Be a Trainer! Share your knowledge.
Home » Uncategorized » ‌‘ব্লু হোয়েল’র নির্মাতা কে এই ফিলিপ বুদেকিন আর কেনোই বা তৈরি করলেই এই মরনঘাতি গেমস

‌‘ব্লু হোয়েল’র নির্মাতা কে এই ফিলিপ বুদেকিন আর কেনোই বা তৈরি করলেই এই মরনঘাতি গেমস

আমি প্রথমেই বলে নেই এই পোস্টটি সম্পুর্ন নিউজ পেপার থেকে সংগ্রহ করা সবাইকে সতর্ক করার জন্য পোস্ট টি করা হলো

বর্তমানে ইন্টারনেট দুনিয়ার এক ভয়ংকর নাম ‘ব্লু হোয়েল’। এই সুইসাইড গেম বা মরণ নেশার ফাঁদে পড়ে তরুণ-তরুণীরা আত্মহত্যা করতেও পিছপা হচ্ছে না।

কী আছে এই গেমের মধ্যে? ফিলিপ বুদেকিন কেনই বা তৈরি করলেন এই গেম, তাই এখন আলোচনার অন্যতম ইস্যু।

কে এই ফিলিপ বুদেকিন?

ফিলিপ বুদেকিন রাশিয়ার নাগরিক। তার ডাকনাম ফিলিপ ফক্স। তার পরিবার সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশ পেতে দেখা যায়নি।

ফিলিপ ১৮ বছর বয়সে ২০১৩ সালে প্রথমে ব্লু হোয়েল নিয়ে কাজ শুরু করেন। প্রথমে তিনি সামাজিকমাধ্যমে ‘এফ৫৭’ নামে একটি গ্রুপ তৈরি করেন। এরপর ৫ বছরের জন্য একটি পরিকল্পনা করেন। ৫ বছরের মধ্যে যেসব মানুষ সমাজের জন্য অপ্রয়োজনীয় (তার মতে) তাদের ধ্বংস করার পরিকল্পনা করেন।

ফিলিপ যখন এই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেন তখন তিনি রাশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন। তিনি সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মনোবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন বছর পড়াশোনার পর ব্লু হোয়েলের বিষয়টি প্রকাশ হলে ২০১৬ সালে তাকে বহিষ্কার করা হয়। ওই সময়ে তাকে গ্রেফতার করে রাশিয়ার আইনশৃংখলা বাহিনী।

ফিলিপ কিশোর বয়সে তার মা ও বড় ভাইয়ের হাতে প্রচুর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে তদন্তকারীদের জানিয়েছেন। তবে সে নিজেও মানসিকভাবে অসুস্থ বলে তদন্তকারী কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যমকে জানান।

ফিলিপ ও তার সঙ্গীরা প্রথমে রাশিয়ার সামাজিকমাধ্যম ‘ভিকে’ ব্যবহার করে। সেখানে তারা একটি গ্রুপ করে। গ্রুপে ভয়ের ভিডিও ছড়ানোর মাধ্যমে কাজ শুরু করে।

ভয়ের ভিডিও ছড়ানোর ফলে ওই গ্রুপে প্রচুর তরুণ-তরুণী যুক্ত হয়।

সেখান থেকে বুদেকিনের সঙ্গীরা মিলে এমনসব তরুণ-তরুণীদের বাছাই করতে থাকে, যাদের সহজে ঘায়েল করা সম্ভব হবে।

সেন্ট পিটার্সবার্গ নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ফিলিপ বলেন, ‘যেখানে মানুষ আছে সেখানে কিছু জীবন্ত বর্জও (মানুষ) আছে। ওইসব মানুষের সমাজে কোনো প্রয়োজন নেই। তারা হয় নিজেরা সমাজের জন্য ক্ষতি, না হয় তারা সমাজের ক্ষতির কারণ। আমি সমাজের ওইসব বর্জ্য পরিষ্কার করতে চাই।’

তবে তিনি সরাসরি আত্মহত্যার নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি আত্মহত্যার জন্য অনুপ্রাণিত করিনি। কিন্তু গেমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তারা নিজেরাই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

গত মে মাসে এক গোপন বিচারের মাধ্যমে ফিলিপকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। বর্তমানে তিনি সাইবেরিয়ার একটি কারাগারে কারাভোগ করছেন বলে জানিয়েছে ডেইলি মেইল।

ব্লু হোয়েল গেম কীভাবে কাজ করে?

এটি অনলাইনভিত্তিক একটি গেম। অনলাইনে একটি কমিউনিটি তৈরি করে চলে এ প্রতিযোগিতা। এতে সর্বমোট ৫০টি ধাপ রয়েছে। আর ধাপগুলো খেলার জন্য ওই কমিউনিটির অ্যাডমিন বা পরিচালক খেলতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ দেবে। আর প্রতিযোগী সে চ্যালেঞ্জ পূরণ করে তার ছবি আপলোড করবে। শুরুতে মোটামুটি সহজ এবং কিছুটা চ্যালেঞ্জিং কাজ দেয়া হয়। যেমন- মধ্যরাতে ভূতের সিনেমা দেখা। খুব সকালে ছাদের কিনারা দিয়ে হাঁটা এবং ব্লেড দিয়ে হাতে তিমির ছবি আঁকা ইত্যাদি।

তবে ধাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কঠিন ও মারাত্মক সব চ্যালেঞ্জ দেয় পরিচালক। যেগুলো অত্যন্ত ভয়াবহ এবং এ খেলার সর্বশেষ ধাপ হলো আত্মহত্যা করা। অর্থাৎ গেম শেষ করতে হলে প্রতিযোগীকে আত্মহত্যা করতে হবে। তবে এই গেমের শেষ ধাপে যাওয়ার আগেই খেলোয়াড়ের মৃত্যু হতে পারে। যেমন- ছাদের কিনারায় হাঁটা বা রেললাইনে হাঁটার মতো যেসব কাজ করতে বলা হয়, ওইসব কাজ করার সময় মৃত্যু হতে পারে।

গেমটির বেশিরভাগ ধাপই এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে, ওইসব ধাপ অতিক্রম করতে করতেই খেলোয়াড়ের মৃত্যু হতে পারে। ব্লু হোয়েলের কবলে পড়ে ৫০তম ধাপে গিয়ে যারা আত্মহত্যা করছে কেবল তাদের খবরই প্রকাশ হচ্ছে। কিন্তু এর আগে যারা মারা যাচ্ছে তারা ব্লু হোয়েলের ফাঁদে পড়ে মারা যাচ্ছে কিনা- তা শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।

তরুণ-তরুণীরা কেন আকৃষ্ট হয়?

ব্লু হোয়েলে সাধারণত অবসাদগ্রস্ত তরুণ-তরুণীরা আসক্ত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে গভীর রাতে বা একাকী দীর্ঘ সময় যারা ইন্টারনেটে সামাজিকমাধ্যম জগতে বিচরণ করে তারা এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। এছাড়া তরুণ-তরুণীদের মধ্যে নিজেকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করার যে আগ্রহ সেটাকে কাজে লাগিয়ে ফাঁদে ফেলে এর কিউরেটররা।

অংশগ্রহণকারীদের প্রথমে সাহসের প্রমাণ দিতে বলা হয়। এজন্য তাদের ছোট ছোট কিছু সাহসী কাজ দিয়ে এগিয়ে নেয়া হয়। একবার এতে জড়িয়ে পড়লে আর সহসা বের হওয়ার সুযোগ থাকে না।

সহজ ও নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ এবং সাহস আছে কি না- এমন কথায় সাহস দেখাতে গিয়ে দিনকে দিন যুবক-যুবতীরা আকৃষ্ট হচ্ছে এই গেমে। তবে একবার এ খেলায় ঢুকে পড়লে তা থেকে বের হয়ে আসা প্রায় অসম্ভব।

ব্লু হোয়েলে আসক্তদের চিনবেন কীভাবে?

যেসব কিশোর-কিশোরী ব্লু হোয়েল গেমে আসক্ত হয়ে পড়েছে তারা সাধারণভাবে নিজেদের সব সময় লুকিয়ে রাখে। স্বাভাবিক আচরণ তাদের মধ্যে দেখা যায় না। দিনের বেশিরভাগ সময় তারা কাটিয়ে দেয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। থাকে চুপচাপ। কখনও আবার আলাপ জমায় অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে। গভীর রাত পর্যন্ত ছাদে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় অনেককে। একটা সময়ের পর নিজের শরীরকে ক্ষত-বিক্ষত করে তুলতে থাকে তারা।

এর থেকে বাঁচতে কী করা যায়?

এই মরণ ফাঁদ থেকে বাঁচার জন্য মনোবিজ্ঞানীরা কিছু পরামর্শ দিচ্ছেন। সেগুলো হচ্ছে-

প্রথমতো আপনাকেই সচেতন হতে হবে। কেন আপনি অপরের নির্দেশনায় কাজ করবেন। আপনি যাকে কখনও দেখেননি, যার পরিচয় জানেন না, তার কথায় কেন চলবেন বা তার কথামতো কেন কাজ করবেন- সেটি নিজেকেই চিন্তা করতে হবে।

এরকম কোনো লিংক সামনে এলে তাকে এড়িয়ে চলতে হবে।

সমাজের তরুণ-তরুণীদের মাছে এই গেমের নেতিবাচক দিক সম্পর্কে প্রচারণা চালাতে হবে।

সন্তান, ভাই-বোন বা নিকটজনকে মোবাইলে ও কম্পিউটারে অধিক সময়ে একাকী বসে থাকতে দেখলে সে কী করছে, তার খোঁজ-খবর নিতে হবে। সন্তানকে কখনও একাকী বেশি সময় থাকতে না দেয়া এবং এসব গেমের কুফল সম্পর্কে বলা।

সন্তানদের মাঝে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার মানসিকতা সৃষ্টি করা। যাতে তারা আত্মহত্যা করা বা নিজের শরীরকে ক্ষতবিক্ষত করা অনেক বড় পাপ- এটা বুঝতে পারে।

সন্তান ও পরিবারের অন্য কোনো সদস্য মানসিকভাবে বিপর্যস্ত কিনা- সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা। কেউ যদি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয় তাকে সঙ্গ দেয়া।

কৌতূহলি মন নিয়ে এই গেমটি খেলার চেষ্টা না করা। কৌতূহল থেকে এটি নেশাতে পরিণত হয়। আর নেশাই হয়তো ডেকে আনতে পারে আপনার মৃত্যু।

কোন কোন দেশে আছে ব্লু হোয়েল?

এ পর্যন্ত ব্লু হোয়েল পৃথিবীর কোন কোন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে, তার সঠিক হিসাব নেই। তবে রাশিয়া, আর্জেন্টিনা, বাংলাদেশ, ব্রাজিল, বুলগেরিয়া, চিলি, চীন, ভারত, ইটালি, কেনিয়া, পাকিস্তান, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, সৌদি আরব, সাইবেরিয়া, স্পেন, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও উরুগুয়ে ব্লু হোয়েল শনাক্ত হয়েছে।

সৌজন্যঃ-

→→আমার এই ছোট্ট সাইটটিতে একবার ঘুরে আসার আমন্তন রইলো

7 years ago (Oct 11, 2017)

About Author (40)

Mehadi Hasan Mehadi
author

আমি প্রযুক্তি কে ভালোবাসি,আমি যা যানি তা অপরকে শিখাতে চাই আর জা জানি না তা শিখতে চাই এটাই আমার একমাত্র লক্ষ।→ wWw.TipSRain.Com

Trickbd Official Telegram

35 responses to “‌‘ব্লু হোয়েল’র নির্মাতা কে এই ফিলিপ বুদেকিন আর কেনোই বা তৈরি করলেই এই মরনঘাতি গেমস”

  1. HiraPakhi Contributor says:

    এই গেমজে আর কত্ত আকাজ করবে কে জানে তবে জানানোর জন্য ধন্যবাদ

  2. Raju Das Rudro Author says:

    আমি বিশ্বাস করিনা ।

    • Sabbir Hossain Author says:

      এই গেম নিয়ে কিছু ঘটছে আর বেশী রটছে। তবে এটির কারনে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে মামলাও চলছে।

    • Raju Das Rudro Author says:

      সে যাই হোক ভাই, আমরা বাঙালীরাই বেশি রটাচ্ছি ।

  3. kdulalhosen Contributor says:

    ধন্যবাদ। আপনার এ গুরুত্বপূর্ণ পোস্টের জন্য।

  4. Najmul Nazu Author says:

    আমার মনে এই বিষয়ে পোস্ট না করাই ভালো হোক তা সচেতনমূলকই কেননা এটা থেকেই পপুলারিটি বাড়ছে

  5. Trickbd Lover Dibbo Author says:

    ধন্যবাদ। আপনার এ গুরুত্বপূর্ণ
    পোস্টের জন্য।

  6. Dj Rasel Janbi Author says:

    ami khelbo,,,,, ki bolen,,,
    clahs of clans kheli tai asoktti hoini,,, town hol 9 max

    abar naki blo hoyel

  7. ROMAN REIGNS Author says:

    vampare ekta ei game

  8. Nazmul2014 Contributor says:

    hala ..abal….aita oi gamer moto na..

  9. Saiful Contributor says:

    এই গেম নিয়ে যতটা বলা হচ্ছে ততটা নয়।
    ফোন রুট করলে কিংবা মোবাইলের দোকানে গিয়ে নতুন মোবাইল ফ্লাশ দিলে এই গেম থাকবে কী?

    • shuvo Contributor says:

      ওরে ভাউ এইটা পিসি ভার্সন এর গেম,,,মোবাইল এর নয়।

  10. Saiful Contributor says:

    এই গেম নিয়ে যতটা বলা হচ্ছে ততটা নয়।
    ফোন রুট করলে কিংবা মোবাইলের দোকানে
    গিয়ে মোবাইল ফ্লাশ দিলে এই গেম
    থাকবে কী?

  11. SuMon Contributor says:

    ami sunsi…Flash dileo kaj hobena…..

  12. Md Anamul Contributor says:

    Blue While name a akta Category banan hok tikbd te 🙂

  13. MD Tusar Hossain Contributor says:

    আচ্ছা,,কারো কাছে লিংক আছে,,,,থাকলে দেন তো….??

  14. DEMON1122 Contributor says:

    vai er mobile version o ase but amar kasao ase but apnake link diye jele jabo naki amar kase game ti o asr

  15. AMBITIOUS Contributor says:

    এই Author টার ব্যবহার অনেক খারাপ। এর পোস্টে কোনো কিছু বুলতে চাই না।

    • Mehadi Hasan Mehadi Author Post Creator says:

      ক্যান ভাই আমি আপনার কোন জায়গায় কামরাইলাম যে আমার সম্পর্কে এরকম মন্তব্য করলেন

    • AMBITIOUS Contributor says:

      কি মিয়া অই তোমার চুল পড়া নিয়ে একটা পোস্ট করছিলানা….

  16. Saiful Contributor says:

    পিসি ভার্সন ফর্মেট করা আরো সহজ। উইন্ডোজ সেটআপ দিলেই হবে। তবে গেমসটা এত যাবত শুনলাম এন্ডয়েড গেমস। আজ বলতেছে পিসি ভার্সন।

  17. Saiful Contributor says:

    ফোন ফ্লাশ দিলে কোন এপসই থাকবে না।

  18. Sabbir Ahmed Contributor says:

    tnx jananor jonno…

  19. Mehadi Hasan Mehadi Author Post Creator says:

    কয়েকটা হারাম খোর আছে ট্রিকবিডি থেকে ফেসবুক আইডি নিয়া ফেসবুকে নক কইরাই বলে ভাই আপনার সাইটের থীম টা দেন আর না দিলেই খারাপ হয়ে যাই তাদের কাছে এটাই তো আমার খারাবের কারন তাইনা

Leave a Reply

Switch To Desktop Version