মোবাইল ফোন কি আর এখন শুধু পকেটে রেখে কথা বলার গ্যাজেট? হাতের মুঠোর এই দুরালাপনী যন্ত্র এখন সবার বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। গান শোনা, ছবি দেখা, গেম খেলা- সবই তো এখন মোবাইল ফোন-ভিত্তিক। তবে হ্যাঁ, এসব বিনোদনের উপকরণ বোঝাই করতে মোবাইলে চাই ভালো ধারণক্ষমতার মেমরি কার্ড। আর হ্যাঁ, সেটা যত্নেও রাখতে হবে অবশ্যই।

মেমরি কার্ড যত্নে রাখতে হলে
১. মেমোরি কার্ডকে অনেকে পেনড্রাইভ হিসেবেও ব্যবহার করেন। এতে মেমোরি কার্ডে ভাইরাস এবং অন্যান্য সমস্যার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সুতরাং এ কাজ থেকে বিরত থাকুন। আর যদি নেহাত পেনড্রাইভ হিসেবে ব্যবহার করতেই হয়, তাহলে কার্ড রিডার ব্যবহার না করে মোবাইলের ডাটাকেবল কাজে লাগান।
২. একটানা বেশি সময় মোবাইলে গান শোনা, ভিডিও দেখা বা গেম খেলা থেকে বিরত থাকুন। এতে কেবল মেমোরি কার্ড নয়, সাথে আপনারও হতে পারে শারীরিক সমস্যা।
৩. মেমোরি কার্ড ফরম্যাট করার প্রয়োজন হলে কম্পিউটারে ফরম্যাট করবেন না। মোবাইলেই সেরে ফেলুন স্মৃতি খালি করার কাজটুকু।
৪. প্রতি তিন মাস পর পর অন্তত একবার হলেও আপনার মেমোরি কার্ডের বসানোর জায়গাটি গ্লাস ক্লিনার দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। অনেক সময় ধুলোবালি কিংবা গরমে ঘেমে মেমোরি কার্ড নষ্ট হতে পারে।
৫. মেমোরি কার্ড ভালো রাখার জন্য আপনার মোবাইল ফোনসেটটি যতটুকু পরিমাণ মেমোরি কার্ড সমর্থন করে, তার অর্ধেক ধারণক্ষমতার পরিমাণ মেমোরি কার্ড ব্যবহার করুন এবং তাতে আরো অর্ধেক পরিমাণ ডাটা রাখুন। যেমন : আপনার মোবাইল ফোনসেট যদি ৬৪ গিগাবাইট পর্যন্ত মেমোরি সাপোর্ট করে তাহলে ৩২ গিগাবাইট মেমোরি কার্ড ব্যবহার করুন এবং এতে ১৬ গিগাবাইট ডাটা রাখুন।
এছাড়া নকল মেমোরি কার্ড ব্যবহারে আপনার সাধের মোবাইল ফোনটির স্থায়ী ক্ষতিও হতে পারে। বাজারে বেশির ভাগ নকল মেমোরি কার্ড জীর্ণ বা পুরনো বাক্সে প্যাকেটজাত হয়ে থাকে। স্যানডিস্ক এবং সনির মতো ভালো ব্র্যান্ডের মেমোরি কার্ড খাঁটি হলোগ্রাম স্টিকার যুক্ত করে থাকে। এটা নিম্নমানের মেমোরি কার্ডে পাবেন না। সুতরাং এ বিষয়ে নজর রাখতে হবে।

Leave a Reply