আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। কালোজিরা এর গুনাগুন সম্পর্কে আপনি যদি জানেন তাহলে নিশ্চয় আপনি এটি নিয়মিত খেতে পারেন! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও কালোজিরা সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরামের পরামর্শ দিয়েছেন ইনশাল্লাহ।
সত্যিকার অর্থে কালোজিরার উপকারিতা আমরা এই তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে বিজ্ঞানীদের মত প্রকাশ নাহলে হয়তোবা অনেকে বিশ্বাস করতাম না। তবে খাঁটি ঈমানদার অবশ্যই নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতিটি কথাকে বিশ্বাস করবে ইনশাআল্লাহ।
আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করার মূল টপিকঃ1. Kalo jirar opokarita
2. ওজন কমাতে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
3. সকালে খালি পেটে কালিজিরা খাওয়ার উপকারিতা
5. কালোজিরার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
6. কালো জিরার উপকারিতা ও অপকারিতা
7. টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয়
8. পুরুষাঙ্গে কালোজিরার তেল ব্যবহারের নিয়ম
9.প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি ক্ষতি হয়
10. কালোজিরার ক্ষতিকর দিক কি
শুরুতেই মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাল জিরা এই সম্পর্কে একটু কথা বললাম। আসলে তার মূল কারণ ছিল মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কালোজিরা নিজে খেয়েছিলেন।
এমনকি সাহাবা একরাম এরাও এই কালোজিরা সেবন করেছেন। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, Kalo jirar opokarita কত বেশি আল্লাহর পক্ষ থেকে আসবে ইনশাল্লাহ। বর্তমান প্রযুক্তির বিজ্ঞানীরা এই,
কথাকে সমর্থন করতে দ্বিধাবোধ করেনি যে কালোজিরার উপকারিতা অনেক রয়েছে। যেটা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই খবর বা বার্তা কত আগেই পাঠিয়েছে নিশ্চয় আল্লাহর পক্ষ থেকে।
বর্তমানে আপনি কালোজিরা সেবন করে ও অতিরিক্ত ওজন হলে সে ওজন কমাতে পারেন। তবে সত্যি কি তাই? প্রিয় বন্ধুরা কালোজিরা খাওয়ার সময় আপনি বুঝতে পারবেন কালোজিরা খেতে কেমন লাগে! তবে আস্তে আস্তে একটু একটু করে খেতে খেতে অভ্যাস হলে ভালো লাগবে ইনশাল্লাহ্।
আর এদিকে শরীরের জন্য কালোজিরার গুরুত্ব অনেক বেশি কারণ এই কালোজিরা সেবনে জন্য আপনার শরীরের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। তবে ওজন কমাতে অথবা বাড়াতে নয় বরং ঠিকঠাক থাকতেই আপনি নিয়ম মেনে কালোজিরা সেবন করতে পারেন। সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন ইনশাল্লাহ।
যখন আপনার পেট ক্লিয়ার হবে তখন আপনি এই কালোজিরা সেবন করার জন্য আপনার শরীরের জানা-অজানা অনেক ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। দিন রাত 24 ঘন্টার ভিতরে আমরা সকালে যখন ঘুম থেকে উঠি তখন আমাদের পেট ক্লিয়ার বা খালি থাকে,
ঠিক এই সময় সকালে খালি পেটে কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে। সকালে আপনি যদি খালি পেটে মধু ও কালোজিরা একসাথে সেবন করেন তাহলে আরো বেশি আপনার শরীরের জন্য উপকার হবে ইনশাল্লাহ।
সকালে খালি পেটে মধু ও কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা? নিশ্চয়ই একটু হলেও ধারণাই বুঝি আসছেন!
1 থেকে 2 চামচ কালোজিরা খাওয়া এবং এর উপকার অনেক বেশি পাবেন। বাজারে আবার কালোজিরার তেল পাওয়া যায় আপনি চাইলে সেই তেল অর্থাৎ কালোজিরার তেল সেবন করতে পারেন। এটি আপনি সকালে খেলে আরও বেশি উপকার পাবেন তবে নিয়ম অমান্য করে কালোজিরা সেবন করবেন না।
সত্যি কথা বলতে কালোজিরার উপকারিতা অনেক বেশি রয়েছে কিন্তু কালোজিরার উপকারিতা একেবারেই নেই। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রায় সময় কালো জিরার উপকার এর কথা সাহাবাগণের মাঝে জানিয়ে নিজেও সেবন করতেন।
কালোজিরার উপকারিতা বলতে সাধারণত আপনি যদি নিয়মিত অমান্য করে খান তাহলে অপকারিতা হতে পারে। মনে রাখবেন কালোজিরা খেতে হলে আপনাকে অবশ্যই নিয়ম মানতে হবে, কালোজিরা উপকার ভেবে বেশি সেবন করা উচিত নয় এটি মাথায় রাখবেন অবশ্যই।
যখন আপনি কালোজিরা উপকার ভেবে খাওয়া শুরু করবেন,,,, ধরুন আজকে আপনি কালো জিরার উপকারের কথা শুনে খাবার শুরু করলেন এবং খেতে খেতে এক টানা সাতদিন খেলেন তাহলে কি হবে? অবশ্যই আপনি টানা সাতদিন কালোজিরা খেলে নিজের ভিতরে বিভিন্ন পরিবর্তন দেখতে পারবেন।
এমনকি নিয়ম অনুযায়ী আপনি হস্তমৈথুন থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। কালোজিরা টানা সাতদিন খেলে নিজের শরীরের বিভিন্ন রোগ দূর হওয়া এবং নিজের শরীরের বিভিন্ন দিক গুলো পরিবর্তন হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
কালোজিরার যেহেতু তেল রয়েছে আপনি চাইলেই এই কালোজিরার তেল পুরুষাঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন। তবে খবরদার বিবাহিত হলে একটু সমস্যায় পড়তে হবে, আপনারা হয়তো জেনে খুশি হবেন পুরুষাঙ্গে কালোজিরার তেল ব্যবহারের ফলে হস্তমৈথুন দূর হবে ইনশাআল্লাহ।
আপনি দিনে ১-২ চা চামচ কালোজিরা তেল সেবন বা ব্যবহার করতে পারেন। তবে পুষ্টিবিদ হোশেটের মতে, শুরুর দিকে ১/২ চা চামচ সেবন করা উচিৎ। আর হ্যাঁ এই বিষয়টি স্পষ্ট যে বিবাহিত হলে কালোজিরার তেল ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন প্রয়োজন ব্যতীত।
আপনি যদি নিয়মিত প্রতিদিন কালোজিরা সেবন করতে থাকেন তাহলে অবশ্যই কালোজিরার গুনাগুন থেকে শরীরের অনেক উপকার পাবেন আশা করা যায়। তবে আপনি যদি কালোজিরা বেশি বেশি করে খাওয়া শুরু করেন উপকারের কথা ভেবে তাহলে অবশ্যই প্রতিদিন কালোজিরা বেশি খেলে আপনার ক্ষতি হবে।
সত্যি কথা বলতে কালোজিরার ক্ষতিকর কোনো দিক নেই তবে বেশি বেশি কালোজিরা সেবন করার কারণে আপনার শরীরে ক্ষতি হতে পারে। কারণ এতে পিত্ত সমস্যা রয়েছে যেটা আপনার শরীরের জন্য ক্ষতি । সন্তানসম্ভবা নারীদের ক্ষেত্রেও কালিজিরা খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, কালিজিরা শরীর অতিরিক্ত গরম করে।
কালো জিরাতে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন B1, ভিটামিন B2, ৫.২৬ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ১৮ মাইক্রোগ্রাম, লৌহ, কার্বো-হাইড্রেট, ভিটামিন B3, ক্যালসিয়াম, পাচক এনজাইম, জীবাণুনাশক এবং অম্লনাশক ইত্যাদি উপাদান।
অনেক মা ও বোনেরা রয়েছে যাদের সন্তান হওয়ার পর বুকে দুধ আসে না। দুধ আসে তবে হয়তোবা অনেক কম আসে জেটা সন্তানকে সন্তুষ্টি করতে পারেনা। তার জন্য সাধারণত বুকের দুধ বৃদ্ধিতে কালোজিরার উপকারিতা অনেক বেশি। বলতে পারেন বুকের দুধ বৃদ্ধিতে কালোজিরা এক মহা ঔষধ।
২. দৈহিক ও মানসিকসাধারনত রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছোটবেলা থেকেই কালোজিরা সেবন করতেন। তবে আমি জোর দিয়ে বলছি না আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সবচেয়ে বেশি ভালো জানেন। কালোজিরা দৈহিক ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়ক প্রচুর পরিমাণে।
তাই ছোটবেলা থেকেই কালোজিরা সেবন করা উচিত কমপক্ষে দুই বছরের ঊর্ধ্বে সন্তানদের কালোজিরা খাওয়ালে কোন সমস্যা হবে না। বরং কালোজিরার গুরুত্ব এবং গুনাগুন এত বেশি যে, সেই ছোট সন্তান বড় না হতেই তার শারীরিক গঠন ও শরীরের বিভিন্ন উপকার হবে ইনশাল্লাহ।
৩. মধুর সাথে কালোজিরার উপকারিতাআপনি যদি কালো জিরা খেয়ে আরো বেশি উপকার পেতে চান তাহলে মধুর কোন বিকল্প নেই। কারণ কালোজিরাতে একদিকে শরীরের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। অন্যদিকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মধু খেতে ভালো বাসতেন।
হয়তোবা এ বিষয়টি আপনারা অনেকে জানতে পারেন তাই মধুর সাথে আপনি কালোজিরা মিশিয়ে সেবন করার জন্য আপনার শরীরের আরো অনেক বেশি উপকার পাবেন ইনশাআল্লাহ। তাই মধুর সাথে কালোজিরার উপকারিতা আরো অনেক বেশি পরিমাণে পাবেন ইনশাল্লাহ।
৪. সর্দি জ্বরআমাদের অনেকের সর্দি এবং জ্বর খুবই সাধারণ একটি রোগ যেটা প্রায় সকলের মাঝেই দেখা যায়। আপনার এই সর্দি জ্বর এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কালোজিরার গুনাগুন অপরিসীম।
তাই আপনি সর্দি অথবা যোহর যেটাই হোক না কেন এই রোগে আক্রান্ত হলে, ১ টেবিল চা চামচ তুলসী পাতার রসের সাথে এক চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে খেলেও সর্দি, কাশি এবং জ্বর এই ধরনের বিভিন্ন রোগ থেকে আপনি মুক্তি পাবেন ইনশাআল্লাহ।
৫. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণকালোজিরার উপকারিতা সম্পর্কে বলা শুরু করলে এর উপকারের কথা শেষ করা যাবে না। এমনকি এই কালোজিরার জন্য আপনি ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ আপনার কাছে থাকবে ইনশাল্লাহ। তবে এই কথা থেকে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না বোঝার জন্য কথাটি বললাম।
আপনি ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য, এক চামচ মধু এবং এক চামচ কালোজিরা মিশিয়ে প্রতিদিন দিনে দুই থেকে তিনবার সেবন করবেন। আশা করি এর ফলে আপনি আপনার ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে খুব সহজে আনতে পারবেন এবং যেটি কিনা কালোজিরার বড় একটি উপকারিতা।
৬. পাইলস সমস্যাবাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে পাইলস সমস্যা দেখা দেয় অনেকের। আপনাকে বললাম না কালোজিরার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না! এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনি সাধারণভাবে এক টেবিল চামচ মাখন এবং এক টেবিল চামচ কালোজিরার তেল
ও এক টেবিল চামচ তিলের তেল মিশিয়ে সকালে নিয়মিত খালি পেটে খেতে হবে অন্তত ১-২ মাস। যদি আপনি নিয়মিত নিয়ম মেনে সঠিকভাবে এটি কন্টিনিউ করতে পারেন তাহলে আশা করা যায় আপনার পাইলস সমস্যা থাকলে দূর হবে ইনশাআল্লাহ।
৭. শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি রোগয সাধারণভাবে শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানি, এজাতীয় রোগের কালোজিরা হচ্ছে একটি অপ্রতিরোধ্য ঔষধ। আপনি এর থেকেও মুক্তি পাবেন কালোজিরার সেবন করার ফলে ইনশাল্লাহ, তবে নিয়ম মেনে আপনি যদি কালোজিরা ব্যবহার অথবা সেবন না করেন তাহলে আপনার ক্ষতি হওয়া অস্বাভাবিক এর কিছু নয়।
৮. যৌন সমস্যানিশ্চয় আপনারা জলপাই এর কথা শুনেছেন একে আরবিতে জয়তুন বলা হয়। এই জলপাই এর উপকারিতাও অনেক রয়েছে, তাই আপনি যদি মধু এবং কালোজিরার তেলের সাথে এক টেবিল চামচ মাখন ও এক টেবিল চামচ জয়তুনের তেল মিশিয়ে প্রতিদিন তিনবার সেবন করেন তাহলে,
আপনি আপনার যৌন সমস্যা থেকে মুক্তি সহ শরীরের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন ইনশাল্লাহ। তবে খুব বেশি সেবন করার ফলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। তাই বিষয়টি খেয়াল রেখে সেবন করবেন আশা করি ফলাফল ভাল পাবেন ইনশাল্লাহ।
৯. আমাশয় নিরাময়আমাশয় নিরাময়ে করার জন্যও এই কালোজিরার কোন বিকল্প নেই। আপনি এই আমাশয় নিরাময়ে করার জন্য নিয়ম মেনে কালোজিরা সেবন করলে সমাধান পাবেন। তবে নিয়মটি এক টেবিল চামচ মধুর সাথে এক টেবিল চামচ কালোজিরা মিশিয়ে নিয়মিত দিনে ২-৩ বার করে একমাস কন্টিনিউ করতে হবে।
কারণ ফলাফল পাওয়ার জন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে কয়েক সপ্তাহের ভিতরে ফলাফল পাবেন ইনশাল্লাহ। তবে আপনি একমাস একটানা খাবার পরিকল্পনা করে শুরু করবেন অবশ্যই, আমাশয় নিরাময়ে এক মাসের ভিতরে সঠিক ফলাফল ইনশাল্লাহ পাবেন।
প্রিয় বন্ধুরা কালোজিরার উপকারিতা এবং খাওয়ার বেশকিছু নিয়ম সম্পর্কে আজকে আমরা জেনেছি। তবে লক্ষণীয় মূল বিষয় হল অনিয়মিত এবং অতিরিক্ত পরিমাণে কালোজিরা খাওয়া যাবেনা।
দৈনিক না হলেও মাঝে মাঝে স্বল্প পরিমাণে কালোজিরা সেবন করতে হবে। এবং কালোজিরার সঠিক ব্যবহার সঠিক জায়গায় ব্যতীত অন্য কোন কাজে ব্যবহার করলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আজকে এ পর্যন্তই কালোজিরার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
You must be logged in to post a comment.
Amr Title copy korln??
Vai sorry bujte pari nay
Valoy post ti!
চুল পড়ার জন্য কিভাবে ব্যাবহার করতে হবে?
Wait please
Don’t Worry My Bro,
Ami Ai Ak Title Dia Agy Post Korclm Kintu Content Alada.
জ্বি,আমি শুনেছি কালো জিরা চুল পড়ার জন্য দারুন কার্জকরী।
সুতরাং কিভাবে ব্যাবহার করতে হবে সেই বিষয়ে বলুন।
Wow