আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি । যাই হোক আমি বেশি কথা বাড়াতে চাই না সরাসরি পোস্টের কথাতে চলে আসতে চায় ।
অনেকেই হয়তো পোস্টের টপিক দেখেই বুঝে ফেলেছেন যে আজ আমি কোন বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি । আজ আমি আপনাদেরকে জানাতে যাচ্ছি স্ত্রী সহবাসে রোযা ভাঙে কি না । আশা করি সকলে আমার আজকের পোস্ট পড়বেন । ভালো লাগলে লাইক এবং কমেন্ট করবেন ।
রোজা ভঙ্গ ও মাকরুহ হওয়ার কিছু কারণ রয়েছে । রোজা ভঙ্গের কয়েকটি কারণের মধ্যে একটি হলো স্ত্রীর সাথে সহবাস করা । ছোটখাটো অনেক বইতে এটি লেখা থাকে । এর যথেষ্ঠ ব্যাখ্যা দেওয়া থাকে না । আমাদের এ সংক্রান্ত সকল ব্যাখ্যা আমাদের জানা উচিত ।
হাদিসের কয়েকটি ঘটনা থেকে এ ধরনের সমস্যা সমাধান করা যায় । আমরা হয়তো অনেকেই বলি যে রোযা থাকা অবস্থায় অন্যকে চুম্বন বা চুমু দেওয়া যাবে না । এটাও একটি ভূল ধারণা । চলুন তাহলে একটি ঘটনা থেকে এ ধরনের ধারণা থেকে মুক্ত হই ।
একটি ঘটনা :-> একদিন মহানবি (স) মসজিদে বসেছিলেন । হযরত উমর ফারুক (রা) হঠাৎ তাঁর কাছে গিয়ে হাজির হন এবং বলেন ইয়া রাসুলুল্লাহ আমি বড় একটি ভুল করে ফেলেছি । রাসুল (স) বললেন কী ভুল করেছো ? তিনি বলেন আমি রোযা থাকা অবস্থায় স্ত্রীকে চুমু দিয়েছি । মহানবি (স) বললেন, তুমি কী জান যে ওযু করার সময় খুবই সামান্যতম পানি তুমি পান কর? তিনি বললেন হ্যাঁ । তারপর মহানবি (স) বললেন তবুও তুমি রোযা অবস্থায় ওযু করো কেন? তিনি বললেন ওযু ছাড়া তো নামায হয় না । এজন্য ওযু করি । তারপর মহানবি (স) বললেন, যদি নামায আদায়ের জন্য ওযু করতেই হয় তবে স্ত্রীকে খুশি করার জন্য চুমু দিলে অপরাধ কোথায় ?
এই ঘটনাটি থেকে বোঝা যায় যে স্ত্রীকে খুশি করার উদ্দেশ্যে চুমু দেওয়া শরিয়তে জায়েজ আছে ।
এবার আসি স্বামী ও স্ত্রীর একসাথে থাকার কথায় । হ্যাঁ একসাথে থাকা যাবে তবে কিছু সীমাবদ্ধতা আছে । যৌন চিন্তার কারণে যদি বীযপাত (বীয হলো একধরনের আঠা জাতীয় তরল পদাথ যা লজ্জাস্থান থেকে বের হয়) হয় তবে পুরুষের রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে । তাই রোযা অবস্থায় স্বামী ও স্ত্রী একসাথে দীঘক্ষণ একাকী থাকা উচিত নয় ।
স্বামী অথবা স্ত্রী যদি একজন রোজা থাকে তবুও এই নিয়ম অনুসরণ করা উচিত ।
রোযা ভঙ্গের কারণে আমরা অনেকেই অনেক কথা জানি । আসলে সবাইকে সচেতন হওয়া উচিত ।
আরও একটি উদাহরণ দিলাম ভুল ধারণা নিয়ে । আমরা অনেকেই বলি অনেক্ষণ ধরে গোসল করলে দেহে পানি প্রবেশ করে । ফলে রোযা ভেঙ্গে যায় । পুকুরে গোসল করলে এটি ঘটে । এগুলো সব ভূল ধারণা । পরীক্ষা করেও দেখা যায় গোসল করলে পানি পশমের ভিতরে আটকে থাকে । দেহকে শীতল করে । আর দেহ মোচার সময় সে পানি বাহিরে চলে আসে । ফলে রোযা ভঙ্গের কোন প্রশ্নই আসে না । তাছাড়া দেহের প্রশান্তির জন্য যা কিছু করা যেতেই পারে । এতে আল্লাহ বাঁধা দেননি । তবুও আমরা ভুল ধারণাকে অনেক যুক্তির কারণে সঠিক বলে মনে করি ।
যাইহোক আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন ।
। এরকম সুন্দর সুন্দর হাদিস আরো চাই ।