আসসালামু আলাইকুম,

এসএসসি পাশ করে স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে কলেজে উঠেই সবার মাথায় একটা প্রশ্ন অনেক ঘুরপাক খায়।সেটা হলো,কোন রাইটারের বই পড়া উচিত?।স্কুলে সরকার নির্দিষ্ট বই সবার মাঝে বিতরবণ করে,কিন্তু কলেজে সেটা পুরোপুরি ভিন্ন।প্রত্যেক বিষয়ে অনুমোদন প্রাপ্ত অনেক লেখকের বই থাকে।বাজারে এতো বই থাকে,কোনটা পড়া উচিত সেটা নিয়ে অনেকেই কনফিউজড থাকে।কিংবা সঠিক লেখকের বই না পড়ে অনেকেই বিপদে পরে যায়।আজকে লিখবো এইচএসসিতে কোন লেখকের বই পড়া উচিত এবং কেনো পড়া উচিত।

কোন লেখকের বই পড়া উচিত:

আলোচনা শুরুর আগেই একটা ব্যাপার মেনশন করা উচিত।আপনি কোন রাইটারের বই পড়বেন সেটা অনেকটা নির্ভর করে আপনার ফিউচার প্ল্যান এর উপর।এইসএসসি পাশ করে আপনার প্ল্যান কি সেটা আগে ঠিক করতে হবে।এবং সেটি ঠিক করার সময় হলো,এইচএসসির শুরুতেই।আপনার লক্ষ যদি হয় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া তাইলে আপনার বই নির্বাচন হবে একরকম। আবার যদি আপনার লক্ষ হয় মেডিকেল পড়ে ডাক্তার হওয়া তাইলে আপনার বই নির্বাচন হবে অন্য রকম।তাই সবার উচিত এইচএসসি লাইফের শুরুতেই লক্ষ নির্বাচন করা।নিম্নে কোন রাইটারের বই পড়া উচিত সেটা নিয়ে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করা হলো।

বাংলা,ইংরেজি,আইসিটি:

এই তিনটা সাবজেক্ট সাইন্স,কমার্স,আর্টস সবার পড়তে হয়।বাংলা প্রথম পত্র এবং ইংরেজি প্রথম পত্র বোর্ড থেকেই দেওয়া হয় তাই সেটা নিয়ে তেমন কনফিউশন হয়না।

বাংলা(২য়) :

বাংলা দ্বিতীয় নিয়ে অনেক রাইটারের বই আছে।তবে আমার সবচেয়ে গুছানো লেগেছে, অক্ষর পত্র পাবলিকেশন এর বইটি।তাই সেটি সাজেশন থাকবে।

আইসিটি:

আইসিটি নিয়ে অনেকের কনফিউশন থাকে।তবে একটা বিষয় স্পষ্ট করতে চাই সেটা হলো,আইসিটিতে বর্তমানে বোর্ড বই আছে তাই সবার উচিত বোর্ড বর পড়া।আগে বোর্ড বই ছিলো না তাই বিভিন্ন লেখকের বই পড়তে হতো।এখন কিন্তু সব এমসিকিউ,সিকিউ আসে আইসিটি বোর্ড বই থেকেই।তাই সবার উচিত বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত বই ফলো করা।

ফিজিক্স:

আপনার লক্ষ যদি হয় মেডিকেল পড়া তাইলে অবশ্যই ইসহাক স্যারের ফিজিক্স বই পড়া উচিত।কেননা,ইসহাক স্যারের বই এর অনুশীলনী এবং রিডিং থেকেই পদার্থবিজ্ঞান এর ৮০ শতাংশ প্রশ্ন মেডিকেলে এসে থাকে।

আর যাদের ইচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং তাদের জন্য, ইসহাক স্যার কিংবা তপন স্যার যেকোনো একটা পড়লেই হবে।আমি নিজে তপন স্যারের বই ফলো করছিলাম।এখানে খুব ভালোভাবেই কনসেপ্টগুলো দেওয়া হয়।

রসায়ন:

ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা মেডিকেল রসায়নের জন্য অবশ্যই হাজারী স্যারের বই পড়তে হবে।হাজারী স্যারের বই এর ইনফরমেশন,বিক্রিয়াগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ।হাজারী স্যারের বই থেকেই ঘুরে ফিরে আসবে।

তবে একটা সমস্যা হলো,হাজারী স্যারের বইয়ে ইনফরমেশনগুলো খুবই এলোমেলো,গুছানো কম।তাই কেউ চাইলে হাজারী স্যারের বইয়ের পাশাপাশি অক্ষরপত্র পাবলিকেশন এর লিংকন স্যারের বই থেকে গুছিয়ে শিখতে পারেন।তবে কোনোভাবেই হাজারী স্যারের বই এর ইনফরমেশন মিস করা যাবে না।

হায়ারম্যাথ:

উচ্চতর গণিতের ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারিং আর মেডিকেলের জন্য দুই ধরণের পরামর্শ থাকবে।যারা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বে ওদের জন্য অবশ্যই, কেতাব উদ্দিন স্যারের বইটা পড়া উচিত।এখানে কিছু এডভান্স ম্যাথ দেওয়া থাকে যেগুলো হুবুহু বুয়েট,চু/কু/রুয়েট এ এসে থাকে।

যাদের ইঞ্জিয়ারিং পড়ার ইচ্ছে নেই ওরা চাইলে অক্ষরপত্র পাবলিকেশন এর বইটা পড়তে পারে

জীববিজ্ঞান:

বায়োলজির জন্য প্রাইমারি হিসেবে সবসময় অটোচয়েজ থাকে।উদ্ভিদবিদ্যা(বোটানি) এর জন্য আবুল হোসেন স্যারের বইটা পড়া উচিত।প্রাণিবিদ্যা(জুলোজি) এর জন্য গাজী আজমল স্যারের বই পড়া উচিত।

তবে যারা মেডিকেল দিবে ওরা চাইলে এগুলোর  পাশাপাশি,আলিম স্যার এবং মাজেদা বেগম ম্যাম এর বই পড়তে পারে।তবে,উপরের গুলো শেষ না করে এগুলো ফলো করা বোকামি হবে।

 

 

এইচএসসিতে সব বিষয়ে এ প্লাস পাওয়ার অভিজ্ঞতা এবং ব্যাচমেট এবং সিনিয়রদের পাওয়া পরামর্শ থেকেই উপরের সাজেশনটা লেখা।হাতে সময় থাকলে,ইঞ্জিনিয়ারিং এডমিশন নিয়ে লিখবো ইনশাআল্লাহ।যেকোনো প্রয়োজন এ ইনবক্স করতে পারেন আমার ফেসবুকে।

হাতে সময় থাকলে পড়ে নিতে পারেন ট্রিকবিডিতে আমার লেখা,

এইচএসসিতে জিপিএ ফাইভ পাওয়ার শর্টকাট ও পূর্নাঙ্গ গাইডলাইন

 

 

ফেসবুকে আমি, Sabbir

 

Leave a Reply