নকিয়া ৬ স্মার্টফোন ইতিমধ্যে সাড়া ফেলেছে। চীনের বাজারে ২৪৫ ডলার দামের এই স্মার্টফোন বিক্রি শুরু হওয়ার এক মিনিটের মধ্যেই সব কটি বিক্রি হয়ে গেছে। ফোনটি কেনার জন্য ১০ লাখের বেশি আবেদন জমা পড়েছিল। এটা যদি নকিয়ার ফিরে আসার চমক হয়, তবে সামনে আরও বড় চমক আসছে। সম্প্রতি ফিনল্যান্ডের এই প্রতিষ্ঠান ভাঁজ করার সুবিধাযুক্ত একটি স্মার্টফোনের জন্য পেটেন্ট অনুমোদন পেয়েছে। ২০১৩ সালে এই পেটেন্টের জন্য আবেদন করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।

যুক্তরাষ্ট্রের পেটেন্ট অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অফিস (ইউএসপিটিও) সম্প্রতি এই অনুমোদন দেয়।

‘ফোল্ডেবল ডিভাইস’ হিসেবে অনুমোদন পাওয়া এই স্মার্টফোনে পকেটের মাপের একটি ডিসপ্লে ব্যবহার করা যাবে। নতুন স্মার্টফোনটি দেখতে পকেট আয়নার মতো।

অবশ্য নকিয়া ব্র্যান্ড নামে এ ধরনের ফোন তৈরি শুরু হয়েছে কি না, সে বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি।

বর্তমানে নকিয়া ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন তৈরিতে কাজ করছে এইচএমডি গ্লোবাল নামের ফিনল্যান্ডভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। চলতি মাসের শুরুর দিকে শুধু চীনা বাজারে নকিয়া ৬ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিল এইচএমডি গ্লোবাল।

চীনের বিশাল এবং সম্ভাবনাময় স্মার্টফোন বাজারের কথা বিবেচনা করেই অ্যান্ড্রয়েড-চালিত নকিয়ার প্রথম এই স্মার্টফোন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে আরও নতুন স্মার্টফোনের ঘোষণা দেবে নকিয়া। সেখানেই নতুন চমকের ঘোষণা আসতে পারে বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা।

২০১৬ সালে প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল নমনীয় বা ভাঁজ স্মার্টফোনের জন্য পেটেন্ট অনুমোদন পেয়েছে। এই ফোনটি নোটবুকের মতো ভাঁজ করা যায়। অ্যাপল ছাড়াও ভাঁজ স্মার্টফোন নিয়ে কাজ করছে স্যামসাং। এ বছরেই স্যামসাংয়ের ভাঁজ স্মার্টফোনের দেখা মিলতে পারে। একে বলা হচ্ছে ‘গ্যালাক্সি এক্স’। এ বছরের শেষের দিকে এক লাখ ইউনিট ভাঁজ স্মার্টফোন বাজারে ছাড়তে পারে প্রতিষ্ঠানটি। শুধু স্যামসাং নয়, এ বছরেই এলজির ভাঁজ স্মার্টফোনও দেখা যেতে পারে। তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

2 thoughts on "নকিয়া কি আরও চমক দেবে?"

  1. SUPTO Author says:
    প্রথম আলো থেকে Copy করা। Post এর নিচে প্রথম আলো এর Credit দেয়া উচিত।

Leave a Reply