পাখির মতো ডানা মেলে আকাশে উড়ার স্বপ্ন মানুষের বহুদিনের। বিশ্বের ইতিহাসে রাইট ভাইগন প্রথম এই স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দেন ও প্রথম ৩০ সেকেন্ডের জন্য আকাশে উড়েন। এটা হয়তো অনেকের অজানা, এই অসম্ভব স্বপ্নের বাস্তব রুপদানকারী বিশ্বখ্যাত রাইট ভাইয়েরা ছিলেন বাইসাইকেলের মেকানিক, যারা দিনের পর দিন পাখির উড়ার কৌশল পর্যবেক্ষন করে, তৈরী করেছিলেন উড়োজাহাজ।

সেই রাইট ভাইগনের প্রতি সন্মান বজায় রেখে বলা যায়, বিমান বানানো কোন লুকায়িত গুপ্তবিদ্যা নয়, যা শুধুমাত্র স্রষ্টা প্রদত্ত কিছু মানুষের জন্য সীমাবদ্ধ থাকবে। বরং পরিপূর্ন জ্ঞান থাকলে বিমান বানানো, কঠিন কিছুই নয়। “নিজে হাতে বানাই” সিরিজের ধারাবাহিকতায় নতুন বই “নিজে হাতে বানাই – কম্পিউটর নিয়ন্ত্রিত রোবট বিমান” বইতে লেখক, প্রকৌশলী মীর এবিএম জাকির হোসেন, একটি সাধারন বিমান বানানোর খুটিনাটি সমস্ত বিষয়াবলী বিস্তারিত বর্ননা করেছেন এবং সাথে সাথে কিভাবে সাধারন বিমানকে রোবট বিমানে রুপান্তর করা যায়, তাও বর্ননা করেছেন। বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হাতে কলমে একটি রোবট বিমান নির্মান করা হয়েছে। বিমান নির্মানের প্রতিটি ধাপের চিত্র ক্যামেরা দিয়ে তোলা হয়েছে । এই চিত্রের মধ্যে কাগজে আকা নকশা থেকে কম্পিউটর মডেল, মডেল থেকে কাঠ কেটে বিমানের ফিউজেলেজ বানানো, ডানা বানানো, ইঞ্জিন লাগানো, চাকা লাগানো, রঙ করা সহ প্রতিটি ধাপের চিত্রসমূহ বিস্তারিত বর্ননা সহকারে ধারাবাহিভাবে সন্নিবেশিত হয়েছে।এর সাথে ডিজাইন করা হয়েছে, রোবট বিমানের ফ্লাইট কম্পিউটর, যার সাহায্যে বিমানটি আকাশে উড়তে পারে, চারপাশ সর্ম্পকে তথ্য নিতে পারে। আরও যোগ করা হয়েছে, ক্যামেরার মাধ্যমে আকাশ থেকে চিত্রগ্রহন প্রযুক্তি এবং সেই চিত্রকে টিভি বা কম্পিউটরে প্রেরনের কৌশল সহ বিবিধ বিষয়াবলী।

রোবট বিমান নির্মানের বিষয়টি আরও সহজ করার জন্য, প্রতিটি বইয়ের সাথে সংযোজিত আছে, এক দশমিক ছয় ফিট দৈঘ্যের, একটি ইলাষ্টিক ইঞ্জিন বিমানের ড্রইং এবং টেকনিক্যাল গাইড। এই ড্রইং এবং গাইডটি অনুসরন করে, মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যই একটি ইলাষ্টিক ইঞ্জিন বিমান বানানো সম্ভব, যেটি সত্যই আকাশে উড়তে পারে।

বইটি সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে এবং বইটি পড়তে ভিজিট করুন অনলাইন সাইট

https://sites.google.com/site/dynamicpb/courses

সবাই ভাল থাকুন।

Leave a Reply