ফ্যাশন জগতে নিজেকে নিখুতভাবে উপস্থাপনের আগ্রহ শুধু মেয়েদেরই নয়, পুরুষেরও। শুরুর দিকে শুধুমাত্র মেয়েরাই ফ্যাশনের ব্যাপারে সচেতন ছিল। সময়ের সঙ্গে বদলেছে সবকিছুই। ছেলেরা আজকাল নিজের স্টাইলের ব্যাপারে বেশ সৌখিন। নতুন পোশাক, বিভিন্ন ডিজাইনের জুতো, রোদচশমা, নতুন ধরণের চুলের স্টাইল সবক্ষেত্রেই ছেলেদের ফ্যাশনের বিষয়টি সামনে চলে আসছে। প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে ছেলেদের ফ্যাশন ইণ্ডাস্ট্রিও এখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কোনো ছেলে নিজেকে ফ্যাশনেবল দেখতে চায়, তাহলে তাকে কিছু বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। যেমন, কোন জিনিসগুলো তার সঙ্গে মানায় কিংবা কোন ধরণের পোশাক পরলে তাকে ভালো দেখাবে। অনেক ছেলেই মনে করে দামী পোশাক কিংবা দামী পারফিউম তার ব্যক্তিত্বকে আরও ধারালো করে তোলে, যা সম্পূর্ণই ঠিক ধারণা নয়। নিজেকে স্টাইলিশ দেখানোর জন্য শুধু জানা থাকা দরকার সঠিক জিনিস বাছাই করার গুণ। আর সেজন্য-
– আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যায়, এমন পোশাক নির্বাচন করুন।
– পোশাকটি যেন আপনার মাপমতো এবং আরামদায়ক হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। আপনার বয়স কম নাকি বেশি সেটি এখানে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। বিষয় হল- আপনার স্বাচ্ছন্দ্য আর পরিবেশ উপযোগী করে নিজেকে উপস্থাপন করা।
– শরীরের আকৃতি, গায়ের রঙ, চুলের রঙের দিকে খেয়াল রেখে ব্যবহৃত অনুষঙ্গগুলো নির্বাচন করুন।
– ব্যবহার্য জিনিস নির্বাচনের ক্ষেত্রে যদি সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন অবশ্যই অভিজ্ঞ বন্ধু, বড় ভাই কিংবা আপনার ঘনিষ্ঠ কারো সাহায্য গ্রহণ করুন যারা আপনার চেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
– পারফিউম বা বডিস্প্রের ব্যাপারে নাকের স্বস্তিকে প্রাধান্য দিতে হবে। বেশি উগ্র গন্ধ নিজেকে যেমন অস্বস্তিতে রাখবে, আশেপাশের মানুষকেও রাখবে।
– দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানে থাকলে তার প্রচলিত রুলস মেনে চলার চেষ্টা করুন। আশেপাশের ব্যক্তিত্ববানদের অনুসরন করতে পারেন।
– বডি ফিটনেসের ব্যাপারে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। মানুষকে স্টাইলিশ করে তোলার আরেকটি মাধ্যম হল বাচনভঙ্গি। এর জন্য উচ্চারণের ছোট একটি কোর্স করে নিতে পারেন।
– গঠনমুলক বই পড়ার অভ্যাস মানুষের চিন্তা চেতনাকে সমৃদ্ধ করে। তার প্রতিফলন ঘটে বাহ্যিক চেহারাতেও।
– সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান, ফ্যাশন ম্যাগাজিন কিংবা ফ্যাশন এক্সপার্টেরও সাহায্য নিতে পারেন।
2 thoughts on "পুরুষদের স্টাইলিশ ও আর্কষনীয় করে দেখানোর উপায় দেখে নিন!"