টেকনো কে আমরা দেখেছি তারা সব সময় লো বাজেটের ফোনে ভালো ডিসপ্লে এবং ক্যামেরা দেওয়ার চেষ্টা করে তো এবার তারা ভালো ডিসপ্লে এবং ক্যামেরার সাথে ইমপ্লিমেন্ট করেছে ৬,০০০ মিলিয়াম্পেরে একটি দুর্দান্ত ব্যাটারি তাও আবার লো মিড রেঞ্জ এ।
আর বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন টেক গ্রুপ এ এই ফোনের নামে বেশ ভালই একটা আলোচনা চলছে লক্ষ্য করলাম, Tecno pouvoir 4 ফোনটি আমি ব্যবহার করছি বেশ কিছুদিন ধরেই বর্তমানে এই ফোনটির ভালো খারাপ দিক একেবারে আমার সামনে এসে উপস্থিত।
তো কথা না বাড়িয়ে লাইক বাটনে ক্লিক করে পড়ে ফেলুন পুরো পোস্টটি, তো চলুন শুরু করি।
তো প্রথমে আপনারা বক্সটি আনবক্স করে পাবেন ইত্যাদি ইত্যাদি সব জিনিসপত্র আর এই ফোনটির অফিশিয়াল প্রাইস রাখা হয়েছে ১১,৯৯০ টাকা মাত্র। তাহলে চলুন এবার আলোচনা করা যাক ফোনটির ডিজাইন এবং বিল্ড কোয়ালিটি নিয়ে।
আমার কাছে এই ফোনটি ডিজাইন এযাবতকালের টেকনোর যতগুলো স্মার্টফোন বাংলাদেশের লঞ্চ হয়েছে তাদের মধ্যে সেরা মনে হয়েছে, আপনারা এই ফোনের ব্যাক সাইডে লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারবেন ব্যাক পার্ট এ খুব সুন্দর একটি কালার টেক্সচার ব্যবহার করা হয়েছে, যা এই বাজেটের ফোনে খুব একটা লক্ষ্য করা যায় না।
ডিসপ্লে হিসাবে এখানে ব্যবহার করা হয়েছে ৬.৭ ইঞ্চির এইচডি প্লাস আইপিএস এলসিডি প্যানেল যার ডিসপ্লে কোয়ালিটি আমার কাছে বেশ ভাল মনে হয়েছে। বড় ডিসপ্লে হওয়ার কারণে এখানে শার্পনেস একটু ঘাটতি লক্ষ্য করেছি।
আর এই ডিসপ্লের পিপিআই ডেনসিটি হচ্ছে ২৪৬ আমি এখানে আরো একটি জিনিস লক্ষ্য করেছি ফোনটির ম্যাক্স ব্রাইটনেস অনেক ছিল বাট ডিরেক্ট সানলাইটএ এটি খুব একটা সুবিধার নয়।
এবার চলুন একটু নড়েচড়ে বসি বলি এর পারফর্মেন্স সেকশনে, চিপসেট হিসেবে এখানে ব্যবহার করা হয়েছে MediaTek helio a22 আর এই প্রসেসর নিয়ে দেখলাম ফেসবুকে টেক গ্রুপে অনেকে প্রতিবাদ করছে বাট ভালো কিছু দিতে গিয়ে এখানে চিপসেট এ এসে হালকা একটু কাট করে দিয়েছে টেকনো,
তবে আমি এই ফোনে পাবজি প্লে করেছিলামএবং আমি যেমনটা আশা করেছিলাম তার থেকে অনেক ভাল রেজাল্ট পেয়েছি।
আর এই ফোনে থাকছে ৩ গিগাবাইট র্যাম এবং ৩২ গিগাবাইট ইন্টার্নাল স্তরেজ, অন্যদিকে এই ফোনটির হিটিং ইস্যু নিয়ে বলতে গেলে হ্যাঁ মোটামুটি ভালই হচ্ছিল তবে তা স্বাভাবিক ই ছিল।
ক্যামেরা সেকশনে এই ফোনের রিয়ার এ থাকছে কোয়াট ক্যামেরা সেটআপ যার প্রাইমারি হলো ১৩ মেগাপিক্সেলের অন্যদিকে সেকেন্ডারি ২ মেগাপিক্সেলের ডিপ সেন্সর ২ মেগা পিক্সেলের মাইক্রো এবং লাস্ট লি ০.৩ মেগা পিক্সেলের এ আই ক্যামেরা। ডেলাইটে এই ফোনের ক্যামেরা শার্পনেস ডিটেলস আমার কাছে মোটামুটি ভালো লেগেছে।
তবে ডাইনামিক রেঞ্জটা খুব একটা সুবিধার না, তবে লো লাইটে ফোনটির ক্যামেরা বেশ ভালই পারফরম্যান্স করেছিল। অন্যদিকে এই ফোনের ৮ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা দিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর সেলফি তোলা যায়, আর এর ক্যামেরা তে ডুয়েল সেলফি ফ্ল্যাশ ব্যবহার করা হয়েছে।
সিকিউরিটি হিসেবে এই ফোনে থাকছে rear-mounted ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর যা খুবই ফাস্ট জাস্ট আঙুলটা লাগা মাত্র ফোন আনলক হয়ে যাচ্ছিল, আর আমি লক্ষ্য করেছি টেকনোর প্রায় প্রত্যেকটি ফোনেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরটি অনেক ফাস্ট হয়ে থাকে।
ব্যাটারি সেকশনে এখানে ব্যবহার করা হয়েছে ৬,০০০ মিলিয়াম্পেরে একটি দানব ব্যাটারি যার ব্যাকআপ নিয়ে বলতে গেলে আমি হেবি ইউজে ফোনটি থেকে ১২ ঘণ্টার মতো ব্যাকআপ পেয়েছি। আর একদম নরমাল ইউজ এ আপনি ৩ থেকে ৪ দিনের মতো ব্যাকআপ পেয়ে যাবেন।
তো এর চার্জিং নিয়ে বলতে গেলে এখানে চার্জিং এর জন্য থাকছে মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট এবং এর বক্সের সাথে দেয়া হয়েছে একটি ১০ ওয়ার্ডের চার্জার, আর এই ডিভাইসটির চার্জ হতে টাইম নিয়ে থাকে মোটামুটি ৩ ঘন্টার মত, কোন দিক এই ফোনটি কিন্তু বেশী মোটা-ও ছিল না আর ওজনে ও ভারী ছিলনা।
out-of-the-box এই ফোনে থাকছে অ্যান্ড্রয়েড ১০ আর উপরে থাকছে হাই ওএস ভার্শন ৬.১ যা খুবই ক্লিন এবং অপটিমাইজ। এই ফোনের বাম সাইডে লাল কালারের একটি বাটন ব্যবহার করা হয়েছে যেখানে কিনা গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট এ সাইন করা রয়েছে।
এত কথা বলতে বলতে পোস্টটির প্রায় লাস্ট পর্যায়ে চলে এসেছি এখন আমি বলি মূলত এই ফোনটি কাদের জন্য সাজেস্টেড থাকলো। এই ফোনটির দাম ধরা হয়েছে মাত্র ১১ হাজার ৯৯০ টাকা এই রেঞ্জে বর্তমানে রিয়েলমির কিছু স্মার্টফোন রয়েছে সেগুলো মার্কেটে অনেক দামে বিক্রি হচ্ছে।
তো সে দিক থেকে চিন্তা করলে এত কম দামে এই স্মার্টফোনটি সত্যিই অসাধারণ এবং আপনি চোখ বুঝে নিতে পারেন।
আজকের মতো এই পর্যন্তই দেখা হচ্ছে আবারও নতুন কোন পোস্টে সবার সঙ্গে আল্লাহ হাফেজ!