সুপ্রিয় বইপ্রেমী বন্ধুগণ |
কেমন আছেন সবাই? আশা করি, ভালোই আছেন অনেক । আমিও ভালোই আছি। আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি অত্যন্ত চমকপ্রদ আরও একটি অসাধারণ গল্পের বই। |
চলুন জেনে নিই বইটি সম্পর্কে |
বিস্তারিত তথ্য |
বইয়ের নাম | মাস্টার অফ দ্য ওয়ার্ল্ড |
লেখক | জুলভার্ন |
অনুবাদক | খসরু চৌধুরী |
প্রকাশকাল | ১৯৮৫ |
সাইজ | ৬.৪ MB |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | ৯২ |
গল্পের মূল প্লট |
এই কাহিনী অতি বিস্ময়কর। কাহিনীর সূত্রপাত আমেরিকার উত্তর ক্যারোলিনার দক্ষিন অঞ্চলে। ব্লুরিজ পর্বতমালার একটি সু উচ্চ শৃঙ্গ “গ্রেট আইরী” তে। পাহাড়টাতে হঠাৎ হঠাৎ আগুনের ফুলকি ওঠে, আকাশটা ঢেকে যায় ঘন কালো ধোঁয়ায়। কখনও প্রচণ্ড গুম গুম শব্দ করে। কখনও বা পাখি উড়ে যাওয়ার মত শব্দ শোনা যায় অতি দূর থেকেও। |
আগুন দেখে ভয় পেয়ে যায় অধিবাসীরা। ভাবে,অগ্নুৎপাত শুরু হচ্ছে। চারিদিকে আতঙ্ক। কি হচ্ছে আইরীতে! ঘটনার সত্যতা যাচাই ও তদন্ত করে রহস্য উদ্ধার করতে নিযুক্ত করা হলো একজন ইন্সপেক্টরকে। |
পুরো গল্পটি ওয়াশিংটনের ফেডারাল পুলিশ ডিপার্টমেন্টের এই হেড ইন্সপেক্টরের জবানীতেই লেখা। গল্পটির প্রধান চরিত্র অত্যন্ত মেধাবী একজন বিজ্ঞানী। তিনিই ঐ পাহাড়ে অতি দুর্গম চূড়ায় বাস করে তার গবেষণা চালান। ঐ চূড়ায় পৃথিবীর কেউ কোনোদিন ওঠার কল্পনাও করে না। গল্পের অধিকাংশ সময়ই তিনি আত্মগোপন করে থাকেন। তিনি এমন এক যন্ত্র আবিষ্কার করেন যা পৃথিবীতে ব্যাপক সাড়া ফেলে দেয়। সমগ্র পৃথিবী জুড়ে শুধু তার আবিষ্কার নিয়েই তুমুল আলোচনা চলে। |
তিনি একসময় চিঠির মাধ্যমে নিজেকে পৃথিবীর মানুষের কাছে “মাস্টার অফ দ্য ওয়ার্ল্ড” ঘোষণা করেন। কিন্তু থেকে যান লোক চক্ষুর আড়ালেই। তার অকল্পনীয় আবিষ্কারের কাছে সারা পৃথিবীর শক্তি অতি নগন্য। সব পরাশক্তি অবনত। তা তিনি কি এমন আবিষ্কার করেছিলেন??? |
একটি মেশিন,হ্যাঁ,কেবল একটি মেশিন। এই মেশিন একাধারে মোটরগাড়ির মত রাস্তায় চলে, জাহাজের মত পানিতে, সাবমেরিনের মত পানির নিচে,আবার উড়োজাহাজের মত আকাশে উড়ে। অবিশ্বাস তার গতি। অত্যন্ত শক্তিশালী তার ইঞ্জিন। চোখের পলকেই পেরিয়ে যায় কয়েকশত মাইল। পলক ফেলার আগেই বদলে ফেলে রূপ। তছনছ করে দেয় সবকিছু। |
সারা পৃথিবী উঠে পড়ে লাগে এই মেশিন কিনতে। তাকে অনেক দেশ ব্ল্যাঙ্ক চেক অফার করে। কিন্তু বিজ্ঞানী চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দেন, এ আবিষ্কার তার একান্তই নিজের। এই মেশিন তাকে পৃথিবীর একচ্ছত্র অধিপতি করার হাতিয়ার। একে তার ইচ্ছামত ব্যবহার করবেন। পৃথিবীর সবকিছুই তার কুক্ষিগত এখন। তিনি কারো পরোয়া করেন না। |
এর ফলে তিনি অপরাধী হিসেবে গণ্য হন। তাকে গ্রেফতারের দায়িত্ব দেয়া হয় হেড ইন্সপেক্টরকে। কিন্তু আদৌ কি সম্ভব এই কাজ??? যাকে কখনও পলকের জনও দেখা যায় না,যার আছে অতি বিস্ময়কর এক মেশিন, যার বলে বিজ্ঞানী নিজেকে পৃথিবীর সর্বময় কর্তা মনে করেন,তাকে কি কখনোও গ্রেফতার করা যাবে??? তিনি কি এমনি ধরা দিবেন, প্রতিরোধ করবেন না??? আর সব থেকে বড় বিষয়,তাকে পাবেই বা কোথায়???শেষ পর্যন্ত কি হয়েছিল, এই অত্যাশ্চর্য মেশিনেরই বা কি পরিণতি হলো,সেটা পাঠকদের জন্যই রেখে দিলাম। |
বইটি সত্যিই অসাধারণ। আমি নিজের মতো করে গল্পটা তুলে ধরলাম। বস্তুত, গল্পের পরিধি আরও অনেক বড়, চমকপ্রদ আরও অনেক কিছু বিদ্যমান। খসরু চৌধুরী অত্যন্ত সার্থকতার সাথে রোমাঞ্চের পসরা সাজিয়ে বইটির যথার্থ অনুবাদ করেছেন। তাহলে আর দেরি কেনো, এখনি Download করে নিন বইটি। |
Download Now |
পোষ্টটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। বইটি অবশ্যই আপনাদের ভালো লাগবে।
ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকুন এবং TrickBD এর সঙ্গেই থাকুন। |
My Facebook Profile |
You must be logged in to post a comment.
Vai, Zulvarn ar lekha “Govir Somudrer Gopon Rohosso” Boi ta pawya jabe
wow
Thank You….
জুলভার্ন সমগ্র প্রায় শেষ।
তবে,
রিভিউটা ভালো হয়েছে,ভাইয়া।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
জুলভার্নের যেগুলো পড়েছেন:সেগুলো কি কাগুজে বই?
নাহ।
বেশিরভাগই PDF।
Awesome….Keep it up..
Tnx Saimon Vai…..
nice post bro
Tnx Bro…….
Nice
Tnx….
চমৎকার লেখছেন।বইটার পুরো সার সংক্ষেপ লেখেছেন।আমিও কিছু বইয়ের রিভিউ দিতে চাচ্ছি…….
হুম…..চেষ্টা করুন ……
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
Nice
Tnx Bro…
পরেছি, দারুণ একটা বই।
ধন্যবাদ……
মুখস্থ but tnq
হুম……
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
Wow great nice post and I love the story???
Thank You.
Bro code kom use korlei post better dekha jai
Sigroi New kiso comics niea ami post korte jaschi..