সব কিছুরই রয়েছে একটি নির্দিষ্ট সময়। তেমনি একটি দিনের জন্যও রয়েছে ২৪ ঘণ্টার একটি নির্দিষ্ট সময়। এর মাঝেই আমাদের করতে হয় সকল প্রয়োজনীয় কাজ। যার ফলে দেখা যায় আমরা যারা ব্লগিং করি তারা তাদের ব্লগিং এর ক্ষেত্রে চাহিদা অনুযায়ী সময় দিতে পারছি নাহ

তাই আজকে থেকে আমরা কিছু টিপস মেনে চলতে চেষ্টা করবো। যার ফলে কিছুটা হলেও আমার/আপনার সময় আগের থেকে বেড়ে যাবে ব্লগিং এর মাঝে সময় দেবার জন্য।
(1) ব্যাপক ভাবে পড়া বন্ধ করুন, লিখে চলুনঃ

পড়ার উপর কোন কিছুই নেই, তারপরেও একটি নির্দিষ্টতা রয়েছে। আপনি যদি টেকবিষয়ক ব্লগার হয়ে টেক ও পড়লেন আবার সাহিত্য ও যেয়ে পড়তে থাকেন! তবে আপনার লেখার সময় কোথায়? আপনি যে টেক(যা আপনার মূল বিষয়) পড়লেন তারিবা প্রেক্টিকেল কখন করবেন? তাই অপ্রয়োজনীয় লেখা গুলো পড়া বাদ দিন। এতে করে এই বেঁচে যাওয়া সময়টায় আপনার সঠিক জায়গায় প্রয়োগ করুন।

(2) নটিফিকেশন/স্ট্যাটাস দেখা বন্ধ করুনঃ

আপনার মেইল, ফেসবুক, ব্লগ ইত্যাদি, ইত্যাদি মিলিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য স্ট্যাটাস আসার কথা। আমি আমার দিক দিয়ে বলছি “আমার নিজেরই অনেক এসে” থাকে। এখন আপনিও যদি প্রতিদিন নেটে বসার পর এগুলো চেক করতে যান একটি, একটি করে তবে নিসন্দেহে দেড়/দুই ঘণ্টা পেড়িয়ে যাবার কথা! তাই আপনাকে অবশ্যই অপ্রয়োজনীয় স্ট্যাটাস চেক করা থেকে বীরত থাকতে হবে। এতে করে আপনার সময় অনেকটুকুই বেঁচে যাবে

(3) Rss/সোশাল নেটওয়ার্ক/etc:

ইন্টারনেট দুনিয়ায় একজনের সময় অপচয় করানোর জন্য রয়েছে অনেক পদ্ধত্তি! যার মাঝে অন্যতম হচ্ছে ফেসবুকিং, টুইটার সেন্ড, Rss, এডালট সাইটগুলো! যেখানে একবার প্রবেশ করলে আপনাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখার ক্ষমতা এদের রয়েছে।
তাই আপনি যতো কিছুই করুন না কেন, সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার মূললক্ষ্য অনুযায়ী কাজ শেষ করে অতঃপর অন্য পথে চলতে হবে। এতে করে আপনার বিনোদন ও হবে সাথে মূল খুঁটি ও শক্ত রয়ে যাবে।

(4) ছুড়ে ফেলুন টেলিভিশনঃ

টেলিভিশনে নাটক, সিরিয়াল ইত্যাদি দেখে সময় নষ্ট করা থেকে অবশ্যই দূরে থাকুন। সবচে বেটার হয় এর মোহ একেবারে ত্যাগ করতে পারলে। যা আমি নিজে করতে সক্ষম হয়েছি। আমি গত ৩/৪ বছর ধরে টেলিভিশন দেখি নাহ!
আপনারা অনেকেই বলে থাকেন যে আপনি “ব্লগ লেখা বা দেখার” সময় পাচ্ছেন না। তবে যদি প্রশ্ন করা হয় তাহলে আপনি এখন কি করছেন? অনেকসময়ই উত্তর মেলে যে আপনি টেলিভিশন দেখছেন। আপনি যদি এই সময়ে টেলিভিশনটি বন্ধ রেখে ব্লগ পড়েন এতে যেমন আপনার লাভ হচ্ছে, কিছু শিখতে পাচ্ছেন, ঠিক তেমনি একটি পোষ্ট লিখলে অনেক মানুষ ও আপনার দ্বারা উপকৃত হচ্ছে

(5) নিজেকে সুস্থ রাখুনঃ

আমি আমাকে দিয়েই উদারন দিচ্ছি “আমি মাঝে, মাঝে এক নাগাড়ে নেট চালিয়ে, ব্লগ পড়ে এতোটাই বিরক্ত হয়ে যাই যে কিছুদিন সেদিকে ফিরেও তাকাই না”, এতে করে কি আমার লাভ হচ্ছে? অবশ্যই নয়। কারণ আমি যদি বিরতিহীন ভাবে এসব না করে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে করতাম তবে আমার আর অসুস্থবোধ হতো নাহ, আর তার জন্য কয়েকদিন বাধাও পড়তো না। আমি আগের মতোই থাকতে পারতাম নিয়মিত। তাই চেষ্টা করুন নিজেকে সুস্থ রাখতে। বেশি সময় দিতে যেয়ে এতো বেশি দিয়ে ফেলবেন নাহ যেন পরবর্তী কয়েকদিন আর আসতেই ইচ্ছে না হয়

(6) ইচ্ছে শক্তি/নিজের প্রতি নিজের প্রেরণাঃ

সব শেষে বলবো নিজেই নিজেকে সব সময় প্রেরণা যোগান। কারণ দেখুন আমি এই পোষ্ট লেখার সময় ২ বার ল্যাপটপ বন্ধ হয়ে যায়! যার ফলে আমাকে অর্ধেক এর পর পোষ্ট হারিয়ে গেলে পুনরায় প্রথম থেকে লেখা শুরু করতে হয়েছে। আমার যদি ইচ্ছে শক্তি, নিজের প্রতি নিজের প্রেরণা না থাকতো তবে আমি এখন আর এই শেষ পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম হতাম না, সেখানেই বন্ধ করে দিতাম।

Leave a Reply