পবিত্র রমজানের প্রথম দশ দিন তথা
রহমতের শেষ দিন আজ বৃহস্পতিবার।
এবারের মতো ফুরিয়ে যাবে রহমতের
দশক। আগামীকাল থেকে শুরু হবে
দ্বিতীয় দশ দিন তথা মাগফিরাতের দশ
রোজা।
এরপর তৃতীয় দশ দিন তথা নাজাতের।
মুমিন বান্দা আল্লাহর রহমতে সিক্ত
হয়ে মাগফিরাত অর্জন করে,
জাহান্নাম থেকে মুক্তির সনদ লাভ
করে রমজানের বিশেষ ইবাদতে। আশা
করি আকাক্সক্ষার এ রহমত আমরা লাভ
করেছি।
আল্লাহর নবী মুহাম্মদ (স.) বলেন,
‘রমজানকে তিন ভাগে ভাগ করা
হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দশদিন আল্লাহর
রহমত নাজিলের, দ্বিতীয় দশদিন
গোনাহ মাফ তথা মাগফিরাতের এবং
নাজাতের জন্য নির্ধারিত।’
নবী করিম (সা.) পবিত্র রমজান মাসে
অধিক হারে এবং বিপুল পরিমাণে
সদকা দিতেন। ইবনে আব্বাস থেকে
বর্ণিত, রাসুল (সা.) মানুষের মধ্যে
সর্বাধিক দানশীল ছিলেন। রমজানে
তিনি আরো বেশি দানশীল হতেন, যখন
হজরত জিব্রাইল (আ.) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ
হতো।
রমজানে হজরত জিব্রাইল (আ.) রাসুল
(সা.) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন।
জিব্রাইলের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে
রাসুল (সা.) মুক্ত বায়ুর চেয়েও বেশি
কল্যাণময় দানশীল হতেন।
মুক্ত বায়ুর কল্যাণ যেমনি পৌঁছে যায়
সবার কাছে, রাসুলের দানও পৌঁছে
যেত সবার কাছে নির্বিশেষে।
যেন চোখের পলকেই শেষ হয়ে গেল
রহমতের দিনগুলো। আমরা কী
নিজেকে রহমতস্নাত করতে পেরেছি?
রমজানের এ পবিত্র সময়ে নিজেকে
কেউই বঞ্চিত হতে চাই না। পরের
দশকের মাগফিরাত আর নাজাতের
সময়গুলো অতি গুরুত্ব দিয়ে নিজেকে
ইবাদত এবং আমলে ডুবিয়ে রাখতে
হবে।
আল্লাহতায়ালা আমাদের রহমতের
বারিধারায় সিক্ত করুন। আমিন
4 thoughts on "আজ রহমতের শেষ রোজা"