সাধারণত আমরা আমাদের পরিবারের বা আপন মানুষের বা কাছের মানুষের চিকিৎসার জন্য কোনো কারণে রক্তের প্রয়োজন পড়লে আমরা নিজেরাই দেওয়ার চেষ্টা করি। মনে করি বাহিরে থেকে বা অন্য কারো শরীর থেকে নিলে যদি ঐ রক্তের মধ্যে কোনো ঝামেলা থাকে তাহলে আমাদের রোগীর দেহের মধ্যেও তা ছড়িয়ে পড়বে। এছাড়াও আরও অনেক কারণে আমরা এই কাজটি করে থাকি। মূলত আগে চিকিৎসকরাও বলত যে রোগীর কোনো কাছের মানুষের রক্ত নিতে। কিন্তু বর্তমান সময়ে এসে চিকিৎসকরা এখন আর এইটার পক্ষে না। তাই তারা রোগীর কাছের মানুষদের থেকে রক্ত নিতে সম্পূর্ণভাবে নিষেধ করেছেন।
আপন মানুৃষের রক্ত গ্রহণ করলে কী ধরনের সমস্যা হয়ঃ
যদিও আগে চিকিৎসকরা উৎসাহিত করতেন কোনো রোগীর রক্তের প্রয়োজনীয়তা হলে তাকে তার আপন মানুষ বা নিকটাত্মীয়ের রক্ত দেওয়ার জন্য। এখন তারা লক্ষ্য করলেন যে রোগীকে ভালোর জন্য রক্ত দিয়ে আরো রোগীকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন করা হচ্ছে। এছাড়াও সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে রোগীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। নিকটাত্মীয় রক্ত রোগীর শরীরে প্রবেশ করালে রোগীর যে যে সমস্যা হতে পারে তা আমি নিচে পয়েন্ট আকারে তুলে ধরলাম।
আপন মানুষ বা নিকটাত্মীয়ের রক্ত যদি রোগীর দেহে প্রবেশ করানো হয় তাহলে রোগীর দেহে টিএ-জিভিএইচডি এর সমস্যা দেখা দেয়। যার পূর্ণরূপ হচ্ছে “ট্রান্সফিউশন-অ্যাসোসিয়েটেড গ্রাফট-ভার্সাস-হোস্ট ডিজিজ যা মূলত দেহের রক্ত সঞ্চালন করার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করে। তবে এই সমস্যাটির হার খুবই নগণ্য কম রোগীরই এই সমস্যা হয়ে থাকে। তবে যদি এই সমস্যা হয় তাহলে কিন্তু আপনি ৯৫% নিশ্চিত থাকতে পারেন যে এই রোগীর মৃত্যু হবে।
রোগীর শরীলে আপন মানুষ বা নিকটাত্মীয়ের রক্ত দেওয়া হলে নিকটাত্মীয়ের রক্তের লিম্ফোসাইট রোগীর তক, অস্থিমজ্জা ও রক্তনালিতে আক্রমণ করে। এটি মূলত ১০ থেকে ১২ দিনের মাথায় রোগীর উল্লেখিত অংশে সমস্যার সৃষ্টি করে। বিশেষ করে শরীলের বিভিন্ন অংশে লাল চাকা বা দানা জাতীয় সমস্যা দেখা দেয়। তারপর আস্তে আস্তে জ্বর, পাতলা পায়খানা হয়। এছাড়াও পরবর্তীতে রক্তমিশ্রিত পায়খানা ও তল পেটে তীব্র ব্যাথার সৃষ্টি হয়। যদি রোগী এইরকম সমস্যার সম্মুখীন হয় তাহলে তার ০৩ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে রক্তের সব কণিকার সংখ্যা কমতে থাকবে। এইরকম লক্ষণ দেখা দিলে রোগটি যদি শনাক্ত করা না যায় তাহলে ০৩ থেকে ২১ দিনের মধ্যে রোগীর মৃত্যু ঘটে।
কোন ধরনের রোগীরা এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেনঃ
রোগীর দেহে আপন মানুষ বা নিকটাত্মীয়ের রক্ত দেওয়া হলে এইচএলএ অ্যান্টিজেনের তারতম্যের কারণে এই ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। বিশেষ করে যেসব রোগীর অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা হয় এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের এইসব ধরনের লক্ষন দেখা দিতে পারে।
আপন মানুষের মধ্যে কাদের রক্ত দেওয়া যাবে নাঃ
উপরোল্লিখিত টিএ-জিভিএইচডি প্রতিরোধে রোগীর যেসব কাছের মানুষের কাছ থেকে রক্ত না নেওয়াটাই উত্তম তারা হলেন রোগীর মা-বাবা, ভাই-বোন ও সন্তান। এছাড়াও চাচা, মামা, খালা ও ফুফুর রক্ত না দেওয়াটাই উত্তম।
আর এই ছিলো মূলত আমার আজকের টপিকের মূল বিষয়বস্তু। যদিও এটি চিকিৎসার বিষয় তবুও এই ব্যাপারে আপনাদের সতর্ক করতে করা। কেননা বর্তমান সময়ে রক্ত দেওয়া নেওয়াটা একটা কমন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আশা করি সবাইকে রক্ত দেওয়ার ব্যাপারে এখন থেকে সচেতন হবেন।
তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলো।
আপনাদের সুবিধার্থে আমি আমার টিপস এন্ড ট্রিকসগুলি ভিডিও আকারে শেয়ার করার জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করেছি। আশা করি চ্যানেলটি Subscribe করবেন।
সৌজন্যে : বাংলাদেশের জনপ্রিয় এবং বর্তমান সময়ের বাংলা ভাষায় সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ক টিউটোরিয়াল সাইট – www.TutorialBD71.blogspot.com নিত্যনতুন বিভিন্ন বিষয়ে টিউটোরিয়াল পেতে সাইটটিতে সবসময় ভিজিট করুন।
https://roktobondhu.com/blog/graft-versus-host-disease-ta-gvhd/
1. https://roktobondhu.com/blog/graft-versus-host-disease-ta-gvhd/
2. https://roktobondhu.com/blog/tagvhd-graft-versus-host-disease/
1. https://roktobondhu.com/blog/graft-versus-host-disease-ta-gvhd/
2. https://roktobondhu.com/blog/tagvhd-graft-versus-host-disease/
1. https://roktobondhu.com/blog/graft-versus-host-disease-ta-gvhd/
2. https://roktobondhu.com/blog/tagvhd-graft-versus-host-disease/
1. https://roktobondhu.com/blog/graft-versus-host-disease-ta-gvhd/
2. https://roktobondhu.com/blog/tagvhd-graft-versus-host-disease/
1. https://roktobondhu.com/blog/graft-versus-host-disease-ta-gvhd/
2. https://roktobondhu.com/blog/tagvhd-graft-versus-host-disease/
1. https://roktobondhu.com/blog/graft-versus-host-disease-ta-gvhd/
2. https://roktobondhu.com/blog/tagvhd-graft-versus-host-disease/