![](https://trickbd.com/wp-content/uploads/2019/12/12/5df18a783d329.jpeg)
আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
সাবধান নামাজ কাযা করছেন? দেখুন শীঘ্রই যে ১৫টি আযাব পাবেন! ও দেখুন আপনি মুসলিম নাকি কাফের
![](https://trickbd.com/wp-content/uploads/2015/08/WipeOut20_31_2022_052003.339000.jpg)
শিরোনাম দেখে হয়তো ইতিমধ্যে বুঝতে পেরেছেন যে কোন টপিকের উপর হতে যাচ্ছে আজকের আলোচনা ।কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক আজকের মূল আলোচনা। ইসলামে ঈমান আনার পর সবচেয়ে বড় ইবাদত হচ্ছে নামাজ। নামাজ কাযা করা জেনা করার চাইতেও নিকৃষ্ট কাজ। নামাজ কাযা করা মানুষ হত্যা করার চাইতেও খারাপ কাজ। হাদীসে এসেছে কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম এই নামাজের হিসাব হবে।
এই নামাজের হিসেবে যে পাশ মার্ক পেয়ে যাবে সে সকল পরীক্ষায় পাস করে যাবে আর যে নামাজের হিসাব ঠিকঠাকমতো দিতে ব্যর্থ হবে সেই হিসেবে সকল ধাপে গিয়ে ধরা খেয়ে যাবে। নবীজি আরো বলেন কাফির আর মুসলিমদের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে নামাজ। আর এই নামাজ কাজা করলে দুনিয়া ও আখেরাতে যে ভয়াবহ শাস্তির কথা বলা হয়েছে কোরআন সুন্নাহকে সেটা আজ তুলে ধরব আপনাদের সম্মুখে ইনশাআল্লাহ।
নামাজ হচ্ছে ইসলামের মূল পাঁচটি বৃত্তির মধ্যে দ্বিতীয় অধিক গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। যা কিনা প্রত্যেকে প্রাপ্তবয়স্কদের উপর ফরয করা হয়েছে। কোরআন ও হাদিস শরিফে বিভিন্ন স্থানে এই নামাজ পড়ার ফজিলত ও না পরার কঠোর বিধানের কথা উল্লেখ আছে। তাই কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম বান্দার সালাতের হিসাব হবে। যদি সালাত যদি সঠিক হয় তবে তার সকল আমল সঠিক বিবেচিত হবে আর যদি সালাত বিনষ্ট হয় তবে তার সকল আমল নষ্ট বিবেচিত হবে। ( তিরমিজি ২৭৮)
আর যা তাদের সালাতে যত্নবান তারাই জান্নাতের ওয়ারিশ যারা ফিরদাউসের ওয়ারিশ হবে এবং তথায় তারা চিরকাল থাকবে। (সূরা আল মুমিন ৯,১০,১১)
মুমিন গণ সফলকাম যা তাদের সালাতে নম্রতা, ভদ্রতা ও ভীতির সাথে দাঁড়ায়। (সূরা আল মুমিন ১,২)
আমরা অনেক সময় নিজের ইচ্ছায় অনিচ্ছায় নিজের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতটিকে আদায় করি না বা ছেড়ে দেই। ইচ্ছাকৃত নামাজ ছেড়ে দেয়া শিরিকের পর সবচেয়ে বড় গুনাহ।
রাসূল (সাঃ) বলেন যে কেউ ইচ্ছাকৃত নামাজ ছেড়ে দেয় আল্লাহ পাক তাঁর হতে তার জিম্মাদারী তো উঠিয়ে নেন। ( বুখারী ১৮, ইবনে মাজাহ ৪০৩৪, মুসনাদে আহমাদ ৭৩৬৪)
অর্থাৎ যে নামাজ ছেড়ে দিল সে জন্য আল্লাহর সাথে সম্পর্ক ছেদ করল। এক হাদীসে আছে রাসূল সাল্লাহু আলাই সালাম বলেছেন নামাজ ছেড়ে দেয়া মানুষকে কুফরির সঙ্গে মিলিয়ে দেয় নামাজ না পড়ার শাস্তি যে ব্যক্তি নামাজের ব্যাপারে অলসতা করে তাকে 15 ধরনের শাস্তি দেওয়া হবে। তার মধ্য থেকে পাঁচ ধরনের শাস্তি দুনিয়াতে, তিন ধরনের শাস্তি মৃত্যুর সময়, তিন ধরনের শাস্তি কবরে,তিন ধরনের শাস্তি কবর থেকে উঠানোর পর।
দুনিয়াতে যে পাঁচটি শাস্তি
১. তার জীবনের বরকত ছিনিয়ে নেওয়া হবে ২.তার চেহারা থেকে নেককারদের নুর দূর করে দেয়া হবে। ৩.তার নেক কাজের কোন বদলা দেওয়া হবে না। ৪. তার কোন দোয়া কবুল হবে না। ৫. নেক বান্দাদের দোয়ার মধ্যে তার কোনো হক থাকবে না।
মৃত্যুর সময় যে তিন ধরনের শাস্তি
১.জিল্লতি ও অপমানের সঙ্গে সে মৃত্যু বরণ করবে। ২.ক্ষুধার্ত অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করবে। ৩. এমন পিপাসা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে যে সমুদ্র পরিমাণ পানি পান করলেও তার পিপাসা মিটবে না।
কবরে যে তিন ধরনের শাস্তি
১. কবর তার জন্য এমন সংকীর্ণ হবে যে এক পাশের বুকের হাড় আরেকপাশে ঢুকে যাবে। ২.তার কবরে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। ৩. তার কবরে এমন একটি সাপ নিযুক্ত করে দেওয়া হবে যার চোখে আগুনের আর নখ গুলো হবে লোহার তার প্রত্যেকটি নখ লম্বা হবে একদিনের দূরত্বের পথ তারা আওয়াজ হবে বজ্রের আওয়াজ এর মত বিকট। বেনামাজিকে বলতে থাকবে আমাকে আমার রব তোর উপর নিযুক্ত করেছেন যাতে ফজরের নামাজ নষ্ট করার কারণে জোহরের পর্যন্ত তোকে দংশন করতে থাকি। জোহরের নামাজ নষ্ট করার কারণে আসর পর্যন্ত দংশন করতে থাকি। আসরের নামাজ নষ্ট করার কারণে মাগরিব পর্যন্ত আর মাগরিবের নামাজ নষ্ট করার কারণে এশা পর্যন্ত আর এশার নামাজ নষ্ট করার কারণে ফজর পর্যন্ত তোকে দংশন করতে থাকি। এই সাপ যখনই তাকে দংশন করবে তখন এসে ৭০ হাত মাটির নিচে ঢুকে যাবে উঠিয়ে আবার দংশন করবে এভাবে কেয়ামত পর্যন্ত এ সাপ তাকে আজাব দিতে থাকবে।
কবর থেকে উত্তোলনের পর বেনামাজির যে চার শাস্তি
১. তার হিসাব খুব কঠিন ভাবে নেওয়া হবে।২.আল্লাহ তাআলা তার উপর রাগান্বিত হয়ে থাকবেন। ৩. তাকে জাহান্নামে ডুকানো হবে। ৪.তার চেহারায় তিনটি লাইন লেখা থাকবে। হে আল্লাহর হক নষ্টকারী। হে আল্লাহর গজব পতিত ব্যক্তি। তুই দুনিয়াতে যেমন আল্লাহর হক নষ্ট করেছিস তেমনি আজ আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ে যাবি। এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে মনটা নরম হলো নামাজ আদায় মন তৈরি হলো আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আমাদের সকলকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করার তৌফিক দান করুক আমীন।
আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি
![](https://trickbd.com/wp-content/uploads/2020/07/17/5f115f2b000e3.png)
https://www.banglanews24.com/public/islam/news/bd/484598.details
নামাজ কাজা করা মানে হচ্ছে নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় না করে পরবর্তীতে আদায় করা। ইসলাম ধর্মে নামাজ পাঁচ ওয়াক্ত পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এবং তা সময়মতো আদায় করার গুরুত্ব অপরিসীম। কাজা নামাজের ক্ষেত্রে দেরি হওয়ার পর তা পরবর্তীতে আদায় করতে হয়। এজন্য নিয়মিত ও সময়মতো নামাজ আদায় করার গুরুত্ব অনেক বেশি।
https://glorycasino.online/