গভমেন্ট থেকে হয়তো এরকম মেসেজ অনেকেই পেয়েছেন, এবং পাওয়ার পরে অনেকেই প্যারায় আছেন।


এছাড়াও বেশ কিছুদিন ধরে টিভি চ্যানেলগুলো কাভার করেছিল যে অফিশিয়াল ফোন গুলো সরকার বন্ধ করতে যাচ্ছে। আর এই জিনিসটা কিন্তু আজ থেকে শুরু হয়নি গত দুই বছর ধরে শোনা যাচ্ছে সরকার এই ব্যাপারে প্ল্যান করছে।
এবং এখনো পর্যন্ত তারা এই ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি।

তো আনঅফিসিয়াল ফোন আদেও বন্ধ হবে কিনা এবং বন্ধ হলে আপনারা ফোনটির মধ্যে নেটওয়ার্ক ইউজ পারবেন না নাকি ফোনটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।
এছাড়াও এই আনঅফিসিয়াল ফোনগুলো ভবিষ্যতে রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ দিবে কিনা সরকার এই সব ধরনের প্রশ্ন গুলো আপনারা অনেকেই করে থাকেন।
এবং আজকের এই পোস্টে এই সব ধরনের প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আমি চেষ্টা করব।

তো প্রথমে যে জিনিসটা আমাদের জানা উচিত সেটি হচ্ছে আনঅফিসিয়াল ফোন গুলো আদেও বন্ধ করা সম্ভব কিনা।
এই প্রশ্নের সোজা উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ গভমেন্ট যদি চাই তাহলে খুব সহজেই আপনার ফোনটিকে নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে আর এখানে তারা এনইআইআর এর মাধ্যমে এই কাজটি করে থাকে।
তবে আপনারা এটা ভেবে হতাশ হবেন না যে আপনার ফোনটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। এখানে গভমেন্ট চাইলে শুধুমাত্র সিমের নেটওয়ার্ক থেকে আপনাকে বঞ্চিত করতে পারেন,
তবে চাইলেই ওয়াইফাই ইউজ করা যাবে।

তো এখন আর একটি প্রশ্ন হচ্ছে সরকার এই কাজটি কবে থেকে করবেন।
দেখুন গত বছরে কিন্তু সরকার অর্থাৎ বিটিআরসি একটা নোটিশের মাধ্যমে আমাদেরকে জানিয়েছিল যে একই আগস্ট থেকে যে কোন স্মার্ট ফোন পারচেজ করার আগে আই এম আই নাম্বারটা যাচাই করে অবশ্যই ক্লিয়ার হয়ে নিবেন যে ফোনটি অফিসিয়াল নাকি আনঅফিসিয়াল।
কারণ সরকার যে কোন সময় আনঅফিসিয়াল ফোন গুলোর নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন করে দিবে তো এই করোনা পরিস্থিতির কারণে সেই জিনিসটি হয়তো তেমনভাবে আর বাস্তবায়ন করা হয়নি।
এবং পরবর্তীতে তারা আমাদেরকে এই সম্পর্কে আর কোন নোটিশ ও দেয় নি এবং বর্তমানেও এই সম্পর্কে কোনো নোটিশ পাওয়া যায়নি।
পুরনো সেই নোটিশ অনুযায়ী বলা হয়েছে যে মেসেজ অপশন থেকে কিভাবে আপনি আপনার ফোনটার বৈধতা যাচাই করবেন এবং সিওর হবেন যে আপনার ফোনটি অফিশিয়াল।

তবে এখানে কিছুটা কনফিউশন রয়েছে এর কারণ হচ্ছে যে অনেক অফিশিয়াল ফোনে আই এম আই নাম্বার টা সরকারের ডাটাবেজে নেই অর্থাৎ গভারমেন্ট যে নতুন একটা ডাটাবেজ তৈরি করেছে সেখানে কিন্তু ম্যাক্সিমাম স্মার্টফোন ই ইএমআই নাম্বার টা রেজিস্ট্রেশন করার নেই।
এছাড়াও পুরনো যেসকল স্মার্টফোন রয়েছে ২০১৬-২০১৭ সালের সেই ফোনগুলোর আই এম আই নাম্বার ও কিন্তু গভারমেন্ট এর কাছে নেই তো গভারমেন্ট এই কাজটা কিভাবে করবেন এটা তারাই ভাল করে জানেন। কারণ আইএমইআই নাম্বার তাদের সার্ভারে রেজিস্টার করা না হয় তাহলে আমাদের সবারই ফোন কিন্তু আনঅফিসিয়াল ফোন হিসাবে বিবেচিত হবে।

শুধুমাত্র কিছু মানুষের স্মার্টফোন বাদে।

এছাড়াও বর্তমানে স্যামসাং অথবা শাওমি বলুন তাদের স্মার্টফোনগুলো তাদের নিজস্ব শোরুম থেকে কেনার পর ও দেখা গিয়েছে আই এম আই নাম্বারটা যাচাই করার পরে ফিরতি মেসেজে জানানো হচ্ছে যে বিটিআরসির ডাটাবেজে এই সমস্ত স্মার্টফোনের আই এম আই নাম্বার রেজিস্ট্রেশন করা নাই।
তো এই ক্ষেত্রে কোম্পানি কিন্তু আমাদেরকে জানান দিচ্ছে যে ডাটাবেজে তাদের আই এম আই নাম্বার অর্থাৎ আপনার ফোন রেজিস্ট্রেশন হতে কিছু টা সময় লাগতে পারে অথবা সময় লাগছে।

মূলত এ কারণেই নতুন স্মার্টফোন গুলোর আই এম আই নাম্বার চেক করার পরে ফিরতি ম্যাসেজে এমনটা লেখা আসছে। এছাড়াও অনেক অসৎ দোকানদার আছে যারা কিনা নরম পাবলিক পেলেই আনঅফিসিয়াল ফোন গুলো অফিশিয়াল ফোন হিসেবে বিক্রি করছেন এবং অফিশিয়াল দামটাই রাখেন।
তাই এখানে আমি অবশ্যই আপনাদেরকে সাজেস্ট করবো এই সমস্ত দোকানদার থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখবেন।

তাছাড়া অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন সত্যি কি সরকারের ক্ষমতা রয়েছে একটি পার্টিকুলার স্মার্টফোনকে বন্ধ করে দেওয়া অর্থাৎ সেই স্মার্টফোন থেকে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া।
তো এই প্রশ্নটির উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ সম্ভব গভারমেন্ট চাইলে সম্ভব আপনারা যদি বিগত কয়েক বছর আগের সিম রেজিস্ট্রেশন এর কথা মনে করেন তাহলে কিন্তু দেখবেন অনেকেই পাত্তা দিচ্ছিলাম না যে সিম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে কিনা?

সরকার কিন্তু তিন মাস এরপর কিছুটা বাড়িয়ে আরো তিন মাস সর্ব মোট ছয় মাস সময় দিয়েছিল যে আপনাদের সিমগুলো রেজিস্ট্রেশন করে ফেলুন আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড দিয়ে।
তো এই সময়ের মধ্যেও যারা সিম রেজিস্ট্রেশন করেননি তাদের সিম গুলো কিন্তু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং পরবর্তীতে তারা কাস্টমার কেয়ার এ গিয়ে সিমগুলো রেজিস্ট্রেশন করে তারপর চালু করেছিল।
তাই সরকারের অবশ্যই ক্ষমতা রয়েছে যে আপনার ফোনের নেটওয়ার্কে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার অর্থাৎ সিমের নেটওয়ার্কে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার।

তো বন্ধুরা এতক্ষণ অব্দি আপনারা হয়তো উত্তরটা পেয়ে গিয়েছেন যে আনঅফিসিয়াল ফোন বন্ধ হবে কিনা এবং বন্ধ হলে ফোন গুলো আপনারা ইউজ করতে পারবেন কিনা।

তো এবার আসা যাক যাদের স্মার্টফোনগুলো অরিজিনালি আনঅফিসিয়াল তাদের কি হবে? সরকার আর বিটিআরসি কি ভবিষ্যতে এই ফোন গুলো রেজিস্টার করার কোন সুযোগ দিবে??
উত্তরঃ হ্যাঁ অবশ্যই দিতে পারে এর আগে কিন্তু এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল যে সিম রেজিস্ট্রেশন করার মত ফোনগুলো কেউ রেজিস্টার করা হবে।
আর এই জিনিসটি এভাবেই হবে যে আপনার সিম আপনি আপনার ফোনে ইনস্টল করবেন এবং সেখান থেকে আপনার নামে আপনার স্মার্টফোনটি রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে।
তবে আপনি যদি আপনার ফোনটি সেকেন্ডহ্যান্ড হিসেবে বিক্রি করতে চান তবে অবশ্যই আপনার ফোনটিকে ক্রেতার নামে রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়া লাগবে।
তো এই জিনিস টা কিভাবে হবে কিভাবে কাজ করবে আর আমাদের কে কেমন ভোগান্তিতে পড়তে হবে সেই সম্পর্কে বিটিআরসি আমাদেরকে তেমন কোনো নোটিশ প্রদান করেননি।

তো এখনো অনেকে জানেন না অফিশিয়াল ফোন আর আনঅফিসিয়াল ফোনের মধ্যে পার্থক্য কি।
তো আমি বলব অফিশিয়াল আর আনঅফিসিয়াল ফোনের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নাই। শুধুমাত্র মাস্টার কপি নকল স্মার্টফোন থেকে আপনারা সাবধান থাকবেন।
কাল ওই সব কিছু মাঠ ফোন কেনা মানে নিজের টাকা পুরোটাই জলে দেওয়া। তাই অবশ্যই কপি এবং নকল স্মার্টফোন থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।
তবে আনঅফিসিয়াল ফোন গুলো অফিশিয়াল ফোন এর মতই হয় কারণ যে ফোনগুলো বাংলাদেশে আসার পরে অথবা তৈরি হওয়ার পরে এখানে সরকারকে কোন রাজস্ব প্রদান করা হয় না মূলত সেই স্মার্টফোনগুলো হচ্ছে আনঅফিসিয়াল।
আর যেসব স্মার্টফোনগুলো সরকারের
ভ্যাট দিয়ে কিনবেন সেগুলো হচ্ছে অফিশিয়াল স্মার্ট ফোন।

তো এই ক্ষেত্রে যদি কোন স্মার্টফোন ব্র্যান্ড বাইরে থেকে স্মার্টফোন ইমপোর্ট করে থাকেন তাহলে তাকে সরকারকে ৫৭ পার্সেন্ট ভ্যাট প্রদান করতে হবে।

আর সেই ট্যাক্স এর অর্থটা মিলিয়ে স্মার্টফোনগুলো অর্থাৎ অফিশিয়ালি স্মার্টফোনগুলোর প্রাইস কিন্তু আনঅফিসিয়াল এর চাইতে বেশি রাখা হয়।
তবে ফোনগুলি যদি বাংলাদেশে তৈরি হতো তাহলে ট্যাক্স এর পরিমাণ কমে গিয়ে একদম ১৭ পার্সেন্ট এ দাড়িয়ে যায়। তাই সে ক্ষেত্রে ফোনের প্রাইজ টাও আনঅফিসিয়াল ফোনের মধ্যে থেকে যাবে।
উদাহরণস্বরূপ রিয়েলমি এবং স্যামসাংয়ের স্মার্টফোনগুলো কিন্তু বাংলাদেশে অ্যাসেম্বল করা হয় তাই সেই ফোনগুলোর প্রাইস অনেকটাই কম হয়।

তো এখন আপনার মনে কোশ্চেন থাকবে পারে যে সরকার এত এক্স কেন নিচ্ছেন?
এর একটাই কারণ হচ্ছে সরকার চাইছে যেবাইরের যতগুলো স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানি রয়েছে তারা বাংলাদেশ ফোন উৎপাদন করুক এবং এর জন্য বাংলাদেশে যাতে করে খুব ভালো একটা কর্মসংস্থা তৈরি হয়।
তো এমনটা হলে আমাদেরকে অবশ্যই আর আনঅফিসিয়াল স্মার্টফোন কিনতে হবে না।

আর সর্বশেষে আমি আপনাদেরকে আবারো জানিয়ে দিচ্ছি যে আপনার ফোনটি অফিশিয়াল নাকি আনঅফিসিয়াল সে জিনিসটি চেক করবেন কিভাবে।
মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে বড় হাতের KYD তারপর একটা স্পেস দিবেন এবং তারপরে আপনার স্মার্টফোনের ১৫ ডিজিটাল ইএমআই নাম্বার টা সেখানে লিখবেন।
এবং সেই মেসেজটি কে সেন্ড করে দিবেন ১৬০০২ নাম্বারে এবং কিছুক্ষণ পরে আপনাকে ফিরতি মেসেজে জানি দেয়া হবে আপনার ফোনটি অফিশিয়াল নাকি আনঅফিসিয়াল।

তো আপনার স্মার্ট ফোনের আইএমইআই নাম্বার টা বের করবেন কিভাবে।
খুবই সাধারণ একটা ব্যাপার আপনার ফোনের ডায়াল প্যাডে চলে যাবেন এবং ডায়েল করবেন *#06# এই নাম্বারটা ডায়াল করুন। তাহলে আপনি দেখতে পারবেন আপনার স্মার্টফোনের আই এম আই নাম্বার।

তো এ ব্যাপারে যদি ভবিষ্যতে আরও কোন আপডেট এসে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো।
পোস্টটি ভাল লাগলে লাইক করবেন শেয়ার করে বন্ধুদের মধ্যে ছড়িয়ে দিবেন আজকের মতো এই পর্যন্তই আল্লাহ হাফেজ।

5 thoughts on "তবে কি এবার সত্যি আনঅফিসিয়াল ফোন গুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে?"

  1. imriyad Contributor says:
    ব্রো নকল/ক্লোন imei এর মানে বোঝো?? নাকি হুদাই আনঅফিসিয়াল, আনঅফিসিয়াল বলে চিল্লা চিল্লি করো?
    1. Hridoy Contributor Post Creator says:
      কে ভাই???
    2. Error X Tech Author says:
      আনঅফিসিয়াল মানে বুঝানো হলো যে, ট্যাক্স ফাকি দিয়ে দেশে আনা অবৈধ ফোন কেনা। সেটা ক্লোন বা অরিজিলাম ম্যাটার করে না,,, ক্লোন ফোন কি কাউকে কামড়ায়? নাকি সরকার অরিজিনাল ফোন বানায়? যে অনেক বড় ক্ষতি হচ্ছে
    3. imriyad Contributor says:
      ami vai
    4. Hridoy Contributor Post Creator says:
      ও আচ্ছা জানতাম না তো।

Leave a Reply