হুমায়ূন আহমেদ স্যার বলেছিলেন, “আপনি আপনার সকল বান্ধবীর ডাক উপেক্ষা করতে পারেন: কিন্তু মায়ের ডাক উপেক্ষা করার শক্তি প্রকৃতি আমাদেরকে দেয় নাই।
হ্যাঁ তিনি ঠিকই বলেছেন।আপনি সকালের ডাক উপেক্ষা করতে পারেন কিন্তু পিছন থেকে যখন আপনার মা আপনাকে ডাক দিবে তখন আপনার পা সামনের দিকে চলবে না। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া গুলো তে মা বাবাকে নিয়ে অনেক পোস্ট হতে দেখা যায়।
এর মধ্যে এই পোষ্ট টি সত্যিই হ্রদয়টা কেড়ে নেয়।
পৃথিবীতে যার মা বেঁচে আছে সে কখনই গরীব হতে পারে না
কোরআন হাদিস অনুযায়ী মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত। কিন্তু এ হাদীস টি সকলে জানা সত্বেও অধিকাংশ লোকই এ হাদীসের শিক্ষায় দীক্ষিত নন। অতি আশ্চর্যজনক হলেও এটাই সত্যি যে আজকে অনেক মা বাবার ই জায়গা হয়েছে বৃদ্ধাশ্রমে।
যদিও আমরা তাদের কারণেই এই সুন্দর পৃথিবীর মুখ দেখেছি।
না শুনি তাদের কোন কথা। না বুঝি তাদেরকে। না গুরুত্ব দিই তাদের কোনো চাহিদা কে।
এই হল আজকে আমাদের অবস্থা।আজকে আমরা আমাদের সকল কিছুকে উদ্বে রেখে আমাদের মা বাবাকে ভুলে প্রায়।
তাহলে কোথায় গেল আমাদের মনুষ্যত্ব।কোথায় গেল আমাদের বিবেক।আমাদের কাছ থেকে যে এগুলোর হিসাব নিবেন না আল্লাহ তাআলা।
বেশি কিছু বলার নেই। শুধু নিচের ঘটনাটি পড়ে এই পোস্টটি শেষ করছি।
কোন এক মহিলা তার সন্তানকে ডাক দিলেন। যখন তার সন্তান মসজিদে নামাজ পড়ছিলেন। নামাজ পড়ার কারণে তিনি তার মায়ের ডাকে সাড়া দিতে পারেন নাই। তিনি (সন্তান)ভাবলেন একদিকে আমার নামাজ অন্যদিকে মায়ের ডাক কোনদিকে যাবো? ভাবতে ভাবতেই তিনি ঠিক করে নিলেন আগে নামাজটা শেষ করে নিই তারপরে মায়ের ডাকে সাড়া দেওয়া যাবে? কিন্তু মা ততক্ষন অপেক্ষা করলেন না বরং বদ দোয়া করে বললেন , “হে আল্লাহ্ ! পতিতাদের সামনে দেখা না হওয়া পর্যন্ত যেন জুরায়েজের(ঐ ব্যাক্তির নাম) মৃত্যু না হয়”।
পরের ঘটনা;
এক মহিলা নিয়মিত ঐ লোকটার কাছে যাইত। কিন্তু কোনো খারাপ সম্পর্ক ছিল না। কিছুদিন পরে ঐ মহিলার একটি অবৈধ সন্তান হলো। গ্রামের লোকজন ঐ মহিলা কে জিজ্ঞাসা করল; এই সন্তানের বাবা কে?
প্রতুত্তরে মহিলাটি বলল; ঐ লোকটি(যে নিয়মিত একটা মসজিদের ভিতরে নামাজ পড়ে)
একথা শুনে লোকজন তো ঐ লোকটির উপর ক্ষুদ্ব হয়ে গেল।
সবাই একযোগে বলতে লাগল: “ব্যাটা, এখানে নামাজের নাম করে অবৈধ কাজ করছ। তাই না? আজকে তোকে আমরা উচিত শিক্ষা দিবই।”
এই বলে গ্রামের ঐ লোকটাকে খুব মারধর করল। অতিরিক্ত মারার কারনে; লোকটার নাক মুখ দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হতে লাগল। কিন্তু লোকটি ছিল; কামেল। যদিও জ্ঞানের দীনতা ছিল।
লোকটি গ্রামের লোকদের কে বলল, “আপনারা আমাকে শুধুই মেরে যাচ্ছেন। এতে আমার কোনো দোষ নেই। আপনারা চাইলে আমি আপনাদের প্রমাণ দিতে পারি।”
গ্রামের লোকজন বলল, “দেখা তুই কি দেখাবি।”
তখন ঐ লোকটা ঐ অবৈধ সন্তান টাকে কোলে নিয়ে জিজ্ঞাসা করতে লাগল, “এই বল,তোর বাবা কে?”
উপস্থিত সবাই হাসতে হাসতেই বলতে লাগল, “এই দেখ ভন্ডের কান্ডকারখানা।”
কিন্তু সীমা যখন অতিরিক্ত পার হয়ে যাচ্ছিল; তখন ঐ শিশুটি বলতে লাগল; “আমার বাবা ঐ রাখাল।”
তখন উপস্থিত সবাই একদম থথথথ বনে গেল।
পরিশেষে সবাই এই কামেল লোকটার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিল। আর এই মহিলা এবং রাখাল কে শাস্তি দিল।
দেখলেন তো মায়ের বদ দোয়ার কারনে অনেক আমল ওয়ালা লোক ও বিপথে ধাবিত হতে পারে। হতে পারে পথভ্রষ্টঅভিযাত্রীর ন্যায় ।
কিন্তু আজকে লোকজন বিশেষ করে যুবসমাজ তথাকথিত তরুণ সমাজ তাদের মা বাবার মান সম্মান বিলীন করে দিচ্ছে ।
আল্লাহ্ সবাই কে বুঝবার তৌফিক দান করুক ।
15 thoughts on "আপনার সকল বান্ধবীর ডাক উপেক্ষা করার শক্তি থাকলেও এই বান্ধবীর ডাক উপেক্ষা করার শক্তি প্রকৃতি আপনাকে দেয় নাই।কিন্তু এ বান্ধবীটা কে?"