সাহসিকতার সাথে আপনার জীবন, কর্ম ও আত্মবিশ্বাস বদলে দিতে পারে এমন একটি বই। যা পড়ার পর জীবনের প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পুরোপুরি বদলে যেতে পারে।
সাহসিকতার সাথে বদলে ফেলুন আপনার জীবন, কর্ম ও আত্মবিশ্বাস।
লেখকঃ মেল রবিন্স
অনুবাদঃ আনিস কবির
প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
মূল্যঃ ৩০০ টাকা
পাতা সংখ্যাঃ ৯৬
সাইজঃ ২.৫ এমবি
লেখকের কথাঃ
এটা হলো দ্য ফাইভ সেকেন্ড রুল (৫ সেকেন্ড সময় বিধি) সংক্রান্ত সত্যি গল্প।
এটা কি, কেন কাজ করে এবং কেমন করে মাত্র ৫ সেকেন্ড সময়ে সারা পৃথিবীর মানুষ তাদের জীবন বদলে দিতে এর ব্যবহার করে, আমরা সেটাই দেখব।
* এই বইতে বর্ণিত ঘটনাসমূহ বাস্তব হতে নেয়া।
* কারো নাম এখানে পরিবর্তন করা হয়নি।
* সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত পোস্টসমূহ সত্যি। (উল্লেখ্য – অনুবাদ গ্রন্থে পোস্টসমূহ সরাসরি অন্তর্ভুক্তির বাইরে রাখা হলো)।
আমি আর অপেক্ষা করতে পারছি না বইটি আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে এবং এটা দেখতে যে, আপনার অন্তর্নিহিত শক্তিকে আপনি কেমন করে বন্ধনমুক্ত করছেন।
অনুবাদকের কথাঃ
দ্য ফাইভ সেকেন্ড রুল (ORIGINAL PDF COPY)
প্রাত্যহিক জীবনে আমরা প্রতিনিয়তঃ বিচিত্র মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা প্রত্যক্ষ করে থাকি কিংবা তার ভেতর দিয়ে আমাদের জীবনকে পরিচালিত করে থাকি। জীবনের এই নিয়তঃ পথচলায় আমরা পরিবর্তিত পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনাপূর্বক ক্রমাগত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি এবং বাস্তবায়নযোগ্য হিসেবে চূড়ান্ত নির্ধারণ করে থাকি। কিন্তু প্রাত্যহিক মানসিক অবস্থান কিংবা মনোবলের ঘাটতি থাকার কারণে যার বেশিরভাগ সিদ্ধান্তই আমরা কার্যক্ষেত্রে সাফল্যের সঙ্গে প্রয়োগ করতে বিলম্ব করি বস্তুতঃ কিছু ক্ষেত্রে ব্যর্থ হই।
ছোট্ট একটি উদাহরণ দেয়া যাক। মনে করি প্রাত্যহিক নিয়মে আগামীকাল সকালে আমাকে একটি নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে যেতে হবে কিংবা ব্যবসায়িক প্রয়োজনে আমাকে একটি পূর্ব নির্ধারিত বৈঠকে উপস্থিত থাকতে হবে। এক্ষেত্রে দুটি সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলো। (এক) রাতে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমিয়ে পড়তে হবে এবং (দুই) পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমিয়ে খুব ভোরে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে উঠে পড়তে হবে। কিন্তু ঘুমিয়ে পড়ার আগে অনেকগুলো বিষয় এসে আমার মাথায় চেপে বসলো। আমি চাইলাম কিছুক্ষণের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় কাটাতে এবং তারপর ইউটিউব-এ দুএকটি ভিডিও দেখতে এবং তারও পরে নতুন কোনো ই-মেইল-এর সন্ধানে ব্যক্তিগত ই-মেইল একাউন্টটি একটু খুলে দেখতে। নিজেকে এই বলে বোঝালাম যে, কাজগুলো করতে কীবা এমন সময় ব্যয় হবে।
কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল যে, আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবেশ করার পর তা থেকে আর বের হতে পারছি না। অতঃপর দুএকটি ইউটিউব ভিডিও দেখার চিন্তা করে একের পর এক ভিডিও দেখে চলেছি। এবং অবশেষে ব্যক্তিগত ই-মেইল একাউন্টটি যখন খুলে বসেছি, তখন রাত প্রায় শেষ হতে চলেছে। এখন আপনিই চিন্তা করে দেখুন আগামীকালকের ঘটনাপ্রবাহ কোনপথে ধাবিত হতে চলেছে। সঠিক সময়ে ঘুমাতে না যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সকালবেলা সঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠতে না পারা এবং তারই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে একটি ব্যর্থ দিনের সূত্রপাত আর ধারাবাহিক ভোগান্তি! তাই নয় কি? এখন প্রশ্ন হলো– এটি কি ধরনের সমস্যা এবং এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায়ই বা কি?
সহজ ভাষায় এই সমস্যাটির নাম আলসেমি বা ঢিলেমি। যার প্রতিকার সম্পূর্ণতঃ ডাক্তারীশাস্ত্র কিংবা মনোবিজ্ঞানের আওতাধীন নয়। মেল রবিন্স ঠিক এই সমস্যাটিকে চিহ্নিত করে এর থেকে মুক্তির উপায় উদ্ভাবন করেছেন দ্য ফাইভ সেকেন্ড রুল-এ। যার মূল তত্ত্বটি হলো– আপনি যখনই একটি সিদ্ধান্ত সঠিক হিসেবে গ্রহণ করবেন, অতঃপর তা বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে কোনোরকম ঢিলেমি করা চলবে না। ক্ষণ গণনা করুন ৫-৪-৩-২-১ এবং শুরু করে দিন। পশ্চিমা বিশ্বে যা কখনো ১০ থেকে, কখনোবা ৩ থেকে গণনা করা হয়। এটি হলো রকেট-এ করে মহাশূন্যযান উৎক্ষেপণ করার মতো একটি বিষয়। একবার উৎক্ষেপণ করার পর শুধুই সামনে ছুটে চলা। পেছনে ফেরার আর কোনো অবকাশ নেই।
পাঠক, আসুন ক্ষণ গণনা শুরু করি ৫-৪-৩-২-১ এবং আবিষ্কার করি আমাদের অন্তর্গত মহাশক্তির স্ফুরণ!
আনিস কবির
ঢাকা, ২০১৯
দ্য ফাইভ সেকেন্ড রুলঃ ORIGINAL PDF COPY
3 thoughts on "দ্য ফাইভ সেকেন্ড রুল (ORIGINAL PDF COPY)"