আমরা অনেকেই বাটন ফোন ব্যবহার করি। বিশেষ করে কথা বলার ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই বাটন ফোন ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। তাছাড়া অনেকে তাদের স্মার্টফোনের পাশাপাশি সেকেন্ডারি হিসেবে একটি বাটন ফোন রাখে।

 

আজকের পোস্টের মাধ্যমে আমরা একটি বাটন ফোন কেনার আগে কি কি বিষয় খেয়াল রাখতে হয় সেই গুলো নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করি…

 

১. বিল্ড কোয়ালিটি: বেশিরভাগ বাটন ফোনের বিল্ড কোয়ালিটি অনেক ভালো হয়। তবে অনেক কম দামে বাটন ফোনে বিল কোয়ালিটি খারাপ হয়। সব বাটন ফোনের বডি অবশ্যই প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হয়। তাই অবশ্যই বাটন ফোন কেনার আগে বাটন ফোনের বডি ভালো মানের প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি কিনা সেটা চেক করে নিবেন। খারাপ মানের প্লাস্টিক দিয়ে ফোন তৈরি করলে ফোন যখন আপনার হাতের থেকে পড়বে তখন সাথে সাথে সেটা ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

 

২. সিম সাপোর্ট: বাটন ফোন কেনার আগে অবশ্যই সেই বাটন ফোনে কয়টি সিম স্লট রয়েছে সেটা চেক করে নিবেন। তবে বেশিরভাগ বাটন ফোনে দুটি সিম স্লট থাকে। কিছু কিছু বাটন ফোনে একটি, চারটি, অনেক সময় পাঁচটি সিম স্লটও থাকে। তাই আপনার প্রয়োজন অনুসারে আপনি কয়টি সিম চালাতে চাচ্ছেন সেই অনুযায়ী ফোন কিনবেন। তবে nokia, samsung সহ বিভিন্ন নামই দামি কোম্পানির বাটন ফোনগুলোতে সাধারণত দুটি সিম সাপোর্ট করে।

 

৩. ফোরজি সাপোর্ট: অনেকে হয়তো বাটন ফোনে ফোরজি শুনে হেসে ফেলছেন। তবে বর্তমানে কিছু নামিদামি কোম্পানিগুলো বাটন ফোনে ফোরজি সাপোর্ট দিয়েছে (যেমন: নোকিয়া, স্যামসং)। তাই আপনি যদি হাই স্পিডে বাটন ফোনে ইন্টারনেট চালাতে ইচ্ছুক হন, তাহলে অবশ্যই আপনার বাটন ফোন কেনার আগে ফোরজি সাপোর্ট কিনা সেটা চেক করে নিবেন। এছাড়া যেসব ফোনে ফোরজি সাপোর্ট থাকে সেসব ফোনে কল কোয়ালিটি অনেক ভালো থাকে। তাই অবশ্যই সেটা চেক করে নেবেন।

 

৪. ইন্টারনেট চালানো: বর্তমানে বেশিরভাগ বাটন ফোনে ইন্টারনেট চালানো সম্ভব হয়। এছাড়া অনেক বিপদের সময় ইন্টারনেট আমাদের অনেক কাজে লাগে। তাই বাটন ফোন যদি আমাদের সাথে থাকে তাহলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা সেই বিপদ থেকে উদ্ধার হতে পারব। তাই বাটন ফোন কেনার আগে সেই ফোনে ইন্টারনেট সেবা সাপোর্ট করে কিনা সেটা চেক করে নিবেন।

 

৫. আলাদা কিছু সুবিধা: বর্তমানে বেশিরভাগ বাটন ফোনে মিউজিক প্লেয়ার, ভিডিও প্লেয়ার, গেম খেলা ইত্যাদির মত কিছু অসাধারণ ফিচার রয়েছে। আপনার বাটন ফোন কেনার আগে অবশ্যই ফোনে এই সমস্ত ফিচারগুলো সাপোর্ট করে কিনা সেটা চেক করে নেবেন। কারণ অবসর সময়ে হয়তো আপনি এই ফিচারগুলো ব্যবহার করে সময় কাটাতে পারবেন।

 

৬. ব্যাটারি ব্যাকআপ: এটা হল বাটন ফোনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফিচারের মধ্যে একটি। আপনার বাটন ফোনের ব্যাটারি ক্যাপাসিটি ভালো না হলে বাটন ফোন আপনি চাইলে মজা পাবেন না। কারণ মোবাইলের ব্যাটারির ক্যাপাসিটি ভালো না হলে মোবাইলে চার্জ তাড়াতাড়ি চলে যাবে। তাই বাটন ফোন কেনার আগে অবশ্যই নতুন ফোনের ব্যাটারির ক্যাপাসিটি ভালো দেখে কিনবেন।

 

আজকের পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের নতুন বাটন ফোন কেনার আগে কি কি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরী সেটার বিষয়ে জানানোর চেষ্টা করেছি। কোন প্রয়োজনে আমার ফেসবুক প্রোফাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন।

 

এছাড়া আমার ফেসবুক পেজটি ফলো করে রাখতে পারে, সেখানে আমি বিভিন্ন টেকনোলজি বিষয়ক নিউজ এবং পোস্ট শেয়ার করে থাকি।

 

আমার ফেসবুক প্রোফাইল

আমার ফেসবুক পেজ (NTS TREND)

11 thoughts on "বাটন ফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরী"

  1. MD Musabbir Kabir Ovi Author says:
    ভাই বর্তমানে বাটন ফোন কেনার আগে কেউ এত দেখে না।

    তবে ব্যাটারি ব্যাকআপ এবং নেটওয়ার্ক কানেকটিভিটি দেখা টা জরুরি

    1. Nuhu Topoder Author Post Creator says:
      thanks
  2. MD Tamim Ahmed Contributor says:
    ভাই বাটন ফোনে আবার হাই স্প্রিড ইন্টারনেট? তবে সমস্যা নেই আমার টার্চ ফোন নাই। আমিও বাটন ইউজার।
    1. Nuhu Topoder Author Post Creator says:
      জি, কিছু কিছু বাটন ফোনে ৪জি ইন্টারনেট আছে।
    2. MD Tamim Ahmed Contributor says:
      hmm jani vai
    1. Nuhu Topoder Author Post Creator says:
      আমি এখানে কপি করিনি, আইডিয়া নিয়েছি।
  3. SabbirNjr Contributor says:
    সময় নষ্ট করা পোস্ট
  4. Rakib Author says:
    Jio user ✌️
  5. Xein Ahmed Author says:
    Postta amr Abbur dekha uchit chilo.. 1250 tk diya j button kinse amr jnno amr mom vore geche? bytheway Ami phn er dokane job krsi ithink I will describe these phone’s quantity better than you

Leave a Reply