আসসালামু আলাইকুম।কেমন আছেন সবাই।নিশ্চয়ই ভালো।আজ আমি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।এ বিষয়ে জানা আমাদের অত্যান্ত প্রয়োজন।
আজ কথা বলব স্মার্টফোন কি আসলে মানবদেহে ক্যান্সার সৃষ্টি করে?বর্তমানে আমাদের এই বাংলাদেশ এ এমন অনেক ভুল ধারনা প্রচলিত আছে এ বিষয়ে।
আমি খুবই কম শব্দে আজকের টিউনটি শেষ করব।
তাহলে চলুন শুরু করা যাক:
একটি স্মার্টফোন বা যেকোন মোবাইল ফোন কাজ করে নানারকম তরঙ্গের ওপর এদের ভেতর কোনটির তরঙ্গ আাদান প্রদান করার ক্ষমতা কম আবার কোনটির কম,আর এই তরঙ্গের নাম হল রেডিও ওয়েভ।আর এখানে প্রথমেই যে শব্দটি আসে তার নাম রেডিয়েশন আর এটি আমাদের মনে ভীতির সঞ্চার করে,কিনা না যানি কি রেডিয়েশন কখন আমাদের শরীরে কি ক্ষতি করছে,কখন যে আমাদের শরীরে কোন রোগ দেখা দেয় এই রেডিয়েশন এর কারনে।
এই ভয় আমাদের প্রায় সবার। রেডিয়েশন এর কারনে মানবদেহে ক্ষতি, এমনকি ক্যান্সারও হয় তবে সব রেডিয়েশন এ তা নয়।
মোবাইল ফোনে যে রেডিয়েশন/রেডিও ওয়েভ ব্যবহারব করা হয় তা হল নন-অয়োনাইজিং রেডিয়েশন। আর এই রেডিয়েশন এর কখনওই এত ক্ষমতা নেই যে এটি মানবদেহে প্রবেশ করে দেহের কোন ক্ষতি করবে।
স্মার্টফোন বা মোবাইল ফোন এই রেডিয়েশনটা এতই কম শক্তি উৎপন্ন করে যে মানবদেহে প্রবেশকরার মতন ও ক্ষতি সাধন করার ক্ষমতা এর কখনই নেই।
বরং স্মার্টফোন বা মোবাইল এর এই রেডিয়েশন থেকে ঘরের একটি বাল্বের রেডিয়েশন অনেক বেশি। (চিত্র থেকে না বোঝাই যায়)
বর্তমানে বিজ্ঞানীরা যত পরীক্ষা করেছেন এ বিষয়ে সবাই একই ফলাফল এসেছেন স্মার্টফোন বা মোবাইল এর রেডিয়েশন ক্যান্সার এর কারন নয়।
সুতরাং স্মার্টফোন বা মোবাইল ব্যবহারে ভয়ের কিছু নেই।যদি আপনার মাথা ব্যাথা বা ঘাড় ব্যাথা করে তবে তা বেশিক্ষন স্ক্রীন চোখ রেখে কাজ করার জন্য হতে পারে তাছাড়া আর কিছু না,রেডিয়েশন এর সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই।
রাতে ঘুমের সময় আপনি ফোন মাথার কাছে রাখেন না পায়ের কাছে রাখেন আপনার কোন সমস্যা হবে না।
আশা করি টিউনটি ভালো লেগেছে।