মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের
ওপর সম্প্রতি শতকরা এক শতাংশ সার
চার্জ বৃদ্ধি হলেও এবার কলরেট
কমিয়ে গ্রাহকদের সুসংবাদ দিতে
পারে বাংলাদেশ
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন
(বিটিআরসি)। সংস্থাটি ২০০৮
সালে ‘কস্ট মডেলিং’ পদ্ধতিতে
সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন কলরেট নির্ধারণ
করে দিলেও গত ৭ বছরে এ বিষয়ে
কোন কথা ওঠেনি। তবে গতকাল
সোমবার ‘কস্ট মডেলিং’ পদ্ধতি
সংস্করণের লক্ষ্যে সবগুলো মোবাইল
অপারেটরদের প্রধান নির্বাহীদের
সাথে বৈঠক করেছেন বিটিআরসির
চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস।
বৈঠকে মোবাইল ফোনের কলরেট
কমানোর বিষয়ে দেশের ৬ মোবাইল
ফোন অপারেটরের লিখিত মতামত
জানতে চেয়েছে বিটিআরসি।
আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে এ-
সংক্রান্ত লিখিত মতামত জমা
দিতে বলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার
এ বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা
পিছিয়ে সোমবার নির্ধারণ করা
হয়েছিল। বৈঠকে কলরেটের বিষয়ে
সবার বক্তব্য শোনার পর বিটিআরসি
চেয়ারম্যান লিখিত মতামত জমা
দেওয়ার নির্দেশ দেন।
মোবাইল ফোন অপারেটরদের
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভয়েস
কলরেটের দিক দিয়ে
বিশ্বে অন্যতম সর্বনিম্ন। কলরেট আরও
কমানো হলে তা অপারেটরদের
সেবার মানের ওপর নেতিবাচক
প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এ
ক্ষেত্রে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত
নিতে হবে। আর ভয়েস কলরেটের
ব্যাপারে যেকোনো সিদ্ধান্তের
ব্যাপারে ‘কস্ট মডেলিং’ পদ্ধতি
অনুসরণ করার ওপর আমাদের অবস্থান
তুলে ধরা হবে। অপারেটর-
সংশ্লিষ্টরা আরও মনে করেন,
কোনো অপারেটরকে বিশেষ
সুবিধা দেওয়ার জন্য কোনো
সিদ্ধান্ত যাতে না নেওয়া হয়।
কলরেট কমানো হলে তা সরকারের
রাজস্ব আয় কমানোর পাশাপাশি
অবৈধ ভিওআইপি কলের সংখ্যা
বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে
বিটিআরসি বলছে, কলরেট কমানো
হবে কি হবে না—সেটা এখনই বলা
যাবে না। সব মোবাইল ফোন
অপারেটরের মতামত জেনেই কমিশন
এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নতুন
প্রস্তাবে সর্বোচ্চ কল সীমা
মিনিটপ্রতি ১ টাকা ৫০ পয়সা করার
প্রস্তাব করা হয়েছে। এক অপারেটর
থেকে অন্য অপারেটরে কল করার
ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন কলরেট ৪০ পয়সা
করার প্রস্তাব আছে। আর ইন্টার-
কানেকশন কলচার্জ ১৮ পয়সা থেকে
কমিয়ে ১৩ পয়সা এবং আইসিএক্সের
কলচার্জ ৪ পয়সা থেকে কমিয়ে ৩
পয়সা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়।
মূলত এ বিষয়ে অপারেটরদের অবস্থান
জানা গেছে, ইন্টার-কানেকশন
কলচার্জ কমানোর ক্ষেত্রে
অপারেটরদের মধ্যে মিশ্র মনোভাব
আছে। পাঁচ বেসরকারি
অপারেটরের মধ্যে দুই অপারেটর
কলরেট কমানোর পক্ষে। আর বাকি
তিন অপারেটরের অবস্থান এখনো
পরিষ্কার নয়।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশে মোবাইল
ফোনে প্রতি মিনিট কল করার
সর্বোচ্চ সীমা (সিলিং) প্রতি
মিনিট ২ টাকা ও সর্বনিম্ন সীমা
(ফ্লোর প্রাইস) প্রতি মিনিট ২৫
পয়সা। এক অপারেটর থেকে অন্য
অপারেটরে কল করার ক্ষেত্রে
সর্বনিম্ন কলরেট ৬০ পয়সা। বর্তমান
নিয়ম অনুসারে, এক অপারেটরের কল
অন্য অপারেটরে গেলে তার জন্য
যে অপারেটরে কল যায় তাকে
প্রতি মিনিটে ১৮ পয়সা দিতে হয়।
আর প্রতি মিনিটের জন্য ৪ পয়সা
দিতে হয় ইন্টার-কানেকশন
এক্সচেঞ্জকে (আইসিএক্স)।
By WapGro.Com
করব।