স্মার্টফোন শুধুমাত্র কথা বলার যন্ত্র নয়। ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য আদর্শ ডিভাইসও। সঙ্গে যদি গেমস খেলার নেশা থাকে তা হলে তো কথাই নেই। কখন যে চুপিসারে আপনার স্মার্টফোনের চার্জ শেষ হয়ে যাবে, আপনি নিজেও জানবেন না।

জরুরি মুহূর্তে ফোনের চার্জ শেষ হয়ে গেলে, সেই বিপদজনক পরিস্থিতির মোকাবেলায় রয়েছে পাওয়ার ব্যাংক। এজন্য বাজারে রয়েছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ক্যাপাসিটির পাওয়ার ব্যাংক। এর ফলে অনেককেই পাওয়ার ব্যাংক বাছাই করতে গিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়। পাওয়ার ব্যাংকের সব স্পেসিফিকেশনও জানা থাকে না সবার। ফলে বিভ্রান্তি আরও বাড়ে।

তাই পাওয়ার ব্যাংক কেনার আগে কিছু বিষয় আগেই জেনে রাখুন।

কিছু তথ্য জেনে নিন পাওয়ার ব্যাংক কেনার আগে

* পাওয়ার ব্যাংকে কতক্ষণ চার্জ দেওয়া উচিত?

– পাওয়ার ব্যাংক-এ কতক্ষণ চার্জ দিতে হবে তা পাওয়ার ব্যাংকটির ক্যাপাসিটির ওপর নির্ভর করে। বেশি ক্ষমতার পাওয়ার ব্যাংকে বেশি সময় চার্জ দিতে হতে পারে। এছাড়া কীভাবে চার্জ দিচ্ছেন তার ওপরেও চার্জিংয়ের সময় নির্ভর করে। অরিজিনাল চার্জার ব্যবহার করলে দ্রুত ও নিরাপদভাবে চার্জ দেওয়া সম্ভব।

* কখনো কখনো পাওয়ার ব্যাংক ফুল চার্জ হতে বেশি সময় লাগে কেন?
– অনেক সময়, কম ক্ষমতাসম্পন্ন চার্জার বা ল্যাপটপ থেকে চার্জ দিলে চার্জ হতে বেশি সময় লাগে। তাছাড়া কী কেবল ব্যবহার করছেন বা তাপমাত্রার ওপরেও চার্জিংয়ের সময় নির্ভর করে।

* mAh কী?
– mAh হল মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ার। অর্থাৎ এক ঘণ্টা ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে পাওয়ার ব্যাংকটি কত তড়িৎপ্রবাহ সরবরাহ করতে পারে। যদি কোনো পাওয়ার ব্যাংক-এর ক্ষমতা ৬০০০mAh হয়, তার মানে বোঝায় ওই পাওয়ার ব্যাংকটি টানা ১ ঘণ্টা ধরে ৬০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে। বড় ব্যাটারির ক্ষেত্রে একে Ah বা অ্যাম্পিয়ার আওয়ারে মাপা হয়।

* যদি কোনো পাওয়ার ব্যাংকের ক্ষমতা ১২০০০mAh হয় তবে তা দিয়ে ১৫০০mAh একটি ফোনকে ৮ বার চার্জ করা সম্ভব?
– এই ভুলটা প্রায় সবাই করে থাকেন। কোনো পাওয়ার ব্যাংক কোনো ফোন কতবার চার্জ করা যাবে তা জানতে নিম্নলিখিত ফরমুলা ব্যবহার করুন।
প্রথমে মনে রাখতে হবে, যে কোনো ব্যাটারি ব্যবহার হতে শুরু করলে বা না-করলেও তার ধারণক্ষমতা ক্রমশ কমতে থাকে। তাই কোনো ব্যাটারির আসল ধারণ ক্ষমতা খাতায় কলমে তার ধারণক্ষমতা থেকে পৃথক হয়। ব্যাটারির আসল ধারণ ক্ষমতাকে রিয়েল ক্যাপাসিটি বলে।
রিয়েল ক্যাপাসিটি ব্যাটারির অবস্থা/ফোন ক্যাপাসিটি = সর্বমোট চার্জ টাইম
যেমন: ১২০০০x ০.৮ x০.৮/১৫০০ = ৫.১২ বার (০.৫-১ বার কম বা বেশি হতে পারে)

* কনভারসন রেট কী?
– একটি পাওয়ার ব্যাংক তার ব্যাটারির ক্ষমতার সমান তড়িৎপ্রবাহ সরবরাহ করতে পারে না। পাওয়ার ব্যাংকের ভিতরে ব্যাটারি ছাড়াও একটি সার্কিট থাকে। চার্জিং ও ডিসচার্জিং নিয়ন্ত্রণ করে সার্কিটটি। সেটিকে চালাতেও বেশ কিছুটা বিদ্যুৎ খরচ হয়।

* পিসিবি কী?

– পিসিবি’র পুরো কথাটি হল প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড। এই পিসিবি বোর্ডের আইসিগুলোই যেকোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্রে যাবতীয় কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

* পাওয়ার ব্যাংক-এ কী বিস্ফোরণ হতে পারে?

– হ্যাঁ পারে। এবং ভয়ানক বিস্ফোরণ হতে পারে। যে কোনো পাওয়ার ব্যাংক নির্দেশনা মেনে ব্যবহার না করলেই বিস্ফোরণ হতে পারে

4 thoughts on "Power bank কিনার আগে একবার দেখে নিন।"

  1. Aray Contributor says:
    Tnx…
  2. Raju Author Post Creator says:
    স্বাগতম।
  3. mobidul Contributor says:
    Akti valo power bank model bolen
  4. Levi Author says:
    সুন্দর পোস্ট।

Leave a Reply