♥♥আসসালামু আলাইকুম♥♥
♥সবাই কেমন আছেন?আশা করি সবাই ভালো আছেন।আর আপনাদের দোয়ায় আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
পোস্টের বিষয়ঃ
?আপনাদের সামনে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)এর মহামূল্যবান বাণী এর পার্ট ১,২,৩, নিয়ে আলোচনা করেছি।আজকে পার্ট ৪ নিয়ে আলোচনা করব।
?যারা এর আগের পার্ট গুলো দেখেননি প্লিজ তারা নিচের লিংক এ গিয়ে আগের পার্ট গুলো দেখবেন
?প্রথম পার্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন
?দ্বিতীয় পার্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন
?তৃতীয় পার্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন
?চলুন এখন আজকের পোস্টের আলোচনায় আসা যাক।
?হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মহামূল্যবান বাণী (সাঃ) পার্ট ৪
অধীনস্থঃ
?১৫৪. অধীনস্থদের সাথে নিকৃষ্ট আচরণকরী জান্নাতে প্রবেশ করবেনা। (আহমদ]
মৃতদের গালি না দেয়াঃ
?১৫৫. মৃতদের গালি দিয়োনা।
উড়ো কথা প্রচার না করাঃ
?১৫৬.প্রতিটি শোনা কথা বলে বেড়ানোটাই মিথ্যাবাদী হবার জন্যে যথেষ্ট। (সহীহ মুসলিম)
মর্যাদা দানঃ
?১৫৭.মর্যাদা অনুযায়ী মানুষকে সমাদর করো। (আবু দাউদ)
সতর্কতাঃ
?১৫৮.মুমিন এক পাথরে দুইবার হোঁচট খায়না। (সহীহ বুখারী)
অট্টহাসিঃ
?১৫৯.অধিক হাসাহাসি অন্তরকে মেরে ফেলে। (তিবরানী)
সন্তানঃ
?১৬০.তোমাদের সন্তানদের মর্যাদা দান করো এবং তাদের সুন্দর আচার ব্যবহার শিখাও। (ইবনে হিব্বান)
শক্তিমান কে ?
?১৬১.শক্তিশালী সে, যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। (সহীহ মুসলিম)
অধঃপতনঃ
?১৬২.যার কর্ম তাকে ডুবায়, তার বংশ তাকে উঠাতে পারেনা। (সহীহ মুসলিম)
শাসক হবে তেমনঃ
?১৬৩.তোমরা হবে যেমন, তোমাদের শাসকও হবে তেমন। (মিশকাত)
অপরের দোষঃ
?১৬৪.যে ব্যক্তি একজন মুসলমানের দোষ গোপন করবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন করবেন। (সহীহ মুসলিম)
আল্লাহর বিধান পালনঃ
?১৬৫. হারাম থেকে বেঁচে থাকো, আল্লাহ তোমাকে হিফাযত করবেন। (তিরমিযী)
সৌভাগ্যঃ
?১৬৭.আল্লাহর সিদ্ধান্ত সন্তুষ্ট থাকতে পারা আদম সন্তানের একটি সৌভাগ্য। (তিরমিযী)
কি নিয়ে উঠবেঃ
?১৬৮.প্রতিটি বান্দা কিয়ামতে তাই নিয়ে উঠবে, যা নিয়ে সে মরেছে। (সহীহ মুসলিম)
নেতাঃ
?১৬৯.নেতা হবে মানুষের সেবক। (দায়লমী)
?১৭০. তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেককেই তার দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
?১৭১. মানুষের অবস্থা উটের মতো, একশটি উটের মধ্যে ও একটি ভালো সোয়ারী পাওয়া যায়না। (সহীহ মুসলিম)
রসূলুল্লাহ সাঃ
?১৭৫.আমি রসূলুল্লাহ (সা) চাইতে অধিক সুন্দর কোনো কিছু দেখিনি। (আবু হুরাইরা রা. তিরমিযী)
?১৭৬.আমি কাউকেও রসূলুল্লাহর (সা) চাইতে দ্রুত চলতে দেখিনি। (আবু হুরাইরা রাঃ তিরমিযী)
?১৭৭.রসূলুল্লাহ (সাঃ) কাছে কিছু চাওয়া হয়েছে আর তিনি ‘না’ বলেছেন, এমন কখনো হয়নি। (জাবির : সহীহ বুখারী)
?১৭৮.রসূলুল্লাহ (সাঃ) রোগীর সেবা করতেন এবং কফিনের সাথে যেতেন। (আনাস রাঃ ইবনে মাজাহ)
?১৭৯.রসূলুল্লাহ (সা) দীর্ঘ সময় চুপ থাকতেন। (জাবির বিন সামু রাঃ শরহে সুন্নাহ)
?১৮০.রসূলুল্লাহ (সা) যখন কথা বলতেন, তখন কেউ ইচ্ছে করলে তাঁর বক্তব্যের শব্দ সংখ্যা গুণে নিতে পারতো। (আয়েশা রাঃ সহীহ বুখারী)
?১৮১.রসূলুল্লাহ (সা) কথা বলতেন থেমে থেমে স্পষ্ট করে। (জাবির রাঃ আবু দাউদ)
?১৮২.রসূলুল্লাহ (সা) সাথে কেউ খারাপ ব্যবহার করলে বিনিময়ে তিনি খারাপ ব্যবহার করতেন না, বরং ক্ষমা করে দিতেন এবং উপেক্ষা করতেন। (আয়েশা রাঃ তিরমিযী)
?১৮৩.আমি প্রেরিত হয়েছি রহমত হিসেবে। (সহীহ মুসলিম)
?১৮৪.সুখবর তার জন্যে, যে আমাকে দেখেছে। সাতবার সুখবর ঐ ব্যক্তির জন্যে যে আমাকে দেখেনি, অথচ আমার প্রতি ঈমান এনেছে। (আহমদ)
সাহাবায়ে কিরামঃ
?১৮৫.আমার উম্মতের উত্তম লোক হলো আমার সময়ের লোকেরা। (সহীহ বুখারী)
?১৮৬.আমার সাহাবীদের সম্মান দান করো, কারণ তারা তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম। (মিশকাত)
?১৮৭.আমার সাহাবীদের গালি দিওনা। (সহীহ বুখারী)
আবু বকর রাঃ
?১৮৮. আমি যদি আমার প্রভুকে ছাড়া আর কাউকেও বন্ধু বানাতাম, তবে অবশ্যি আবু বকরকে বন্ধু বানাতাম। (সহীহ বুখারী)
?১৮৯.হে আবু বকর! (পর্বত) গুহায় তুমি আমার সাথী ছিলে, হাউজে কাউসারেও তুমি আমার সাথী থাকবে। (তিরমিযী)
?১৯০.নিজের সাথীত্ব ও অর্থ দিয়ে আমাকে সকলের চেয়ে অধিক সহযোগিতা করেছে আবু বকর। (সহীহ বুখারী)
?১৯১.হে আবু বকর ! আমার উম্মতের মধ্যে তুমিই সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবে। (আবু দাউদ)
উমর রাঃ
?১৯২.আল্লাহ উমরের যবান ও অন্তরে সত্য সন্নিবেশ করে দিয়েছেন।(তিরমিযী)
?১৯৩.আমার পরে যদি কেউ নবী হতো, তবে অবশ্যি উপর বিন খাত্তাব হতো। (তিরমিযী)
শ্রেষ্ঠ নারীঃ
?১৯৪.পৃথিবীর সর্বোত্তম নারী ইমরানের কন্যা মরিয়ম আর খুয়াইলিদের কন্যা খাদীজা। (সহীহ বুখারী) নোট : মরিয়ম ছিলেন হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের মা, আর খাদীজা ছিলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রী। দু’ আর নিয়ম ও গুরুত্ব
?১৯৫.যখন কিছু প্রার্থনা করবে, আল্লাহর কাছে করবে। (মিশকাত)
?১৯৬.দু’আ ইবাদত। (তিরমিযী)
?১৯৭.দু’আ ইবাদতের মস্তিস্ক। (তিরমিযী)
?১৯৮.আল্লাহর কাছে তাঁর অনগ্রহ চাও। তাঁর কাছে প্রার্থনা করাকে আল্লাহ খুবই পছন্দ করেন। [তিরমিযী)
?১৯৯.যে আল্লাহর কাছে চায়না, আল্লাহ তার উপর রাগান্বিত হন। (তিরমিযী)
?২০০.আমি আল্লাহর কাছে দিন একশ’ বার ক্ষমা প্রার্থনা করি। (সহীহ মুসলিম) তাওবা
?২০১.বান্দাহ যখন অপরাধ স্বীকার করে এবং তাওবা করে, তখন আল্লাহ তার তাওবা কবুল করেন। (সহীহ বুখারী)
ব্যাখ্যা : তাওবা মানে ফিরে আসা। তাওবা করার অর্থ – অন্যায়, অপরাধ ও ভুল হয়ে গেলে তা স্বীকার করে সে জন্যে অনুশোচনা করা ও তা থেকে, ফিরে আসা এবং এমন কাজ আর কখনো না করার সিদ্ধান্ত নেয়া।
?২০২.সব আদম সন্তানই ভুল করে। তবে এদের মধ্যে উত্তম হলো তারা যারা ভুলের জন্যে তাওবা করে। (তিরমিযী) রসূলুল্লাহর কতিপয় দু’আ
?২০৩.হে আল্লাহ ! আমি তোমার কাছে পানাহ চাই দুশ্চিন্তা থেকে, মনোকষ্ট থেকে, বার্ধক্য থেকে, আলস্য ও কাপুরুষতা থেকে এবং কৃপণতা ও ঋণের বোঝা থেকে। (সহীহ বুখারী)
?২০৪.হে আল্লাহ ! আমার অন্তরে আল্লাহভীতি দাও এবং তাকে পরিশুদ্ধ করো। তুমিই তো তার উত্তম পরিশুদ্ধকারী। (সহীহ মুসলিম)
?২০৫.ওগো আল্লাহ ! আমি তোমার কাছে এমন জ্ঞান থেকে পানাহ চাই যাতে কোনো কল্যাণ নেই। আর এমন হৃদয় থেকেও আশ্রয় চাই যাতে তোমার ভয় নেই। (আহমদ)
?২০৬.আয় আল্লাহ ! আমি তোমার কাছে পানাহ চাই সংশয় থেকে, কপটতা থেকে আর অসৎ চরিত্র থেকে। (নাসায়ী)
?২০৭.হে আল্লাহ ! আমি তোমার কাছে চাই হিদায়াত, আল্লাহভীতি, পবিত্র জীবন এবং প্রাচুর্য। (সহীহ মুসলিম)
?২০৮.ওগো আল্লাহ ! আমাকে ক্ষমা করে দাও, আমার প্রতি দয়া করো, আমাকে সঠিক পথ দেখাও, আমাকে স্বস্তি দান করো এবং আমাকে জীবিকা দাও। (সহীহ মুসলিম)
?২০৯.আমার আল্লাহ ! আমি তোমার কাছে কল্যাণময় জ্ঞান, গ্রহণযোগ্য আমল আর পবিত্র জীবিকা। (আহমদ]
?২১০.ওগো আল্লাহ ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি সুস্থতা, স্বস্তি, বিশ্বস্ততা, উত্তম চরিত্র আর তাকদীরের প্রতি সন্তুষ্টি। (বায়হাকী)
?২১১.আমার আল্লাহ ! আমি তোমার ভালোবাসা চাই, আর যে তোমাকে ভালোবাসে তার ভালোবাসা চাই। (তিরমিযী) জীবন পথের আলো
?আজ এখানেই শেষ করছি,সবাই ভালো থাকুন সুস্হ থাকুন আর নিত্য নতুন নতুন ট্রিক্স ও টিপস এবং ইসলামিক পোস্ট পেতে ট্রিকবিডির সাথেই থাকুন।
♥আল্লাহ হাফেজ
4 thoughts on "হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মহামূল্যবান বাণী[পার্ট ৪]"