বিপিএলের ফাইনাল নির্ধারণীতে
ঢাকা ডায়নামাইটসের ১৪০ রানের
জবাবে মাত্র ৮৬ রানে সব ক’টি
উইকেট হারিয়ে নিজেদের পরাজয়
নিশ্চিত করলো খুলনা টাইটান্স।
ঢাকার পক্ষে আন্দ্রে রাসেল ও
ব্রাভো ৩টি করে উইকেট নেন।

ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৩৪
রান তুলে দলকে ভালো শুরু এনে দেন দুই
ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার ও মোহাম্মদ
হাসানুজ্জামান। পাওয়ার প্লে’র শেষ
ওভারে (ষষ্ঠ) ব্রেকথ্রু এনে দেন সাকিব
আল হাসান। ওয়াইড বলে
স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন ফ্লেচার
(২৮)। পরের ওভারেই জোড়া আঘাত
হানেন আন্দ্রে রাসেল। মাহমুদউল্লাহ
রিয়াদের (৫) পর হাসানুজ্জামানকে
(৫) সাজঘরে পাঠান ক্যারিবীয়
অলরাউন্ডার। বেনি হাওয়েলকে (৪)
এলবিডব্লু করে উইকেটের খাতায় নাম
লেখান বাঁহাতি স্পিনার সাঞ্জামুল
ইসলাম।

দশম ওভারে নিজের বলে নিজেই
আব্দুল মজিদের (৭) ক্যাচ তালুবন্দি
করেন মোসাদ্দেক হোসেন। দলীয় ৫৩
রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ের
মুখেই পড়ে খুলনা। ১৫ রান যোগ হতেই
নিকোলাস পুরানকে (৯) ডোয়াইন
ব্রাভোর ক্যাচবন্দি করেন আবু জায়েদ।

১৬তম ওভারের প্রথম বলেই আরিফুল
হককে (১৪) নিজের তৃতীয় শিকারে
পরিণত করেন আন্দ্রে রাসেল। আগের
ওভারেই শুভাগত হোমের (৮) পর
মোশাররফ হোসেনকে (১) মাঠছাড়া
করেন মাতেন ডোয়াইন ব্রাভো।

এর আগে দলীয় ৬৫ রানে পাঁচ উইকেট
হারালেও ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে
মাঝারি পুঁজি এনে দেন আন্দ্রে
রাসেল। নির্ধারিত ওভার শেষে
স্কোরবোর্ডে আট উইকেট হারিয়ে ১৪০
রান তোলে ঢাকা। বিপর্যয়ের মুখে ৪৯
রানের জুটি গড়েন দুই ক্যারিবিয়ান
রাসেল ও ডোয়াইন ব্রাভো। ১৯তম
ওভারে আউট হওয়ার আগে ২৫ বলে ৪৬
রানের দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দেন
রাসেল। তাতে ছিল ৪টি চার ও ৩টি
ছক্কার মার। ২২ বলে ২৩ রান করে
অপরাজিত থাকেন ব্রাভো।

প্রথম কোয়ালিফায়ারে টস জিতে
ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন খুলনা
দলপতি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দ্বিতীয়
ওভারের প্রথম বলেই ব্রেকথ্রু এনে দেন
জুনাইদ খান। নিকোলাস পুরানের
গ্লাভসে আটকা পড়েন মেহেদী মারুফ
(৭)। চতুর্থ ওভারে এসে জোড়া আঘাত
হানেন জুনাইদ। কুমার সাঙ্গাকারার
(৯) পর এভিন লুইসকে (১১) সাজঘরে
পাঠান পাকিস্তানি পেসার। দলীয় ২৮
রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপের
মুখেই পড়ে ঢাকা।
আরো ২৮ রান যোগ হতেই সাজঘরে
ফেরেন নাসির হোসেন (১৩)। নবম
ওভারে তাকে শুভাগত হোমের

তালুবন্দি করেন পার্টটাইম বোলার
আন্দ্রে ফ্লেচার। অধিনায়ক সাকিব
আল হাসানও (১৮) বেশিক্ষণ টিকতে
পারেননি।

নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে ঢাকা
দলপতিকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে
পরিণত করেন ফ্লেচার। সাকিবের
বিদায়ে ৬৫ রানে পাঁচ উইকেটের পতন
ঘটে। দলীয় ৮৯ রানের মাথায় রান
আউটের আউটের ফাঁদে পড়েন
মোসাদ্দেক হোসেন (৮)। ইনিংসের
শেষ ওভারে মাত্র দুই রানের
বিনিময়ে আলাউদ্দিন বাবুকে (০)
ক্লিন বোল্ড করেন জুনাইদ। একাই চার
উইকেট নিয়ে দুর্দান্ত বোলিং প্রদর্শন
করেন জুনাইদ খান। ফ্লেচার দু’টি ও
রাসেলকে ফেরান বেনি হাওয়েল।

প্রসঙ্গত, হেরে গেলেও শিরোপা
লড়াইয়ে টিকে থাকার সুযোগ থাকবে।
বুধবারের (৭ ডিসেম্বর) দ্বিতীয়
কোয়ালিফায়ারে এলিমিনেটর
জয়ীদের মুখোমুখি হবে প্রথম
কোয়ালিফায়ারের পরাজিত দল।

>> সৌজন্যেঃ BanglaTips.Ga

Leave a Reply