এসইও এর বিস্তারিত রুপ হলো সার্চ ইন্জিন
অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization).
এসইও নিয়ে আলোচনার আগে একটু ভেবে
দেখুন পৃথিবী এখন ডিজিটাল লাইফের দিকে
দিনের পর দিন এগিয়ে যাচ্ছে। এখন মানুষ
পৃথিবীর এক কোণে বসে সারাবিশ্বের খবর
কম্পিউটার কিংবা মোবাইলের মাধ্যমে। আর
এই কাজটি সম্ভব হয়েছে শুধু মাত্র
ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারনে।
এখন বাংলাদেশেও ঘরে বসে ভার্সিটিতে
ভর্তি থেকে শুরু করে বইপত্র কেনা, বিল
দেয়া, জামা-কাপড় কেনা সহ ঘরের সবজি
পর্যন্ত কেনা সম্ভব হচ্ছে ইন্টারনেটের
কারনে। এখন চলুন দেখি এসইও বা ইন্জিন
অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization)
এবং সার্চ ইন্জিন (Search Engines) এর
বিস্তারিত। তবে তার আগে আমরা অবশ্যই
সার্চ ইন্জিনের সঙ্গা জানবো।
সার্চ ইন্জিন হলো একটা প্রোগ্রাম যা
বিশ্বের বিভিন্ন ওয়েবসাইটের তথ্য সংগ্রহে
রাখে এবং কোন ইউজার যখন কোন কিওয়ার্ড
দিয়ে সার্চ করে তখন এই প্রোগ্রাম রিলেটেড
ডাটাবেস থেকে ওয়েবসাইট লিংক প্রদান
করে থাকে। বর্তমান সময়ের কিছু জনপ্রিয়
সার্চ ইন্জিন
১. গুগল
২. বিং
৩. ইয়াহু (ইয়াহু পুর্নাঙ্গ সার্চ ইন্জিন কিনা
এটা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।)
৪. ইয়ানডেক্স
৫. বাইদ
যে পদ্ধতির মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট এবং
কিওর্য়াডকে র্যাংকিং করা হয় তাকে সার্চ
ইন্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine
Optimization) বলা হয়।
এখন একটু বিস্তারিত বলি যা আপনাকে বুঝতে
সহায়তা করবে। ধরুন আপনি একজন ফেবরিক্স
সাপ্লায়ার্স। বাংলাদেশে গার্মেন্টস
ব্যবসায়ীদের নিকট আপনি ফেবরিক্স বিক্রয়
করেন। এখন আপনার সম্ভাব্য ক্রেতা যে সব
নাম ধরে আপনাকে র্সাচ করতে পারে
সেগুলো হলো Fabrics in bd, Fabrics suppliers
Bangladesh ইত্যাদি। এগুলোকেই কিওর্য়াড
বলে। এসব কিওর্য়াড ধরে আপনার ওয়েবসাইট
কে র্সাচ ইন্জিনের র্সাচ রেজাল্ট পেজে
করার পদ্ধতিকেই এসইও বা র্সাচ ইন্জিন
অপটিমাইজেশন (SEO or Search Engine
Optimization) বলা হয়।
বিভিন্ন র্সাচ ইন্জিনের এলগোরিদম বিভিন্ন
ভাবে কাজ করে। তবে মুলত কার্যকক্রমের
পদ্ধতি অনেকটা একই। সে বিষয়ে বিস্তারিত
আলোচনা করার আগে আবার পূর্বের
ওয়েব ক্রলার বা ওয়েব স্পাইডার হলো
অটোমেটেড প্রোগ্রাম যা বিভিন্ন ওয়েবসাইট
ঘুরে ডাটা সংগ্রহ করে এবং নিজস্ব সার্ভারে
তথ্য জমা করে রাখে।
প্রত্যেক র্সাচ ইন্জিন গুলোর নিজস্ব ক্রলার
আছে। আমি র্সাচ ইন্জিনগুলোর কাজ করার
পক্রিয়া নিজের ভাষায় বর্ননা করছি যেন
সবাই এটা বুঝতে পারে। আমার আর্টিকেল
গুলো আমি এমন ভাবে লিখার চেষ্টা করি যেন
সবাই বুঝতে পারে, সেক্ষেত্রে বড় মাপের
এক্সর্পাটদের মনে হতে পারে আমি বাড়তি
বকবক করছি। তাদের অনুরোধ করবো এখুনি এই
এসইও সম্পর্কিত আর্টিকেলটি পড়া বন্ধ করুন।
আদমশুমারীর নাম সবাই শুনেছি। ওয়েব ক্রলার
এর সাথে তার একটা গভীর মিল বন্ধন রয়েছে।
আদমশুমারী বাড়ী বাড়ী গিয়ে বিভিন্ন তথ্য
সংগ্রহ করে। কি সংগ্রহ করে?
নিশ্চয় বাড়ীর সদস্য সম্পর্কিত তথ্য। সেই
বাড়ীতে কতজন কতজন সদস্য আছে, পুরুষের
সংখ্যা মহিলার সংখ্যা, শিশুর সংখ্যা এবং
তাদের বয়স ইত্যাদি। ঠিক তেমনি ওয়েব
ক্রলার বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘুরে ডাটা সংগ্রহ
করে। কি সংগ্রহ করে?
নিশ্চয় ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট যেমন,
আর্টিকেল, ইমেজ, ভিডিও বা অডিও ইত্যাদি।
ক্রলার এসব ডাটা সংগ্রহ করে তাদের
সার্ভারে রেখে দেয়।
ক্রলার বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলো
সার্ভারে রাখে, এই সংগ্রহ কৃত তথ্য গুলোকেই
ইনডেক্স বলা হয়। যদি আপনি নতুন হয়ে থাকেন
তাহলে মাথার উপর দিয়ে গিয়েছে তাই না?
নো প্রবলেম আমি আপনার জন্যই লিখছি।
এবার আমি উদাহরন দিবো আপনার বইকে
দিয়ে। আপনি নিশ্চয় কিছু মোটা বইয়ের
নির্দিষ্ট পাতা খুজতে সুচীপত্র দেখেন যাকে
ইংরেজিতে ইনডেক্স বলা হয়। এই ইনডেক্সটি
হলো আপনার বইয়ের কোন পৃষ্ঠায় কোন
অধ্যায়টি আছে তার একটা লিষ্ট। ঠিক তেমনি
সার্চ ইন্জিন গুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইট
বিভিন্ন কন্টেন্টের লিষ্ট তাদের সার্ভারে
রাখে। যখন কোন ইউজার কোন কিওর্য়াড
নিয়ে সার্চ দেয় সার্চ ইন্জিন গুলো তাদের
প্রায় প্রত্যেকটি সার্চ ইন্জিন তাদের নিজস্ব
এলগোরিদম ব্যবহার করে। গুগলের এলগোরিদম
বছরে ৫০০ এর অধিক আপডেট করা হয় শুধু মাত্র
ইউজারদের বেটার এক্সিপেরিয়েন্স নিশ্চিত
করার জন্য। গুগল এতো জনপ্রিয় হওয়ার কারন
তারা প্রতিনিয়তো নতুন নতুন প্রোগ্রাম এবং
ফরমুলা সেট করে শুধু মাত্র সঠিক রেজাল্ট সো
করার জন্য। গুগলের ইন্জিনিয়ার টিম
প্রতিনিয়তো এর পেছনে সব সময় কাজ করে
যাচ্ছে। এই এলগোরিদমের মাধ্যমেই সার্পে
কন্টেন্ট পর্যায়ক্রম তৈরী করে এবং স্পাম
কন্টেন্ট গুলোকে রেজাল্ট পেজ থেকে দুরে
রাখে।
কিভাবে এসইও করবেন?
এখন আমি পুনরায় এসইও বা সার্চ ইন্জিন
অপ্টিমাইজেশন বিষয়ক আলোচনায় ফিরে
যাবো। এতক্ষন সার্চ ইন্জিন সম্পর্কে
জেনেছেন, এবার জানবেন কিভাবে আপনার
সাইটকে প্রস্তুত করবেন, বিভিন্ন সার্চ
ইন্জিনে র্যাঙ্ক করার জন্য। বিভিন্ন
কিওর্য়াড দিয়ে আপনার সাইট র্যাঙ্ক করার
পদ্ধতিকেই এসইও অথবা সার্চ ইন্জিন
অপ্টিমাইজেশন বলা হয়। এসইও পদ্ধতি বিভিন্ন
রকমের আছে। চলুন একটু আলোচনা করি।
পদ্ধতিগত ভাবে এসইও তিন প্রকার। যেমন
১. হোয়াইট হ্যাট
২. ব্ল্যাক হ্যাট
৩. গ্রে-হ্যাট
এছাড়াও আরো কিছু প্রকার আছে বলে
বিভিন্ন এক্সপার্ট উল্লেখ করেছেন। তবে
সেগুলোকে গুরুত্বপুর্ন্য নয়।
আমরা মোটামুটি সার্চ ইন্জিন এবং এসইও
সম্পর্কে ধারনা পেয়েছি। আমি আমার এই
আর্টিকেলে সার্চ ইন্জিনের কার্যপ্রনালী
শেয়ার করেছি যেন যারা নতুন এসইও কিংবা
ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করতে চান, তারা যেন
সার্চ ইন্জিনগুলোর ডিমান্ড বুঝতে পারে।
এবং সবার উচিৎ হবে এসইও-এর কাজ গুলো যেন
সার্চ ইন্জিনগুলোর চাহিদা অনুসারে করা।
তাহলেই দেখবেন আপনার কিওয়ার্ড প্রথম
পেজে সো করছে। ভালো লাগলে শেয়ার
করতে ভুলবেন না।
You must be logged in to post a comment.
NYC post
tnxxxx brooo
Helpful post
tnxxxx brooooo
nice post