আসসালামুআলাইকুম
চলছে পবিত্র মাহে রমজান মাস।রমজান মাসে খাবারের অনিয়মের কারনে অনেকের পেটে গ্যাস সহ অন্যান্য রোগ হয়ে থাকে।অনেকে জানে না সেহরি ও ইফতারের সময় কোন খাবার গুলো খাওয়া উচিৎ ও কোন খাবারগুলো খাওয়া উচিৎ না৷ আজকে আপনাদের জানাব,পবিত্র এই রমজান মাসে কোন খাবার গুলো খাওয়া উচিৎ ও কোন খাবার গুলো খাওয়া উচিৎ না।আশা করি সম্পন্ন আর্টিক্যালটি মনোযোগসহকারে পড়বেন।
অনেকে আছে এই পবিত্র রমজান মাসে বিভিন্ন প্রকার ভাজা-পোড়া খাবার খেয়ে থাকে৷ এতে পেটে গ্যাস সহ নানা সমস্যা হয়ে থাকে।আসলে আমাদের জেনে তারপর পবিত্র রমজান মাসে সেহরি ও ইফতারের সময় খাবার খাওয়া উচিৎ। খাবার এর কারনে আসলে এই রমজান মাসে আমাদের পেটে গ্যাস হয় এবং এর পর নানা সমস্যা হয়ে থাকে।ভাজা-পোড়া খাবার আমাদের এই রমজান মাসে পরিহার করা উচিৎ।কারন গ্যাস হবার জন্য এই ভাজা জাতীয় খাবার ই দায়ী।তেলে ভাজা খাবার আমাদের একদম পরিহার করা উচিৎ। রমজান মাসে ইফতার এর তালিকায় রাখতে পারেন,তরমুজ,খেজুর,আপেল,এরকম অনেক ফল রয়েছে এগুলো।এই খাবার গুলো ইফতার এর তালিকায় রাখলে আপনার শরীর অনেজ ভাল ও সুস্থ থাকবে। এই খাবার গুলো ইফতার এর তালিকায় রাখলে গ্যাস হবার কোনো আশঙ্গকা থাকবে না।অনেকে ইফতার পর ই ভাত খেয়ে নেন,এই কাজটি করা উচিৎ নয়। আপনি ইফতার করবেন তারপর তারাবি নামায আদায় করার পর এসে ভাত খেয়ে একটু পর শুয়ে পড়বেন। তাহলে আপনার পেট ভাল থাকবে ও শরীর ও ভাল থাকবে।ইফতার এর সময় পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিৎ নয়। ইফতার করার একটু পর বেশি করে পানি পান করবেন।শাক-সবজি বেশি খাওয়া উচিৎ, কারন এই পবিত্র রমজান মাসে অনেকের বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে। আপনি যখন ইফতার ও সেহরির সময় সবুজ শাক-সবজি বেশি খাবেন। তখন এরকম রোগ থেকে বেচে যাবেন।ইফতার এর পর ও সেহরির আগ পযন্ত প্রায় ৭-১০ গ্লাস পানি পান করার চেস্টা করবেন। কারন সারাদিন আপনি রোযা রাখেন, সারাদিন তো আপনি পানি পান করতে পারেন না।অনেকে আছে আমাদের মধ্য ইফতার এর সময় পানি পান না করে, সেহরির পর যখন সময় থাকে না তখন ভরা পেটে প্রচুর পানি পান করে।এই কাজ আসলে উচিৎ নয়।কারন আপনি সেহরির পর যতই পানি পান করেন কোনো উপকারে আসবে না বরং ক্ষতি হবে।যে খাবার গুলোতে গ্যাস এর সমস্যা রয়েছে সে খাবার গুলো কোনো ভাবেই খাওয়া উচিৎ নয় এই রমজান মাসে।ইফতার এর সময় আপনি স্যালাইন এর পানি খেতে পারেন। কারন,সারাদিন রোযা রেখে প্রচুর পানি সল্পতা দেখা দেয়।আপনি স্যালাইন এর পানি খেলে সে পানি সল্পতা দূর হবে।চেস্টা করবেন ইফতার এর সময় খাবার কম খাওয়ার৷ কারন আপনি ইফতার এর সময় বেশি খেলে পেটে সমস্যা হতে পারে।রোযা রেখে কম ঘুমানোর চেস্টা করবেন,কারন রোযা রেখে বেশি ঘুমাইলে আপনার শরীর দুর্বাল হয়ে যায়।অনেকে আছে পবিত্র রমজান মাসে ইফতার এর সময় ডিপ ফ্রিজে পানি রেখে সে পানি শরবত গুলে সেটি খালি পেটে ইফতার করে। এই কাজটি ভুলেও করবেন না।কারন,এতে আপনার কঠিন ঠান্ডা লাগতে পারে।আপনি ইচ্ছা করলে ফ্রিজে পানি রাখলেও নরমল এ রেখে সেটি আগেই বের করে রেখে খেতে পারেন। বাজারে কিনতে পাওয়া যায় তেলে ভাজা বিভিন্ন বড়া,চপ এগুলো পরিহার করা উচিৎ ইফতার এর সময়।ইফতার এর সময় ছোলা খেতে পারেন,এতে অনেক উপকার পাবেন।
শশা,টমেটো এই জাতীয় খাবার ইফতার এর তালিকায় রাখা উচিৎ। এগুলো খাবার রাখলে শরীর ও স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।কিন্তু গ্যাস জাতীয় ভাজা পোড়া খাবার ইফতার এর তালিকায় রাখলে আপনার গ্যাস হবে এবং পেটে ব্যাপক সমস্যা হতে পারে।এছাড়াও মিস্টি জাতীয় কোনো খাবার ইফতার এর তালিকায় কম রাখার চেস্টা করবেন।একবার পেটে সমস্যা হয়ে গেলে অনেক সমস্যা হয়ে যাবে আপনার। এই দিক গুলোর দিকে সকল রোযাদার ভাই-বোনদের নজর দেয়া উচিৎ। আশা সকলে বুঝতে পেরেছেন, যে কোন প্রকার খাবার সেহরি ও ইফতারের তালিকায় রাখলে শরীর ও স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।ও কোন জাতীয় খাবার ইফতার ও সেহরির সময় পরিহার করা উচিৎ।
আজকে এপযন্ত, আবারো দেখা হবে নতুন কোনো আপডেট নিয়ে।
ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
যেকোন প্রয়োজনে,
ফেসবুকে আমিঃ-
ধন্যবাদ।
2 thoughts on "পবিত্র রমজান মাসে সেহরি ও ইফতারের সময় যে খাবার গুলো খাওয়া ও যে খাবারগুলো পরিহার করা উচিৎ, জেনে নিন।"