Be a Trainer! Share your knowledge.
Home » Hadith & Quran » সহবাসের সময় আযান দিলে কি করবেন অথবা স্বামী ডাকলে কি করবেন…?

সহবাসের সময় আযান দিলে কি করবেন অথবা স্বামী ডাকলে কি করবেন…?

আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

সহবাসের সময় আযান দিলে কি করবেন

প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আর্টিকেলের আলোচনার বিষয়ঃ সহবাসের সময় আযানের জবাব দেওয়া যাবে কিনা….? যদি এমনটি হয় আযানের সময় আযানের দোয়া জবাব দেওয়া হচ্ছে, এমন সময় স্ত্রীকে তার স্বামী ডাকলো অথবা ফোন কল আসলো তখন তার জন্য উত্তম কোনটা হবে….? আযানের জবাব দেওয়া নাকি স্বামীর ডাকে সাড়া দেওয়া…? এর উত্তর হলোঃ যদি মনে হয় স্বামীর কল ধরতে বিলম্ব হলে তিনি রাগ করবেন বা মন খারাপ করবেন তাহলেই আযানের জবাব বাদ দিয়ে তার সাথে কথা বলা জরুরী।

আর স্বামীর আশেপাশে থাকা অবস্থায় স্বামী ডাকলে তার ডাকে সাড়া দেওয়ার মধ্যেও আযানের জবাব দেওয়ার চেষ্টা করা ভালো যদি সম্ভব হয়। কারণ কারো সাথে টুকটাক কথা বলার ফাঁকে বা কাজ করা অবস্থায় মুখে আযানের জবাব দেওয়া সম্ভব। তবে মনে রাখতে হবে, আযানের জবাব দেওয়া ফরজ বা ওয়াজিব নয় বরং মুস্তাহাব। আর স্বামীর ডাকে সাড়া দেয়া ফরজ। সুতরাং স্বামীর হক আগেই। এ বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করতে হবে।

আযান শ্রবণকারীও মৌখিকভাবে আযানের উত্তর দেওয়া সুন্নত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম ইরশাদ করেন →যখন তোমরা আযান শুনবে এর জবাবে মুয়াজ্জিনের অনুরুপ তোমরাও বলবে। (সহিহ বুখারি হাদিস নাম্বারঃ ৬১১)

আযানের সময় চুপ থাকা সুন্নত। একান্ত প্রয়োজন না হলে সাধারণ দ্বিনি ও দুনিয়াবী কথা বা কাজে লিপ্ত থাকা অনুচিত। বক্তৃতা বা সেমিনার চলাকালীন আযান হলে সাময়িকভাবে স্থগিত রাখবে। ওয়াজ বা কোন দ্বীনি মাহফিল চলাকালেও সাময়িক বন্ধ রেখে সবাইকে আযানের জবাব দেওয়া উত্তম। মনে রাখতে হবে, একজন আযানের জবাব দিলে সবার পক্ষ থেকে তা আদায় হয়ে যায় না। কেননা আযানের জবাব দেওয়া শ্রবণকারী সব মুসলিমের জন্য সুন্নত। আরো আযানের জবাব দেওয়া সুন্নতে কেফায়া নয়। ( ফাতহুল কাদির ১/২৪৮, রদ্দুল মুহতার ১/৩৯৯, ফাতাওয়া মাহামুদিয়া ৫/৪২৭)।

আযানের পর দরুদ শরীফ ও দোয়া পাঠ করা সুন্নত। হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম ইরশাদ করেছেন →যে ব্যক্তি আযানের পর আযানের দোয়া পাঠ করবে তার জন্য আখিরাতে আমার সুপারিশ অবধারিত।( বুখারি হাদিস নাম্বারঃ ৬১৪)

অন্য বর্ণনায় রয়েছে, তোমরা মোয়াজ্জিনের অনুরূপ শব্দে আযানের জবাব দাও, অতঃপর দরুদ পাঠ করো, এরপর আমার জন্য বেহেশতের সর্বোচ্চ সম্মানিত স্থান এর জন্য দোয়া করো, আশা করি আল্লাহ আমাকে সেই স্থান দান করবেন। যে ব্যক্তি এ দোয়া করবে তার জন্য আখিরাতে আমার সুপারিশ অবধারিত। ( মুসলিম হাদিস নাম্বার ৩৮৪)

কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো সহবাসের সময় আযান দিলে করণীয় কি…? এক্ষেত্রে প্রথমেই বলে রাখা দরকার যে, স্বামী স্ত্রী মিলনের সময় আযানের জবাব দেওয়া ঠিক নয়, কারণ প্রস্রাব অথবা পায়খানা বা সহবাসে অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জিকির পছন্দ করতেন না। তবে সহবাসের আগে দোয়া পড়ার কথা বলেছেন।( বুখারী ৪৭৮৭, আবু দাউদ, তিরমিজি, আদাবুয যিফাক ৯৮ পৃঃ)

আর রাসূল (সাঃ) প্রস্রাব পায়খানার সময় প্রয়োজনে ছাড়া কথা বলা মাকরুহ বলেছেন। ( সূত্র আবু দাউদ হাদিস নাম্বার ১৪)

সহিহ মুসলিমের আরেকটি হাদীসে রাসূলে করীম সাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন → ইস্তিঞ্জা করার সময় কোরআন তেলাওয়াত ও জিকির করা মাকরূহ। এবং আযানের উত্তর দেওয়াও এক প্রকার আল্লাহর জিকির।( সহিহ মুসলিম হাদিস নাম্বারঃ ৫৫৫)

সুতরাং এই হাদিসের ব্যাখ্যায় ইমাম নবওবী রহমতুল্লাহি বলেন →হাজত পূরণের জন্য অর্থাৎ (প্রস্রাব পায়খানার জন্য) বসা অবস্থায় কোন ধরনের আল্লাহর জিকির করা মাকরূহ অর্থাৎ অপছন্দনীয় কাজ। সুতরাং এ অবস্থায় তাসবিহ তাহলিল পাঠ করবে না, সালামের জবাব দিবেনা, হাঁচির জবাব দিবে না, হাঁচি দিলে আলহামদুলিল্লাহ পড়বেনা এবং মুয়াজ্জিনের অনুরূপ শব্দ উচ্চারণ করে আযানের জবাব দিবেনা। ফকিহগণ আরও বলেছেনঃ স্বামী স্ত্রী মিলনের সময়ও এসব জিকির-আজকার উচ্চারণ করবে না। তবে এই অবস্থায় হাঁচি দিলে মনে মনে আলহামদুলিল্লাহ পাঠ করবে।

কিন্তু জিহ্বা নেড়ে তা উচ্চারণ করবে না এবং প্রস্রাব পায়খানা ও সহবাসের সময় জিকির পাঠ করার যে মাকরূহ বা অপছন্দনীয় হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হলো এটি হলোঃ এটা মাকরূহে তানযিহী; মাকরূহে তাহরীমী নয়। সুতরাং কেউ যদি ভুলে এমনটি করেও ফেলেন তাতে সে গুনাহগার হবে না।

আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি

3 years ago (Oct 16, 2021)

About Author (493)

MD Shakib Hasan
author

️যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। ( সূরা তালাক আয়াত ৩) ------------------------------------------------ Facebook ID ------------------------------------------------ Facebook Page

Trickbd Official Telegram

7 responses to “সহবাসের সময় আযান দিলে কি করবেন অথবা স্বামী ডাকলে কি করবেন…?”

  1. Uzzal Mahamud Pro Author says:

    আযান হবে ছোট

  2. tanvirtheboss Subscriber says:

    ঐ সময়ে আজান দিলে সাথে সাথে নামাজে দাঁড়িয়ে যেতে হবে

  3. Mr.Sniper Contributor says:

    স্ত্রী কি সহবাস স্বামী ছাড়া অন্য কারো সাথে করেন?
    না হলে সহবাস এর সময় স্বামী কি ভাবে ডাকেন?

    আপনার পোস্ট টাইটেল এ লেখা আছে।

    • MD Shakib Hasan Author Post Creator says:

      স্ত্রী অন্য কাজ করার সময় যদি স্বামী ডাকে সেই সম্পর্কে বলা হয়েছে। আপনি কথাটা অন্যভাবে নিয়ে গেছেন

  4. The GM 404 Author says:

    vi likhe dan saame jodi sohobase dake asole onno rokom mone hosse

Leave a Reply

Switch To Desktop Version