দিনের অর্ধেকটা সময়ই আমাদের কাটে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিচরণ করে।
বিশেষ করে ফেসবুক বিশাল এক ক্ষেত্র,
যেখানে মানুষের আনাগোনা থাকে সব সময়।
বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ বাদ যায় না কেউ। ১৬
থেকে ৫০ বছর বয়সের ব্যক্তিরা দিনের
বেশির ভাগ সময় ফেসবুকেই ডুবে থাকেন।
বর্তমানে কাজের খবর জানা, পুরানো
বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা, নিজের
ভালো-মন্দ সব কিছু বন্ধুদের সঙ্গে ভাগাভাগি
হয় ফেসবুকের মাধ্যমে। সব ভালোর
মাঝেও কিছু বন্ধুর পোস্ট বা ছবি আমাদের
বিরক্ত করে, কখনও খারাপ লাগায়, কখনও আবার
হিংসার জন্ম দেয়। তাই ফেসবুকে বন্ধুত্ব রাখার
ক্ষেত্রে একটু সচেতন হওয়া দরকার।
এক্ষেত্রে একটু সিলেকটিভ হয়ে তালিকাটা বরং
ছোট রাখাই আপনার জন্য মঙ্গল। কিন্তু বাদ
দেবেন কাকে? এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন।

অফিসের বস
অফিসের বসকে আপনার ফ্রেন্ডলিস্টে
রাখাটা সবচেয়ে বড় ভুল হবে। কোনোদিন
অফিসে মিথ্যা কথা বলে পার্টি করতে
গেলেন, ফেসবুকে সেই ছবি কেউ যদি
পোস্ট করে দেয় তা আপনার বসের

চোখে পড়বে। আপনার বিপদটাও ঘনিয়ে
আসবে তখনি। সারাক্ষণ যে বসের ভয়ে
থাকেন সে দেখে নেবে এটা ওটা। তাই যদি
বসকে অ্যাড করেও থাকেন তাহলে ডিলিট
করে নিন। আপনার তালিকায় তিনি যে নেই তা
হয়তো তিনি খেয়ালও করবেন না।

প্রাক্তন ভালোবাসার মানুষ
আপনার সাবেক ভালোবাসার মানুষকে
ফ্রেন্ডলিস্টে না রাখাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
এতে আপনার সাবেক ভালোবাসার মানুষটি কিছু
বলতেও পারবে না। বরং বার বার চোখের
সামনে তার পোস্ট বা আপনার পোস্ট তাকে
নাড়া দেয়ার সুযোগ থাকলো না। যাকে মন
থেকে বাদ দিয়েছেন তাকে এভাবে টিকিয়ে
রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। এমন কি
আপনার বর্তমান বা ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও জটিলতা
তৈরি করতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব তাকে
বাদ দিন।

ফেসবুক পেজে সহযেই লাইক বারিয়ে নিন।

তর্কবাগিশ
কিছু বন্ধু থাকে যারা ছোট-বড়
যেকোনোও বিষয়ে অতিরিক্ত তর্ক
করতে পছন্দ করেন। ফেসবুকে জাহির
করতে চান তারা কতকিছু জানেন। তর্কবাগিশ
হয়ে বোঝাতে ব্যস্ত থাকেন তাদের
ব্যক্তিত্ব অনেক দৃঢ়। আপনি যে বিষয়ে
আলোচনা করতে চান না সেই বিষয় নিয়েও
বারবার পোস্ট করে আপনাকে উত্যক্ত

করতে চায়। বাড়াবাড়ি কিছু করার আগেই
ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে তাকে বাদ দিয়ে দিন।
মন প্রফুল্ল থাকবে।

আগ্রহী অপরিচিত
ফেসবুকে অপরিচিতরা পরিচিত হবে বন্ধু হবে
এটাই স্বাভাবিক। তবে অতিরিক্ত আগ্রহী
অপরিচিত কাউকে পাত্তা না দেয়ায় ভালো।
এতে ঝুঁকি বেড়ে যায়। হতে পারে সে
কোনো লুকায়িত উদ্দেশ্য নিয়ে আপনার
সঙ্গে মিশছে। তাই ঝুঁকি নিয়ে লাভ কি?

সমালোচক
কিছু মানুষ আছেন যারা সমালোচনা করতে
পছন্দ করেন। অপ্রয়োজনেও আপনাকে
আঘাতমূলক একটা কমেন্ট করে বসতে
পারে। সোস্যাল মিডিয়া আপনার ক্লান্তি
মেটানো, আনন্দে মেতে ওঠার জায়গা হওয়া
চাই। তাই যাদের দেখবেন রুচিহীন কমেন্টে
আগ্রহী তাদেরকে বাদ দেয়ায় ভালো।

Leave a Reply