আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি খুব ভাল আছেন এবং আগামি তে যেন সব সময় ভালো থাকেন এই কামনা রইলো।
এমন একটা সময় ছিল যখন হাতে ঘড়ি না থাকলে কিছু নেই নেই বলে মনে হত; এই যুগে মোবাইল এর অবস্থাও সেরকম। সাথে না থাকলে অস্বস্তি হয় আর সাথে থাকলে ফোন না বাজলেও মনে হয় যেন বাজছে! আধুনিক জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এই ডিভাইসটি এখন ফ্যাশন স্ট্যাটাস হিসেবেও চিহ্নিত হতে শুরু করেছে। আর এ সকল কারণে মোবাইল কেনার ব্যাপারটা এখন আর সহজ নয়। বাজারে গেলেন আর সামনে যেটি দেখলেন সেদিন অনেক আগেই চলে গিয়েছে। কোন মোবাইলটি কিনবেন সে ব্যাপারে সামান্য সাহায্য করার জন্যে সিনেটের সাহায্যে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি বর্তমান সময়ের সেরা পাঁচটি ফোনকে- –
১. আইফোন ফাইভ:
পুরনো ভুল গুলোকে শুধরে নিয়ে নতুন বৈশিষ্ট্য এবং নকশা অবকাঠামো ব্যবহার করে ঢেলে সাজানো হয়েছে আইফোন ফাইভকে। আজ পর্যন্ত যতগুলো আইফোন বের হয়েছে তার মাঝে এটি সর্ব সেরা, আর তাই এই ফোনটি স্থান করে নিয়েছে তালিকার শীর্ষে।
ভালো দিক:
* গতিশীল ইন্টারনেট সেবা ফোরজি এলটিই
* বড় মাপের পর্দা [৪” কোনাকুনি]
* দ্রুত গতির এ ৬ প্রসেসর
* হালকা ও পাতলা গড়ন
* প্যানোরামিক ক্যামেরা
খারাপ দিক:
* অসমাপ্ত ম্যাপ সংযোজন
* এনএফসি’র অনুপস্থিতি
* পর্দার আকৃতি সমসাময়িক অ্যানড্রয়েড ডিভাইসের তুলনা ছোট
রেটিং: ১০ এ ৮.৭ পয়েন্ট।
মূল্য: বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকমের
২. গ্যালাক্সি এস ৩:
উচ্চ পারফর্মেন্সের হার্ডওয়্যার এবং ফিচারের সৃজনশীলতা স্যামসাং এর গ্যালাক্সি সিরিজকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। স্মার্টফোন জগতে তাই আইফোনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তাই গ্যালাক্সি এস৩ কে সবার আগে রাখা হচ্ছে।
ভালো দিক:
* আইসক্রিম স্যান্ডউইচ [অ্যানড্রয়েড ৪.০]
* ফোরজি এলটিই/ এইচএসপিএ+ ৪২
* ডুয়েল কোর প্রসেসর
খারাপ দিক:
* পর্দায় কিছুটা অস্বচ্ছতা আছে
* এস ভয়েস আশানুরূপ না
রেটিং: ১০ এ ৮.৭ পয়েন্ট
মূল্য ৬৭ হাজার টাকা
৩. এইচটিসি ওয়ান-এক্স:
গতিশীল, স্টাইলিশ ডিজাইনের কারণে ক্রেতাদের মনোযোগ কেড়ে নেবে। বিশেষ অডিও ফিচারের কারণে মিউজিক পাগল ক্রেতাদেরও সুনজরে থাকবে।
ভালো দিক:
* বড় মাপের উজ্জ্বল পর্দা [৪.৭”]
* অনন্য ক্যামেরা
* আইসক্রিম স্যান্ডউইচ [অ্যানড্রয়েড ৪.০]
* উচ্চ গতির ফোরজি এলটিই
খারাপ দিক:
* ব্যাটারি অপসারণ করা যায় না
* মেমোরি কার্ড স্লট নেই
রেটিং: ১০ এ ৮.৬ পয়েন্ট
৪. এলজি অপটিমাস ৪এক্স এইচডি:
কোয়াড-কোর প্রসেসর, উন্নতমানের স্পর্শকাতর পর্দা পাশাপাশি এইচডি কোয়ালিটির ভিডিও প্লেব্যাক- স্মার্টফোনটিকে তুলে এনেছে চতুর্থ অবস্থানে।
ভালো দিক:
* কোয়াড কোর প্রসেসর
* অ্যানড্রয়েড ৪.০ সংস্করণ
* এনএফসি সমর্থনযোগ্যতা
* নজড়কারা এলসিডি ডিসপ্লে
খারাপ দিক:
* শব্দের মান আশানুরূপ না
* অ্যানড্রয়েডের মূল ফিচারগুলোর মতো তেমন আকর্ষণীয় না
৫. মটোরোলা ড্রয়েড রেজর ম্যাক্স:
বিশালআকৃতির স্মার্টফোনটির রেটিং সবার চেয়ে বেশি হলেও ক্যামেরা ফিচার ও অ্যানড্রয়েড সেকেলে হওয়ায় অবস্থান সবার নিচে।
ভালো দিক:
* স্লিম আকর্ষণীয় বাঁকানো ডিজাইন
* ১.২ গিগাহার্জ ডুয়েল কোর প্রসেসর
* দুর্ভেদ্ধ্য নিরাপত্তা ফিচার
* দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি ব্যাকআপ
খারাপ দিক:
* ব্যাটারি অপসারণ করা যায় না
* ৮ মেগাপিক্সেল হলেও ক্যামেরায় তেমন জৌলুস নেই
* পুরাতন অ্যানড্রয়েড
রেটিং: ১০ এ ৯.০ পয়েন্ট
সবাইকে ধন্যবাদ। সুস্থ্য থাকুন,ভালো থাকুন এবং সব সময় ট্রিকবিডি এর সাথেই থাকুন।
আরো নতুন নতুন টিপস পেতে এখানে ভিসিট করুন।