একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী তানজিনা হোসেনের হঠাত্ করে আসা জ্বরে তীব্র গায়ে ও জয়েন্টে ব্যথা। এমনকি হাটতে বা বসতেও পারছেন না।
চিকিত্সকের কাছে যাওয়ার পর তিনি জানলেন, এই রোগের নাম চিকুনগুনিয়া, আর এই জ্বর ভালো হলেও আরও অন্তত দুইমাস ভোগান্তি পোহাতে হবে।
গত কিছুদিন ধরে ঢাকায় চিকুনগুনিয়া জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। চিকিত্সকরা বলছেন, গত প্রায় দুইমাস ধরে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে।
চিকুনগুনিয়া মশা বাহিত একটি ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। ডেঙ্গি রোগের ভাইরাস যে এডিস মশা বহন করে, সেই মশাই চিকুনগুনিয়া ভাইরাসেরও বাহক।
কিছুদিন আগে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের গবেষণায় বলা হয়, ১৯৫২ সালে প্রথম তানজানিয়ায় রোগটি সনাক্ত হয়।
তবে এখন বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশে রোগটি দেখা যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এই রোগের কোন নির্দিষ্ট প্রতিকার নেই। লক্ষণ দেখে চিকিত্সা ঠিক করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চিকিত্সা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ বিবিসিকে বলছেন, সঠিক কোন পরিসংখ্যান না থাকলেও, এ বছর ডেঙ্গির তুলনায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই তারা বেশি পাচ্ছেন। গত কয়েক মাসে কয়েক হাজার এরকম রোগী কেবলমাত্র তাঁর কাছেই এসেছে বলে তিনি জানান।
অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ বলছেন, যেহেতু মশার কারণে রোগটি ছড়িয়ে থাকে, তাই মূল সতর্কতা হিসাবে মশার কামড় থেকে বাঁচার ব্যবস্থা করতে হবে। যেমন ঘরের বারান্দা, আঙ্গিনা বা ছাদ পরিষ্কার রাখতে হবে, যাতে পানি পাঁচদিনের বেশি জমে না থাকে। এসি বা ফ্রিজের নীচেও যেন পানি না থাকে, তাও নিশ্চিত করতে হবে বলে তিনি জানান।
যেহেতু এই মশাটি দিনের বেলায় কামড়ায়, তাই দিনের বেলায় কেউ ঘুমালে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে। মশা মারার জন্য স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ছোট বাচ্চাদের হাফপ্যান্টের বদলে ফুলপ্যান্ট পড়াতে হবে, আর সবার খেয়াল রাখতে হবে যেন মশা ডিম পাড়ার সুযোগ না পায়।
You must be logged in to post a comment.
gd information
thank you for information