আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি । যাই হোক আমি বেশি কথা বাড়াতে চাই না সরাসরি পোস্টের কথাতে চলে আসতে চায় ।
অনেকেই হয়তো পোস্টের টপিক দেখেই বুঝে ফেলেছেন যে আজ আমি কোন বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি । আজ আমি আপনাদের সাথে ধৈয ও সহিষ্ণুতা সম্পকিত একটি হাদিস নিয়ে আলোচনায় যাচ্ছি । আশা করি সকলে আমার আজকের পোস্ট পড়বেন । ভালো লাগলে লাইক এবং কমেন্ট করবেন ।
হাদিসের বিষয় :
ধৈয ও সহিষ্ণুতা
হাদিস :-
মহানবি হযরত মোহাম্মদ (স) বলেছেন, “মুমিনের সকল কাজ বিস্ময়কর । আর প্রতিটি কাজই তার জন্য কল্যান বয়ে আনে । আর এই কল্যান মুমিন ছাড়া অন্য কেউ লাভ করতে পারে না । যদি সে সুখ-শান্তি লাভ করে, তবে সে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে । এটা তার জন্য কল্যানকর । আর যদি সে দুঃখ-কষ্টে নিপতিত হয় তবে সে ধৈযধারণ করে । এটাও তার জন্য কল্যানকর । (সহিহ মুসলিম)
এই হাদিসে মানবজীবনের নানা সমস্যার মধ্যে কীরূপ আচরণ করতে হবে সে সম্পকে সুন্দর একটি দিকনিদেশনা প্রদান করা হয়েছে । মানবজীবনে সুখের পাশাপাশি দুঃখও বিদ্যমান । এগুলো মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষাস্বরূপ । আল্লাহ তায়ালা সুখ ও দুঃখের মাধ্যমে মানুষকে পরীক্ষা করেন ।
মানুষের উচিত সবসময় আল্লাহর হুকুম পালন করা । প্রকৃত মুমিম ব্যাক্তিই এরূপ করে থাকেন । ফলে সকল অবস্থাই তার জন্য কল্যানকর । কারণ মুমিন ব্যাক্তি দুঃখ কষ্টে নিপতিত হলে হতাশ হয়ে পড়ে না । বরং ধৈয ধারণ করে । খারাপ কাজে লিপ্ত হয় না । ধৈয সহকারে আল্লাহর উপর ভরসা করেন । এতে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন । ফলে আল্লাহ তায়ালা ধৈযকারীর উপর নিয়ামত বাড়িয়ে দেন । ফলে এরকম অবস্থায় ধৈযধারণকারী আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে সবাধিক কল্যান লাভ করে ।
এই হাদিসটি থেকে আমরা ৫টি দৈনন্দিন জীবনের অতি গুরুত্বপূণ শিক্ষা অজন করতে পারি । এগুলো হলো :
১। সুখ-দুঃখ মানবজীবনের স্বাভাবিক বিষয় ।
২। দুঃখ কষ্টের সময় হতাশ হলে চলবে না । বরং ধৈয সহকারে আল্লাহ তায়ালার আদেশ পালন করতে হবে ।
৩। আনন্দের সময়ও আল্লাহকে ভুলে গেলে চলবে না । বরং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে হবে ।
৪। সুখ এবং দুঃখ সবসময় আল্লাহকে স্মরণ রেখে শোকর আদায় ও ধৈয ধারণ করে কল্যান লাভ করা যায় ।
৫। মুমিন ব্যাক্তির সকল কাজই কল্যানজনক । কেননা মুমিন ব্যাক্তি সবসময় আল্লাহকে স্মরণ রাখে ও তাঁর আদেশ পালন করে । কোন সময় তিনি আল্লাহর বিমুখ হন না । আমাদেরকে প্রকৃত মুমিন হতে হলে সবদা আল্লাহর শোকর আদায় করতে হবে ও ধৈয ধারণ করতে হবে ।
তো আজ এই ছিল আমার পক্ষ থেকে । সবাইকে ধন্যবাদ ।
2 thoughts on "জেনে নিন ধৈয ও সহিষ্ণুতা সম্পকিত হাদিস"