্ততা ও উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পায়৷ এ বছর ইরানি নাগরিকদের হজ যাত্রা নিষিদ্ধ করেছে তেহরান৷

►হজযাত্রীদের নিরাপত্তায় উচ্চ প্রযুক্তি
পর পর দু’টি প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার পর সৌদি আরব নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি ঘটিয়েছে৷ হজযাত্রীদের জন্য ইলেকট্রনিক আর্মব্যান্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়, অবস্থান ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য জমা থাকে৷ ওই আর্মব্যান্ড মুসল্লিকে নামাজের সময়ও জানিয়ে দেয়৷

►আরাফাতের ময়দানে
হজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো আরাফতের ময়দানে যাত্রা৷ এর পরের দিনই আসে ঈদ উল আজহা, যা সারা বিশ্বেই উদযাপিত হয়৷–ডিডাব্লিউ

Leave a Reply