তো কি অবস্থা সবার ?
আশাকরি সবাই ভালোই আছেন

না থকলেও ভালো থাকা শিখতে হবে
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের যতটা ভালো রেখেছে তার জন্য আমরা হাজার হাজার শুকরিয়া আদায় করি।
কারণ যদি তোমরা আশে পাশের মানুষদের কথা লক্ষ করো
তবে বুঝতে পারবে তুমি কতটা সুখি।
সব কিছুই মনের ব্যাপার
তুমি অল্পতেই যদি খুশি হও
আর তার জন্য যদি শুকরিয়া আদায় করো
তবে আল্লাহ তোমাকে আরো
রহমত করবেন।☺?
যাই হোক থাক এসব কথা
আসল কথায় আসি
আমরা মানুষ!!
আর আমরা নাকি অভ্যাসের দাশ
এই কথাটা অনেকেই বলে
তো আজ আমরা শিখবো কিভাবে অভ্যাসকে আমাদের দাশ বানানো যায়
আমরা যা কিছু করি তা আমাদের ব্রেইন নিয়ন্ত্রিত।
আর এই ব্রেইন বা মগজ দুই ভাগে বিভক্ত
১) Conscious Brain
২) Sub Conscious Brain
এখন বলবেন ভাই
এই দুইটা আবার কি????
আমার ব্রেইন তো একটাই
উল্টাপাল্টা বকেন কেনো????
আর
ঐ দুইটার অর্থ অর্থই বা কি???
যদিও এই সাইটের সবাই অনেক ইন্টেলিজেন তার পরেও অনেকে জানেনা এটা ।

Conscious Brain = সচেতন মস্তিস্ক
আর
subconscious Brain = অবচেতন মস্তিস্ক

আসলে আমরা যে কাজ গুলো আনেক ভেবে চিন্তে করি সেসব কাজ আমাদের Conscious ব্রেইন করে

আর যেগুলো আমরা প্রতিনিয়ত করি তা করে আমাদের Subconscious ব্রেইন

যেমন আমার উদাহরন-ই দিই
যখন আমাকে আমার বাবা-মা
আমাকে আমার গ্রামের বাড়িতে এনে একটি স্কুলে ভর্তি করে দেয় তখন কিন্তু আমি সেখানকার রাস্তা-ঘাট চিনতাম না
চেনার পর
প্রতিদিন স্কুল যেতাম কখনো বাইসাইকেলে চেপে
আবার কখনো বা হেটে
কিন্তু তখন আমার সব কিছুই বুঝে শুনে যাওয়া আসা করতে হতো
অর্থাৎ তখন আমার Conscious Brain কাজ করতো
কিন্তু এখন যেতে যেতে এমন একটি অভ্যাস হয়ে গেছে যে আর আমাকে রাস্তা খুজতে হয়না
কখন ডানে কখন বামে তাও ভাবতে হয়না।
কখনো কখনো আমি বাড়ি থেকে স্কুলে চলে আসি
রাস্তায় কিভাবে আসলাম
আশে পাশে কে কে ছিলো সেটাও মনে থাকে না
কারন তখন আমি অন্য কথা ভাবছিলাম
কিন্তু কেনো??
কারন,
আমাদের ব্রেইন ঐ কাজ গুলোর কথা না ভেবে অন্য যেকোনো গুরুত্বপুর্ণ কথা চিন্তা করে
আর বাকি কাজ গুলো যেমন বাড়ি থেকে স্কুল আসা Subconscious brain কন্ট্রোল করে।
Subconscious Brain আরো অনেক কিছু কন্ট্রল করে যেমনঃ আমাদের হাসি,কান্না,রাগ ইত্যাদি।
যখনি আমরা একটি কাজ বার বার করতে থাকি তখন সেটা আমাদের Conscious brain একটি প্যাটার্ন বানিয়ে Subconscious Brain কে দিয়ে দেয়।
আর এটা কিন্তু আমাদের উপর নির্ভর করে
কারন Conscious brain থাকে আমাদের কন্ট্রোলে কিন্তু Subconscious Brain আমাদের কন্ট্রোলে থাকে না
তাই যেই কাজগুলো আমরা বেশি করি সেটা আমাদের অভ্যাস হয়ে যায়
আর পরে সেটা চেস্টা করেও বদলাতে পারি না

এগুলো গেলো Brain সম্পর্কে ভালো কথা গুলো।
কিন্তু সমস্যা এখানেই যে

আমাদের ব্রেইন ভালো আর খারাপের মধ্যে তফাৎ খুজে পায় না।
তাই আমাদের ভালো অভ্যাসের চেয়ে খারাপ অভ্যাস গুলোই বেশি হয়।
কারন,
আমরা ভালো কাজের চেয়ে খারাপ কাজ গুলোই বেশি রিপিড করি
আমাদের মধ্যে ৯৯% মানুষ রয়েছে যাদের বদ্ অভ্যাস বলেন বা খারাপ অভ্যাস বলেন বা

আসক্তি বা নেশা বলেন
একটি না একটি আছেই।

এখন প্রশ্ন,
অভ্যাস তৈরি হয় কিভাবে বা কি কি নিয়ে অভ্যাস গঠিত??

The Power of habit বই এর
লেখক বলে‌ছেন যে অভ্যাস সাধারনত
৩ টি‌ অংশ দিয়ে গঠিত

1) Cue/ বা বোঝার জন্য আমরা এটা কে অজুহাত বলবো

2) Routine

3) Reward

এই তিনটি অংশ সব ধরনের আভ্যাস বা বদঅভ্যাসেই পাবেন।

এখন বলবেন
ভাই ঐ তিন টা বুঝিয়ে দেন

Example:


সিহাব আর বিজয় দুই বন্ধু।
বিজয় ধুমপান করে
তাই সে সিহাবকে ধুমপানের জন্য আনেক ডাকাডাকি করে
যেহেতু শুধু তার কাছে না
সবার কাছেই বন্ধুত্ত অনেক
দামি একটি সম্পর্ক
তাই
সিহাব তার কথায় সারা দিয়ে ধুমপান চলু
করে দেয়
প্রথমত সিহাব সময় কাটানোর জন্য আর যখন মন চাইবে ছেরে দিবো এসব ভেবে শুরু করে।
কিন্তু কিছুদিন পর সে নিজেই বিজয় কে নিয়ে ধুমপান করতে বাইরে চলে যায়।
এখনে
বিজয় হচ্ছে সিহাবের Cue বা আজুহাত
অর্থাৎ বিজয়কে দেখলেই সিহাবের ধুমপান করতে মন চায়।
আর তাদের Routine হচ্ছে

∆ দোকান থেকে সিগারেট কেনা
∆ নির্দিষ্ট জায়গায় যাওয়া
∆ গল্প করতে করতে শুরু করা

আর শেষটা হলো Reward
সিগারেটের ভিতর যে নিকটিন থাকে সেটা হচ্ছে তাদের জন্য Reward
এটা পেলেই তারা রিলেক্স ফিল করে।

এখন,
আমরা আমাদের অভ্যাসের সাথে লড়াই করবো না।
কারন,
আপনারা হয়তো দেখেছেন অনেক মানুষ নিজের উপর কন্ট্রোল রেখে তার খারাপ অভ্যাস গুলো কে অনেক দিন পর্যন্ত দমিয়ে রাখে কিন্তু
আবার অনেক শক্তিশালি Cue বা অজুহাত পাওয়ার পর তার ঐ বদ অভ্যাস গুলো ফিরে আসে।
আমার মনে হয় না এটার কোনো উদাহরন দেওয়ার প্রয়োজন আছে
কারণ
আপনাদের মধ্যেই অনেকে প্রেমিকার সাথে ব্রেকআপ করে
রাগের মাথায় নিজেকে শান্ত রাখার জন্য বদ অভ্যাস গুলো কে চালু করে দেয়।

The Power of habit বইয়ের লেখক বলেন
এক ব্যাক্তি প্রতিদিন পিৎজা খেত
তাই তার ধিরে ধিরে শারিরিক সমস্যা দেখা দিতে লাগলো
তখন সে তার বদ অভ্যাস কি কি দিয়ে গঠিত সেটা বের করলো
১) Cue
সে লক্ষ করলো
তার ৩:০০ pm থেকে ৪:০০ টার মধ্য পিৎজা অনেক খেতে মন চায়।
কারণ সে সময়ে সে একাএকা থাকতো। আর তার অনেক বরিং লাগতো
আর এটাই ছিলো তার Cue বা অজুহাত
তাই তার মতো আপনারাও
আপনাদের Cue বা অজুহাত বের করুন।

২) Routine

লোকটি তার রুটিন বের করলো।
সে প্রতিদিন Cue পাওয়ার পর সোজা
∆একটি হোটেলে যেতো
∆তারপর পিৎজা কিনতো
∆তারপর বন্ধুদের সাথে গল্প করতে করতে তা খেতো
আপনারাও ঐ ব্যাক্তির মতো Routine বের করুন।

৩) Reward
সব শেষে তো জানেনি
ঐ খাদ্যের যে স্বাদ বা মজা সেটাই ছিলো তার Reward
তো ঐ ব্যাক্তি এসব কিছু বের করলো এবং দুটি উপায়ে সে একমাসের মধ্যেই তার বদ অভ্যাস শেষ করে ফেললো।


উপায় গুলো হলো:
১) আপনার বদ অভ্যাস কি কি দিয়ে গঠিত তা বের করা
যা আমরা ইতিমধ্যেই বের করে ফেলেছি
আর
২) আপনার ঐ Cue,Routine, Reward কে অন্য এক Cue,Routine,Reward এর সাথে রিপ্লেস করে দিন অর্থাৎ পাল্টা পাল্টি করে দিন।

কি বুঝেন নাই ???


Example:


সেই ব্যাক্তি তার Cue,Routine, Reward বের করার পরে,
∆১ম দিন তার আবার ৩:০০ pm থেকে ৪:০০ pm এর মধ্যে পিৎজা খেতে মন চাইলো
সে প্রতিদিনের মতো তার ব্রেইন কে সারা দিয়ে ঐ দোকানে গেলো কিন্তু
আজ সে আর পিৎজা কিনলো না।
সে পিৎজার বদলে ডেইরি মিল্ক চকলেট কিনলো
এবং প্রতিদিনের মতো একি জায়গায় গিয়ে তার বন্ধুদের সাথে বসে গল্প করতে করতে সেটা খেল।
∆২য় দিন ও সে একি কাজ করলো বাট চকলেটের জায়গায় আজ অন্য কিছু কিনলো।
∆৩য় দিন সে দোকানে গেলো বাট কিছুই কিনলো না এবং সেখান থেকে ঐ স্থানে গিয়ে বন্ধুদের সাথে গল্প করে চলে এলো
এভাবে সে এক মাস ট্রাই করলো এবং অবশেষে সে পরিত্রান পেলো

আপনাদের সব ধরনের বদ অভ্যাসের solution ঐ দুইটি উপায়ের মাধ্যমেই শেষ হবে।

আমাকে এক ভাই ২২ তারিখে বলেছিলো তার টিভি দেখার অনেক নেশা
আমি বলেছিলাম ২৩ তারিখে এই পোস্টটি করবো কিন্তু ভাই আমি দুঃখিত কিছু কাজের জন্য পরলাম না
তাই আজ করলাম।
তুমি ঐ কাজ গুলো করে অন্য এক অভ্যাসের সাথে পাল্টা পাল্টি করে নিতে পারো
∆তুমি ঐ সময়ে কোনো গল্পের বই পড়তে পারো,
∆বাইরে খেলা ধুলা করতে যেতে পারো
অর্থাৎ
যেসব তোমার ভালো লাগে
আমার বলা উদাহরন গুলোই যে তোমার ভালো লাগতে হবে এমন টা নয়
তোমার ইচ্ছে মতো এক অভ্যাস তৈরি করো।
অবশ্যই ভালো অভ্যাস তৈরি করতে বললাম

আমি কি করি জানেন??
আমি ঐ সময়ে ছাদের উপর উঠে তাহসানের শান্তো ধরনের গানগুলো
মোবাইলে লাগিয়ে দিই আর তার সাথে প্রকৃতিকে উপোভাগ করি

যারা সেটাও পারবা না
∆তারা ঐ সময়ে কোনো গুরুত্বপুর্ন কাজে লেগে যেতে পারো
∆অনলাইনে কাজ করতে পারো
∆ইউটিউবে ভালো ভালো ঙ্গানের ভিডিও দেখতে পারো

আর সেটাও ভালো না লাগলে ∆ফেসবুকের বইপোকা নামের এক গ্রুপ আছে সেখানে ঢুকে সুন্দর সুন্দর গল্প পরতে পারো

আমিও যদি কখনো ঐ গ্রুপে ঢুকে গল্প পড়া শুরু করি তো আমার ২-১ ঘন্টা সময় ওখানেই কেটে যায়

∆ আর সবথেকে ভালো উপায় হলো নামজ শুরু করুন

দেখুন যদি আমি উদাহরন দিতে শুরু করি
তো আমার ফোনের চার্জ শেষ হয়ে যাবে কিন্তু উদাহরন শেষ হবে না।
আপনাদের কাছেও হয়তো অনেক অপশোন আছে
চেষ্টা করুন……………..
ফল আল্লাহ তায়ালা দেবেন তো চিন্তা কিসের?
তো আজকের পর্ব মেইন কথা শেষ।

আর আপনাদের আমি এসব The power of habit??
বই থেকে শেখা কিছু নলেজ শেখানোর চেস্টা করেছি।

আজ এই পর্যনতই তত দিন ভালো থাকুন এই শুভো কামোনাই রইল
আমার আগের পর্ব গুলো দেখতে নিচে ক্লিক করুন

আমার
ফেসবুক আইডি Click here Bro

ফেসবুক পেজ Click here Bro

Have a good day☺?

15 thoughts on "চলুন আজ থেকে আমরা আমাদের আসক্তি, বদঅভ্যাস, নেশাকে সারা জীবনের জন্য শেষ করে দিই"

  1. Shahriar Ahmed Shovon Author says:
    অনবদ্য লিখেছেন!!?? সবুজ রঙ এ না লিখলেও পারতেন। কেমন একটু বুঝতে সমস্যা হচ্ছিল।।
    1. Artist Billal Author Post Creator says:
      Hmm
      Vai cut koreci
    1. Artist Billal Author Post Creator says:
      Tnx
  2. rex boy Contributor says:
    ak kothai supperb likhechen??clap?tobe colours ta na use korlei valo hoto. BTW…thnks?
  3. rex boy Contributor says:
    ak kothai supperb likhechen??clap?tobe colours ta na use korlei valo hoto. BTW…thnks?
    1. Artist Billal Author Post Creator says:
      Thanks
      Color cut koreci
  4. Artist Billal Author Post Creator says:
    ভাই কেও একজন বলবেন??
    কিভাবে ইউটিউব ভিডিও এড দিতে হয়??
    1. Artist Billal Author Post Creator says:
      Dhonnobad
    1. Artist Billal Author Post Creator says:
      Thanks
  5. VIP Contributor says:
    Keu ki wapkize ar jonno proxi-fy code ta dite parben?
  6. DjSHasan Contributor says:
    সুন্দর পোষ্ট
    1. Md Billal Hossain Author Post Creator says:
      thanks bro

Leave a Reply