বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের
যে উইকেটটি বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের
জন্য তৈরি করা হয়েছে, সেটা দেখে
নাকি রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ডান হাতটা
‘নিশপিশ’ করছে। রবীন্দ্র জাদেজারও তর
সইছে না, কখন খেলা শুরু হবে!
বেঙ্গালুরুর যে উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-
শ্রীলঙ্কা ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল,
সেটাতেই হবে ভারত-বাংলাদেশ দ্বৈরথ।
আর এটা তো দেখাই গেছে, সেদিন
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্যারিবীয় স্পিনার
সুলিমান বেন আর স্যামুয়েল বদ্রি কী
দুর্দান্ত বোলিংই-ই না করেছিলেন!
কলকাতায় পাকিস্তানের বিপক্ষে
ম্যাচটা জিতে রোববারই বেঙ্গালুরু
পৌঁছে গেছে ভারতীয় দল। সেখানে
পিচের খুঁটিনাটি দেখে ভারতীয় একটি
পত্রিকাকে ব্যাটিং কোচ সঞ্জয়

বাঙ্গার জানিয়েছেন, বুধবার
বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘূর্ণি উইকেট
নিয়েই মাঠে নামবে ভারত।
চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের উইকেটের
তত্ত্বাবধানে আছেন ভারতীয় ক্রিকেট
বোর্ডের উইকেট কমিটির দক্ষিণাঞ্চল
প্রতিনিধি পি আর বিশ্বনাথন। তিনি
বলেছেন, ‘বেঙ্গালুরুর উইকেট হচ্ছে টি-
টোয়েন্টির জন্য একেবারে আদর্শ।
এখানে প্রচুর রান হবে। ভারতীয় উইকেটের
চরিত্র অনুযায়ী স্পিনাররাও বেশ বাঁক
আদায় করে নিতে পারবেন। স্পিনাররা
অবশ্যই সাহায্য পাবেন এই উইকেট থেকে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে সুলিমান
বেন ও স্যামুয়েল বদ্রি দুজন মিলে ৮
ওভারে রান দিয়েছিলেন মাত্র ২৫।
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে উইকেট
স্পিনারদের কী ধরনের সাহায্য করবে, তার
একটা বড় নমুনা হতে পারে দুই ক্যারিবীয়
স্পিনারের এই পরিসংখ্যান।
ভারতীয় দল অবশ্য এতে বেশ খুশি। এই
উইকেটে নিষেধাজ্ঞা-জর্জরিত
বাংলাদেশকে বেশ বিপদে ফেলা যাবে
বলেই ধারণা তাদের। তবে বাংলাদেশও
এমন উইকেটে খেলতে পেরে খুশি হতেই
পারে। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে
মাহমুদউল্লাহ-সাকলাইন সজীব-শুভাগত
হোম-নাসির হোসেন-সাব্বির রহমান—
বাংলাদেশের ঘূর্ণি অস্ত্রও কিন্তু নেহাতই
মন্দ নয়!
বাংলাদেশ এই খবরকে ‘সুসংবাদ’ হিসেবেও
দেখতে পারে বৈকি।

Leave a Reply