♥♥আসসালামু আলাইকুম♥♥
♥সবাই কেমন আছেন?আশা করি সবাই ভালো আছেন।আর আপনাদের দোয়ায় আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
পোস্টর বিষয়ঃ
আমি আপনাদের সামনে আবারো একটি ইসলামিক পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।হযরত মুহাম্মদ (সা:)এর মহামূল্যবান বাণি পার্ট ১.২ নিয়ে আলোচনা করেছি।আজকে পার্ট ৩ নিয়ে আলোচনা করব।[/b]
অর্থ ও আল্লাহ ভীতিঃ
?১০৪.যে আল্লাহকে ভয় করে, তার ধনী হওয়াতে দোষ নেই। (মিশকাত)
?১০৫. যে আল্লাহকে ভয় করে, তার জন্যে অর্থের প্রাচুর্যের চেয়ে শারীরিক সুস্থতা উত্তম। (মিশকাত)
সত্য মিথ্যাঃ
?১০৬. সত্য দেয় মনের শান্তি আর মিথ্যা দেয় সংশয়। (তিরমিযী)
প্রফুল্লতাঃ
?১০৭. মনের প্রফুল্লতা আল্লাহর একটি অনুগ্রহ। (মিশকাত)
ক্ষতিগ্রস্থ লোকঃ
?১০৮. যার দুটি দিন সমান গেলো, সে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। (দায়লমী)
ব্যাখ্যাঃ হাদীসটির মর্ম হলো, যে ব্যক্তি প্রতিদিন নিজেকে আগের দিনের চেয়ে এক ধাপ উন্নত কতে পারেনা, কিছুটা এগিয়ে নিতে পারেনা, সে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পিছিয়ে পড়ে।
ভালো মানুষঃ
?১০৯.তোমাদের মধ্যে ভালো মানুষ তারা, যাদের দেখলে আল্লাহর কথা স্মরণ হয়। (ইবনে মাজাহ)
খাবার আদবঃ
?১১০. ডান হাতে খাও এবং যা নিকটে তা থেকে খাও। (সহীহ বুখারী)
মেহমানদারিঃ
?১১১. যে আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেনো নিজের মেহমানকে সম্মান -যত্ন করে। (সহীহ বুখারী)
ভালো কাজঃ
?১১২. প্রতিটি ভালো কাজ একটি দান। (সহীহ বুখারী)
?১১৩. উত্তম লোক সে, যার বয়স হয় দীর্ঘ আর কর্ম হয় সুন্দর। (তিরমিযী)
মুসলমানের অধিকারঃ
?১১৪. মুসলমান সে, যে নিজের অনিষ্টকর ভাষা ও কর্ম থেকে মুসলমানদের নিরাপদ রাখে। (সহীহ বুখারী)
?১১৫. মুসলমানকে গালি দেয়া ফাসেকী আর হত্য করা কুফরী। (সহীহ বুখারী)
?১১৬. প্রত্যেক মুসলমানের জন্যে অপর মুসলমানদের রক্ত, সম্পদ ও ইজ্জত সম্মানযোগ্য। (সহীহ মুসলিম)
ব্যাখ্যা : হাদীসটির অর্থ এভাবেও বলা যায় :
মুসলমানের জন্যে মুসলমানের রক্তপাত করা এবং সম্পদ ও ইজ্জত নষ্ট করা হারাম।
মুহাজিরঃ
?১১৭. মুহাজির সে,যে আল্লাহর নিষেধ করা কাজ ত্যাগ করে। (সহীহ বুখারী)
শোকর ও সবরঃ
?১১৮.যে খেয়ে শোক আদায় করে, সে ধৈর্যশীল রোযাদারের সমতূল্য। (তিরমিযী)
?১১৯. সবর হলো আলো। (সহীহ মুসলিম)
ধোকা হিংসা বিদ্বেষঃ
?১২০. যে কাউকেও প্রতারণা করলো সে আমার লোক নয়। (সহীহ মুসলিম)
?১২১. সাবধান! তোমরা হিংসা করা থেকে আত্মরক্ষা করো। (আবু দাউদ)
?১২২. তোমরা একে অপরের প্রতি হিংসা করোনা, ঘৃণা বিদ্বেষ কারো না এবং পরস্পর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়োনা। (সহীহ মুসলিম)
শিশু
?১২৩. শিশুরা আল্লাহর ফুল।(তিরমিযী)
পরিজনের কাছে উত্তমঃ
?১২৪. তোমাদের মাঝে উত্তম লোক সে, যে তার পরিবার পরিজনের কাছে উত্তম। (ইবনে মাজাহ)
জনসেবাঃ
?১২৫. রোগীর সেবা করো এবং ক্ষুধার্তকে খেতে দাও। (সহীহ বুখারী)
?১২৬. আল্লাহ সকল কিছুর প্রতি দয়া ও সহানুভূতি দেখাবার নির্দেশ দিয়েছেন। (সহীহ মুসলিম)
?১২৭. আল্লাহ ততোক্ষণ বান্দাহর সাহায্য করেন, যতোক্ষণ সে তার ভাইয়ের সাহায্য করে। (সহীহ মুসলিম)
?১২৮. যে তার ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণ করে, আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করেন। (সহীহ বুখারী)
?১২৯. তোমার ভাইয়ের বিপদে আনন্দ প্রকাশ করোনা। (তিরমিযী)
ব্যক্তিত্ব গঠনঃ
?১৩০. মুসলমান ব্যক্তির ইসলামনের সৌন্দর্যগুলোর একটি হলো, নিরর্থক কথা ও কাজ ত্যাগ করা। (তিরমিযী)
?১৩১. লজ্জা ঈমানের অংশ। (মিশকাত)
?১৩২. যখন সাহায্য চাইবে, আল্লাহর কাছে চেয়ো। (মিশকাত)
আল্লাহকে স্মরণ করাঃ
?১৩৩. যে তার প্রভুকে স্মরণ করে, আর যে করেনা, তাদের উদাহরণ হলো জীবিত ও মৃতের মতো। (সহীহ মুসলিম)
সত্য কথাঃ
?১৩৪. সত্য কথা বলো, যদিও তা তিক্ত। (ইবনে হিব্বান)
কর্মকৌশলঃ
?১৩৫. প্রচেষ্টার চেয়ে বড় কোনো যুক্তি নাই। (ইবনে হিব্বান)
নিন্দুকঃ
?১৩৬. কোনো নিন্দুক জান্নাতে প্রবেশ করবেনা। (বুখারী)
রাগঃ
?১৩৭. রাগে উত্তেজিত হলে চুপ করে থাকো। (আদাবুল মুফরাদ)
?১৩৮. তোমাদের কেউ যখন উত্তেজিত হবে, সে যেনো অযু করে আসে। (আবু দাউদ)
অহংকারঃ
?১৩৯. যার মনে বিন্দু পরিমাণ অহংকার আছে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবেনা। (সহীহ মুসলিম)
সালামঃ
?১৪০. তোমাদের মাঝে সালাম আদান প্রদানের ব্যাপক প্রচলন করো। (সহীহ মুসলিম)
?১৪১. সবচেয়ে কৃপণ লোক সে, যে সালাম আদান প্রদানে কৃপণতা করে। (তিবরানী)
দয়া ও ভালোবাসাঃ
?১৪২. যারা পৃথিবীতে আছে তাদের দয়া করো, তাহলে যিনি আকাশে আছেন তিনি তোমাকে দয়া করবেন। (মিশকাত)
?১৪৩. যে মানুষের প্রতি দয়া করেনা, আল্লাহ তার প্রতি দয়া করেননা। (সহীহ বুখারী)
?১৪৪.তোমরা মুমিন হবেনা যতোক্ষণ একে অপরকে ভালোবাসবেনা।
শরীরের অধিকারঃ
?১৪৫. তোমার উপর তোমার শরীরের অধিকার রয়েছে। (সহীহ বুকারী)
ব্যাখ্যা : শরীরের অধিকার হলো, শরীর সুস্থ রাখা ও বিশ্রাম নেয়া।
প্রতিবেশীর অধিকারঃ
?১৪৬. প্রতিবেশীর প্রতি সুন্দর সহানুভূতির আচরণ করো, তবেই মুমিন হবে। (মিশকাত)
?১৪৭. সে মুমিন নয়, যে নিজে পেট পূরে খায় আর পাশেই তার প্রতিবেশী না খেয়ে থাকে। (বায়হাকী)
প্রাচুর্যঃ
?১৪৮. মনের প্রাচুর্যই আসল প্রাচুর্য। (সহীহ বুখারী)
?১৪৯. আল্লাহ তোমার ভাগে যা রেখেছেন, তাতে সন্তুষ্ট থাকো, তবেই হবে সবচেয়ে প্রাচুর্যশালী। (মিশকাত)
?১৫০. যার উদ্দেশ্য হয় পরকাল লাভ করা, আল্লাহ তার অন্তরে প্রাচুর্য দান করেন। (তিরমিযী)
জান্নাত ও জাহান্নামঃ
?১৫১. জান্নাত এতই আকর্ষণীয় যে, তার আকাংখীর চোখে ঘুম আসেনা। (তিবরানী)
?১৫২. দোযখ এতোই ভয়াবহ যে, তার থকে পলায়নকারীর চেখে ঘুম আসেনা। (তিবরানী)
মনের মরিচিকাঃ
?১৫৩. মনের মধ্যে লোহার মতোই মরিচিকা পড়ে। আর তা দূর করার উপায় হলো ক্ষমা প্রর্থনা করা। (বায়হাকী)
?আজ এখানেই শেষ করছি,সবাই ভালো থাকুন সুস্হ থাকুন আর নিত্য নতুন নতুন ট্রিক্স ও টিপস এবং ইসলামিক পোস্টট পেতে ট্রিকবিডির সাথেই থাকুন।
♥আল্লাহ হাফেজ
7 thoughts on "হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মহামূল্যবান বাণী[পার্ট ৩]"