একটা মিড বাজেট স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে আমরা বাজারে যদি লক্ষ্য করি মাল্টিপল অপশনস এভেলেবেল আমরা চাইলেই নিজের মতো করে কম্পেয়ার করে সেখান থেকে একটা বেস্ট স্মর্টফোনস চয়েজ করতে পারি, কিন্তু ব্যাপারটা যখন হয় এন্ট্রিবাজেট বা বাজেট ফোন তখন কিন্তু এই সুযোগটা আমাদের খুব একটা সাধারণত হয় না বিকজ প্রথমত এই রেনসে অপশন কম তার ওপরে এখানে আমাদের একচুয়ালি ইউজার হিসেবে পাওয়ার থেকে স্যাক্রিফাইস বেশি করা লাগে যেহেতু নিজেদের বাজেটটা কোন জেস্টেট থাকে।
বাট লাকিলি বর্তমানে ম্যানুফ্যাকচারা এই এন্ট্রি বাজেট বা বাজেট ফোনের দিকেও নজর দিচ্ছে এন্ড আমরা এখন কিন্তু বেশ কিছু ভালো ভ্যালু ফর মানি স্মার্টফোন ও মার্কেটে দেখছি।
তো আজকে বাংলাদেশের বাজারে রিসেন্টলি realme c3 নামে একটি নতুন ফোন উন্মোচন করেছে রিয়েলমি, এবং এটি একটি এন্টি বাজেট গেমিং স্মার্টফোন এই ফোনটা কে আমি প্রায় এক সপ্তাহ উপরে ব্যবহার করছি এবং রিয়েলমি যে এটা প্রচার করছে দেশের সেরা পছন্দ হিসাবে, আসলেই কি এই ফোনটি অতটা ভালো ক্যারি করে কিনা জানবো আজকের পুরো পোস্টে।
প্রথমে জানিয়ে দিচ্ছে realme c3 এর অফিশিয়াল প্রাইস ১০,৯৯০ এবং এই ফোনটি জাস্ট একটা ভেরিয়েন্ট এই পাওয়া যাচ্ছে ৩-৩২ ইন্টারনাল স্টোরেজের। আর কালার ভেরিয়েন্ট থাকছে দুইটা ব্লেসিং রেড এবং আমাদের আজকের রিভিউ ইউনিট ফ্রজেন ব্লু।
সো রিভিউতে যাওয়ার আগে একনজরে বলে দিচ্ছি বক্স কনটেন্ট কি কি থাকছে।
বক্স খুললেই সবার আগে পাচ্ছেন একটি আলাদা পর্শন যেখানে থাকছে ইউজার ম্যানুয়াল ওয়ারেন্টি পেপারস তারপরেই থাকছে রিয়েল মি c3 এর ডিভাইস এক্সেল এরপর ভিতরের অংশে থাকছে একটি ১০ ওয়ার্ডের চার্জার এবং মাইক্রো ইউএসবি ক্যাবল।
realme c3 এর মেইন অ্যাট্রাকশন টাই হচ্ছে গিয়ে এর পারফর্মেন্স সেক্টরে আমি প্রথম এন্ট্রি লেভেল স্মার্টফোন দেখলাম যেটাকে পাওয়ার করছে MediaTek helio G70 চিপসেট যে টাকে প্রচার করা হয়েছে গেমিং ওরিয়েন্ট এর চিপ হিসাবে। আর আমার ঠিক তখন থেকেই প্ল্যান ছিল এই ফোনটা কে টেস্ট করার এন্ড আফটার ইউজিং দি স্মার্টফোন ফর এ ওয়ান উইক এন্ড ফাইনালি এই ফোনের পারফরম্যান্স আমাকে ইমপ্রেস করেছে।
G70 এমন একটা পারফরম্যান্স এস ও সি যেটাকে আমরা এতদিন বাজেট স্মার্টফোনে দেখে এসেছি এখানে থাকছে একটি অক্টোবর সিপিইউ। আর গ্রাফিক্স হিসেবে থাকছে মালি G52 এটা প্রতিটা ক্ষেত্রেই এন্ট্রি বাজেট স্মার্টফোন ব্যবহৃত চিপসেট কে পিছনে ফেলে দিয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে বাজেট স্মার্টফোন কেউ টপকে গেছে।
গেমিং এক্সপেরিয়েন্স এই ফোনে এইচডি গ্রাফিক্স pubg high frame rate এ চলেছে এন্ড আমি খুবই কম ফেম ড্রপ এখানে দেখেছি। তো আপনি যদি একটু মিডিয়াম ফ্রেমরেট সেট করে নেন তাহলে পাবজি এক্সপ্রিয়েন্স হবে অসাধারণ এটলিস্ট প্রাইসের দিকে তাকালে।
এর বাইরে আমি কল অফ ডিউটি asphalt 9 এর ওভারঅল এক্সপেরিয়েন্স আমার কাছে যে কোন বাজেট স্মার্টফোনের গেমিং ক্যাপাসিটর সাথে কম্পেয়ার করার মত। ইভেন সবথেকে সারপ্রাইজিং ব্যাপার হচ্ছে ম্যারাথন গেমিং এর পরেও এই ফোনের হিটিং টা আমার কাছে খুবই কম মনে হয়েছে সইয়া বাজেট সেগমেন্ট যদি আপনার শুধুমাত্র গেমিং টাই আপনার টাইটার্গেট হয় তাহলে বিশ্বাস করো না স্মার্টফোনটি আপনার জন্য।
এমনিতেই রিয়েলমি ইউ আই এর এক্সপেরিয়েন্স টা আমার কাছে অভারঅল ভালো লেগেছে কালার ওএস থেকে বেরিয়ে একটা ফ্রেস লুক দেয়া হয়েছে, এন্ড ক্লাস টু স্টকের একটা এটেম দেখা গেছে যেটা বেশ ভালো। সিকিউরিটি সেগমেন্টের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর থাকছে rear-mounted এন্ড এটা একেবারে কুইক কুইক আনলক করে ফেলে তো এখানে কিছু বলার নাই। আর সেই সাথে ফেস আনলক এর সুবিধা ও আপনারা পাচ্ছেন যেটা একটা বাজেট ডিভাইস হিসেবে বেশ কাজের বলবো।
পারফরম্যান্স সেক্টরের সাথে তাল মিলিয়ে এর ব্যাটারি টাও দেয়া হয়েছে ৫০০০ মিলি এম্পিয়ার এর দুর্দান্ত ব্যাটারি যেটা কিনা টানা ৯ ঘন্টা ইউজ করতে পেরেছি যেটা কিনা ডেফিনেটলি একটা এন্ট্রি লেভেল স্মার্টফোনের জন্য সত্যিই অসাধারণ। ১০ ওয়ার্ড এর চার্জার দিয়ে আড়াই ঘন্টার মত সময় লাগছে এর ফুল চার্জ হতে এবং ডেফিনেটলি একবার ফুল চার্জ হয়ে গেলে নিশ্চিন্তে একদিনের উপরে এটি হেভি ইউজের জন্য ব্যবহার করতে পারেবেন।
বিল্ড কোয়ালিটির কথা বললে Realme c3 এর ব্যাক সাইট টা পলিকার্বনেট প্লাস্টিক বিল্ট ইভেন এর সাইড ফ্রেম সেটাও প্লাস্টিকের, অফকোর্স প্রাইস বিবেচনা করলে এটা নিয়ে আমার কিছু বলার থাকে না, আর যদি ডিজাইনের কথা বলি তাহলে বলবো জাস্ট অসাম।
বাটন প্লেসমেন্টের ক্ষেত্রে ফোনের ডানদিকে থাকছে পাওয়ার বাটন আর বাম পাশে ভলিউমলকার এবং সিম ট্রে যেখানে ডুয়েল সিম কার্ড এর পাশাপাশি আপনি ডেডিকেটেড মাইক্রো এসডি কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। নিচের দিকে থাকছে মাইক্রো ইউএসবি পর্টস স্পিকার এবং সবশেষ ৩.৫ এম এম মাইক্রোফোন জ্যাক,
ওয়েল ফ্রন্টে থাকছে একটা বেশ বড়োসড়ো ডিসপ্লে যেটাকে রিয়েলমি বলছে মিনি ড্রপ নচ স্কিন এর সাইড বেজাল টা বেশ ন্যারো, এবং নিচের দিকে আপনারা একটা চিন পাবেন ৬.৫ এইচডি প্লাস আইপিএস স্ক্রিনটার কালার রিপ্রোডাকশন বেশ ভালো। আর আউটডোর কন্ডিশন ও বেস ব্রাইট লেগেছে আমার কাছে এই ফোনের ডিসপ্লে প্যানেল।
তবে এই ফোনের স্পিকার সাউন্ড টা আমার কাছে একটু কম মনে হয়েছে এবং ফুল ভলিউমও একটু কোম শোনা যাচ্ছিল জন্য খুব একটা প্রবলেম হয়নি। এবং এই বাজেটের কোন স্মার্টফোন এটা তেমন কোন বড় ইস্যু নয়।
ক্যামেরা পার্টে রেয়ার এ হাউসিং করা হয়েছে ত্রিপল ক্যামেরা যেখানে থাকছে ১২ মেগাপিক্সেলের মেইন ক্যামেরা ২ মেগাপিক্সেল ডিপ সেন্সর এন্ড ২ মেগাপিক্সেলের মাইক্রো লেন্স। আর ফন্টে মিনি ড্রপ নচ এ থাকছে ৫ মেগাপিক্সেলের এআই সেলফি ক্যামেরা।
ফোনটি থেকে নেয়া কিছু ছবি।
ডেডিকেটেড কোন নাইট স্কোপ মোড এখানে নাই এক্সপেকটেড নাইট রেজাল্টে কিছুটা নয়েজ থাকবে এবং পিকচার ও আমার কাছে কিছুটা লেজ সার্ফ লেগেছে অভারঅল এই ফোনের ক্যামেরা যদি বলি মোটামুটি বেশ ভালো।
ভিডিও রেকর্ডিং করতে পারবেন 1080p-30FPS এ এন্ড এটাই ম্যাক্সিমাম ক্যাপাবিলিটি। Realme C3 এর সেলফি রেজাল্ট আমি বলব ওভারঅল এভারেজ যেখানে ভাল আলোতে ভালো সেলফি উঠে তবে আলো আস্তে আস্তে কমতে থাকলে এখানে নয়েজের পরিমাণ ও বাড়তে থাকে দেখতেও কিছুটা ব্লারি লাগে। তবে আমার সাজেশন থাকবে আলো থাকলে এইচডিআর মোড অন করে ছবি তোলার আমার কাছে রেজাল্ট ওভারঅল ভালোই লেগেছে।
সত্যি বলতে এই বাজেটের স্মার্টফোনের ক্যামেরা এমনিতেই খুব একটা আপ টু দ্যা মার্ক লেভেলে থাকেনা জাস্ট কাজ চালিয়ে নেয়ার মতো ক্যামেরা আপনি এক্সপেক্ট করতে পারেন, এন্ড সেটা খুব একটা ড্রিল ব্রেকিং ও যদি আপনি বাজেটের দিকে তাকান।
ফাইনাল ডিসিশন এ জাস্ট এটাই বলব একটা বাজেট স্মার্ট ফোন এন্ড অফিশিয়াল স্মর্টফোন হিসাবে Realme C3 একটা ডেফিনেটলি বেস্ট স্মার্টফোন, আপনি এই বাজেটে যতগুলো বাজেট স্মার্টফোন পাবেন তার ওভারঅল স্পেক আর এই ফোনের স্পেক সেম। তবে এটার প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে এই ফোনের গেমিং পারফর্মেন্স যেটা খুবই বেটার বাকি সকল বাজেট স্মার্টফোন থেকে।
তো অবশ্যই এক্সেপশন টাই এবার হয়ে যাচ্ছে এক্সাম্পল তো যদি আপনার বাজেটের শুধুমাত্র গেমিং টাই টার্গেট হয় তাহলে ফোনটি চোখ বুজে কিনে ফেলতে পারেন আফসোস হবে না।
এই ছিল আমাদের আজকের আয়োজন পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে একটা লাইক দিয়ে যাবেন কমেন্ট করে আপনার মতামত জানাবেন। সো দেখা হবে’ নতুন কোন পোষ্টে ততক্ষণ পর্যন্ত ভাল থাকুন আল্লাহ হাফেজ।