আসসালামুয়ালাইকুম।
সবাই কেমন আছেন..?
আশা করি সবাই ভালো আছেন।
আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD ভিজিট করে না।
তাই আপনাকে TrickBD আসার জন্য ধন্যবাদ।
নতুন কিছু জানতে TrickBD এর সাথেই থাকুন।


অনেকেই হয়তো টাইটেল দেখে বুঝে গেছেন আমি কি নিয়ে পোস্ট করছি। আজকে আমি পৃথিবীতে আসা ৫টি ভয়াবহ ভাইরাস এর বিস্তারিত লিখবো।


তো চলুন শুরু করা যাক


পৃথিবীতে যে শুধু করোনা ভাইরাস ভয়াবহ এসেছে তা নয় এর আগেও অনেক ভয়াবহ ভাইরাস পৃথিবীতে এসেছিল, যা পৃথিবীর মানুষকে চমকে দিয়েছিল। পৃথিবীতে আসা ৫টি ভয়াবহ ভাইরাস যা মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। পৃথিবীতে এমন ভয়াবহ ভাইরাস এসেছিল যার কারণে পৃথিবীর সেনিটাইজার পর্যন্ত শেষ হয়েছিল। আর এই সকল ভাইরাসের কারণে এমন এমন রোগ হয়েছিল যেগুলোকে দেখে কারো গায়ের লোম খারা হয়ে যেতে পারে। আর আমরা জানি যে আপনারা এইসকল ভাইরাসগুলো সমন্ধে জানতে আগ্রহী হবেন। আজকে পার্টে আমি ৫টি ভাইরাস এর মধ্যে ২টি ভাইরাস সম্পর্কে জানাবো।

MARBERG




১৯৬০ সালে সর্বপ্রথম এই ভাইরাস প্রথম পাওয়া গিয়েছিল। এটা প্রায় ইবোলা ভাইরাসের মতই ছিল। যেটি সর্বপ্রথম জার্মানের মারবার্গ শহরে পাওয়া গিয়েছিল এবং ১৯৪০ সালে আবিষ্কার হওয়ার পর প্রায় ৭ বছর এই ভাইরাস সক্রিয় ছিল। ১৯৯৯ সালে এই ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করে। প্রথম দিকে পাওয়া এই ভাইরাস ১৫০ জনের মধ্যে প্রায় ১২৮ জনেরই প্রথমে মৃত্যু হয়েছিল। তারপর এটা কিছুদিন শান্ত হয়েছিল কিন্তু ২০০৪ সালে আবারো এই ভাইরাস ১৯২ টি দেশের মধ্যে ২৭ জনের জীবন কেড়ে নেয়। আর এই ভাইরাস হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে ছড়াতে পারত না। এটা ছড়ানোর একমাত্র উপায় ছিল যদি কোন সংক্রমিত ব্যাক্তির সংস্পর্শে যায় তাহলে এই ভাইরাস ছড়াতে পারত। আর সংক্রমিত হওয়ার পর দ্রুত এরা ছড়িয়ে পড়ত। এছাড়াও সংক্রমিত ব্যাক্তির রক্ত বা নালা যদি কোনো ব্যাক্তির মধ্যে প্রবেশ করে তাহলে খুব দ্রুত এই রোগ সংক্রমিত হয়ে যেত। এছাড়াও যদি মানুষেরা পশুদের মাংস খেত তাহলে এই রোগ দ্রুত তাদের ছড়িয়ে পড়ত। আর এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন আজ পর্যন্ত তৈরি করা হয়নি এবং যারা এই ভাইরাসে সংক্রমিত হতো তাদের একমাত্র উপায় মৃত্যু।

SWAIN FLU




এপ্রিল ২০০৯ এ WHO এর ইততিহাসে সর্বপ্রথম public health emergenchy ঘোষনা করে। যার কারণ ছিল h1 in am নামক একটি ভাইরাস। এই ভাইরাসের কারণে পুরো পৃথিবীতে ২লক্ষ ৮৪হাজার ৫শত জন মানুষকে জীবন হারাতে হয়েছিল আর এটা তো ছিল সরকারি হিসাব প্রকৃত পক্ষে কত লক্ষ মানুষকে জীবন হারাতে হয়েছিল তা কেউ বলতে পারেনি। যখন এই ভাইরাসের আবির্ভাব হয়েছিল তখন এর কোনো একটা নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে এবং ঐ স্থান হলো স্পেন। আর এই ভাইরাসকে স্পেনিশ ফ্লু নামেও জানা যায়। প্রথমে এই ভাইরাস ১৯১৮ থেকে ১৯১৯ সালের মধ্যে মানুষ জেনে গিয়েছিল। আর তারপর থেকে আজ পর্যন্ত বিজ্ঞানিরা নকল ভাইরাসের রাজা হিসাবে ঘোষনা করেছিল এই ভাইরাসকে। আর ১তথ্য অনুযায়ি ঐ সময়ের ভাইরাসের প্রায় ৫০কোটি মানুষকে সংক্রমিত করেছিল। আর যেখানে এই ভাইরাসের মৃত্যু সংখ্যা ছিল প্রায় ৫কোটিরও উপরে। কিন্তু এখনো মানুষ মনে করে সত্যিকারে অর্থে এই ভাইরাসের কারণে প্রায় ১০কোটি মানুষ মারা গিয়েছিল। আর এই ভাইরাস ছোয়াছে ভাইরাস ছিল। আর পরে জানা গেছে যে এই ভাইরাস শুকর থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।

তো আজকের পার্ট এ এই পর্যন্ত।



ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং শরীরের যত্ন নিবেন। আর নিয়মিত নতুন ট্রিক পেতে TrickBD ভিজিট করুন।

আবার দেখা হবে পরের পর্বে । আল্লাহ হাফেজ।

6 thoughts on "[Part 1] জেনে নিন পৃথিবীর ৫টি ভয়াবহ ভাইরাস সম্পর্কে."

  1. Abdus Sobhan Author says:
    post ta aktu choto hoye gelo na vhai
    accha jai hok virus ar picture guloto den apni to coronar pic dicchen sudhu
    1. Muhammad Rahad Author Post Creator says:
      tnx
  2. Dip Dey - Walker #57341 Contributor says:
    সব ভাইরাস কি করোনার মতো দেখতে নাকি ?
  3. Dark_Superman (Mr. Merciless) Contributor says:
    “২০০৪ সালে আবারো এই ভাইরাস ২৫২ টি দেশের মধ্যে ২৭ জনের জীবন কেড়ে নেয়।”
    আপনি ২৫২টা দেশ পান কই থেকে?
    পৃথিবীতে দেশই আছে ২০২০ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী ১৯৫টা।
    ১৯২টা আমরা বইয়ে পড়ি।
    এমন তথ্য দেবার আগে শিওর হবেন আপনার ডাটা ঠিক কিনা।
    অথর হয়ে ভুলভাল লিখবেন তা মোটেও কাম্য নয়।
    পোস্ট সংশোধন করুন।
    1. Muhammad Rahad✅ Author Post Creator says:
      হুম সংশোধন করেছি

Leave a Reply