Site icon Trickbd.com

Realme C11 | বাংলা রিভিউ দাম? | এ যেন সাধ্যের মধ্যে অসাধ্য সাধন!

Unnamed

হেই গাইস আমি রাতুল আছি আপনাদের সাথে, রিয়েলমি কিন্তু বাংলাদেশের মার্কেটে একের পর এক স্মার্টফোন লঞ্চ করতেই আছে!
ইনফ্যাক্ট রিসেন্টলি তারা একই বাজেট সেগমেন্টে অনেকগুলো ফোন বাজারে লঞ্চ করে দিয়েছে। যেমন আমার হাতে আজকের এই ফোনটি সেটি হচ্ছে Realme C11 এবং এটির অফিশিয়াল প্রাইস মাত্র ৮,৯৯০ টাকা।

যে প্রাইজে আপনাদের হয়তোবা মনে আছে কিছুদিন আগে রিয়েলমি রিলিজ করেছিল C3 নামে একটি স্মার্টফোন। এটা একদিক থেকে যেমন কনফিউজিং যে ১ বাজেটে আপনারা ঠিক কোন ফোনটি বেছে নিবেন।অন্য দিক থেকে চিন্তা করলে কিন্তু বেশ ভালো ব্যাপার কারন আপনারা অনেক বেশি অপশন পাচ্ছেন বাছাই করার ইভেন অফিশিয়াল মার্কেটে ও।

তো আজকের এই পোস্টে আমরা মূলত কথা বলতে যাচ্ছি ইন ডিটেলস Realme C11 কে নিয়ে এবং দেখার চেষ্টা করব এর ভাল এবং মন্দ দিকগুলো। এবং অফিশিয়াল মাত্র ৯ হাজার টাকায় এই স্মার্টফোনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে।
সেটিও পোস্টের শেষে অবশ্যই জানতে পারবেন তাই রিকোয়েস্ট করব পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।


তো প্রথমে যদি আমরা ডিজাইন এবং বিল্ড কোয়ালিটি দিয়ে শুরু করি তাহলে ফোনটি পলিকার্বনেট মেট যেটা ডেফিনেটলি এই বাজেটে সারপ্রাইজিং কিছু না।
তবে ফোনটির যে রেয়ার পাটের ডিজাইন স্পেশালি আমার এই মেন গ্রীন কালার টিতে এটি আমার কাছে বেশ এলিগেন লুকিং মনে হয়েছে। স্পেশালি এই ধরনের বাজেটে আসলে এতটা পাওয়ারফুল ডিজাইন আমি নোটিশ করিনি প্রিভিয়াসলি।

আর ফোনটির ক্যামেরা হাউসিং as you can see অনেক ফোনের সাথে আপনি হয়তো রিলেট করতে পারেন ডিজাইন টি এবং এখন ট্রেন্ডি বলা যায় তবে এটা আপনার পছন্দ হবে কি হবে না সেটা সেটা আপনিই বলতে পারবেন।

আর রেয়ার ফিনিশ মেট থাকায় হাতে ধরতেও বেশ গ্রিপি ফিল পাবেন তাছাড়া এই যে বাটন পসিশন সেটিও আমার কাছে বেশ কনভেনিয়েন্ট মনে হয়েছে।
তাছাড়া এর বটম পরসন এ আপনারা পেয়ে যাচ্ছেন ৩.৫ এমএম অডিও জ্যাক যেটা কিনা এখনো এন্ট্রি বাজেট প্রত্যেকটা ফোনেই আমরা দেখি এসেছি! এছাড়াও থাকছে মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট থাকছে প্রাইমারি মাইক্রোফোন এবং বটম ফায়ারিং স্পিকার যার সাউন্ড কোয়ালিটিও বেশ ভালো ছিল।

আর হ্যাঁ ফোনটিতে যে ডুয়েল ন্যানো সিম কার্ড স্লট রয়েছে সেটির সাথে কিন্তু ডেডিকেটেড মাইক্রো এসডি কার্ড স্লট ও থাকছে, আর এটিতে যেহেতু আপনারা পাচ্ছেন ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার এর দুর্দান্ত ব্যাটারি তাই ফোনটি একটু ভারী মনে হতে পারে আপনার কাছে।
আর এর ওজন ১৯৬ গ্রামের মতো।

তবে এখানে একটা ভালো ব্যাপার হলো ৫ হাজার মিলি এম্পিয়ার এর ব্যাটারির ফোনটি দিয়ে কিন্তু আপনারা ওটিজির মাধ্যমে অন্য যেকোনো গেজেট কিংবা স্মার্টফোনে চার্জ ও করতে পারবেন।


তো এই ফোনের ফ্রন্ট এ আপনারা পেয়ে যাচ্ছেন ৬.৫ ইঞ্চির একটি আইপিএস এলসিডি প্যানেল যার রেজুলেশন এইচডি প্লাস 720 x 1560 pixels, এর এই ডিসপ্লেতে আপনারা যদি খুব ক্লোজ থেকে দেখেন তাহলে টেক্সট কিংবা আদার্স অবজেক্ট শারপনেস এর ঘাটতি লক্ষ্য করবেন, তবে এই বাজেটে ফুল এইচডি ক্লাস রেজুলেশন এক্সপেক্ট করা একটু বোকামী হয়ে যাচ্ছে তাই না?

এখানে ডিসপ্লের কোয়ালিটির কথা যদি বলি কালার কিংবা ওভারঅল ভিউ অ্যাঙ্গেল তাহলে বলব বেশ ভালই ছিল!
ইভেন আউটডোরে ও বেশ ভালই পারফর্ম করেছে এর ডিসপ্লে টি। আর আরেকটি ভালো দিক হলো এর কর্নারে আমি কোনরকম ডার্কনেস লক্ষ্য করিনি যেটি অনেক মিড বাজেট ফোনে ও আমি লক্ষ্য করেছি।


ফোনটির রেয়ার এ রয়েছে ডুয়েল ক্যামেরা সেটআপ যার প্রাইমারি ১৩ মেগাপিক্সেলের একটি শুটার আর এর সাথে রয়েছে ২ মেগা পিক্সেলের ডেপ সেন্সর। এতে কোনরকম ওয়াইড অ্যাঙ্গেল থাকছে না তাই এটা সেক্রিফাইস করতে হচ্ছে।
আর প্রাইমারি ক্যামেরার ডে লাইট পিকচার কোয়ালিটির কথা যদি বলি তাহলে বলবে তো আপনারা অ্যাভারেজ পানছি কালার পাবেন , এবং পিকচার গুলোতে ডিটেলস গুড এনাফ ছিল স্পেশালি দিনের বেলায় তোলা ছবিগুলোতে,
আমার কাছে খুব একটা খারাপ মনে হয়নি ডিটেইলস।
তাছাড়া ডেপ সেন্সর থাকছে ২ মেগাপিক্সেল এর ডেডিকেটেড সো এতে যে এক্স ডিটেকশন সেটিও বেশ ভাল মনে হয়েছে আমার কাছে।

এবার লো লাইট এর কথা যদি বলি তাহলে এতে ডেফিনেটলি আপনারা কিছুটা নয়েজ লক্ষ্য করবেন। বাট মোটামুটি লাইটিং কন্ডিশনে চালিয়ে নেয়ার মতো রেজাল্ট পাবেন।
আর হ্যাঁ এটা কিন্তু আপনারা ডেডিকেটেড নাইট মুড ও পেয়ে যাচ্ছেন যেটা আমার কাছে সত্যি অনেক ভালো লেগেছে এর প্রাইস এর দিকে তাকালে,

আর যারা ফোন দিয়ে খুব বেশি ভিডিও ক্যাপচার করে থাকেন তারা এই ফোনটি দিয়ে 1080p -30fps পর্যন্ত ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন। আর ভিডিওর কোয়ালিটি ও আমার কাছে ভালো লেগেছে।

C11 এর ফন্টে রয়েছে ৫ মেগা পিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা এন্ড রেজাল্ট আমার কাছে কিছুটা ডাল মনে হয়েছে আসলে কালারগুলো আরেকটু পানছি হলে সেলফি গুলো দেখতে অন্তত আরেকটু ভালো লাগতো। স্পেশালি স্কিন টোন টা বেশ সাদা সাদা লাগছিল আর শারপনেস এর কিছুটা ঘাটতি লক্ষ্য করা গিয়েছে।
তাই সোশ্যাল মিডিয়াতে ফটো আপলোড করার জন্য আপনাকে কিছু না কিছু ক্রিক করতে হবে।
সো অভার অল যদি এর ক্যামেরা পারফরমেন্সের কথা বলি তবে বলব দিনের বেলায় এর থার্টিন মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা আমার বেশ ইমপ্রেস করেছে তবে সেলফি ক্যামেরা টা আমি আরেকটু বেটার আশা করেছিলাম।


ফোনটিকে পাওয়ার করছে MediaTek helio G35 যেটা কিনা একটা ব্রান্ড নিউ চিপসেটযেটি আমার জানামতে এই ফোনেই সর্বপ্রথম ব্যবহার করা হয়েছে। এবং প্রিভিয়াসলি মিডিয়াটেকের চিপসেট গুলো নিয়ে দুর্নাম মার্কেটে থাকলেও তাদের জি সিরিজ অর্থাৎ তাদের যে G90 G90T বা G70 যেটা আমরা রিসেন্ট দেখেছি রিয়েলমি C3 তে।
আই থিং সেই চিপসেট গুলো মানুষেরা বেশ ভালোমতোই গ্রহণ করেছিল যদিও টেম্পেরেচার ইস্যু ছিল G90t তে বাট পারফরম্যান্স নিয়ে কিন্তু কারো তেমন কোনো কমপ্লেন ছিলনা।
সেই তুলনায় G35 এন্ট্রি বাজেট চিপসেট হলেও আমারও এক্সপেক্টেশন কিছুটা বেশি ছিল কারণ যেহেতু এটি একটি G লাইন আপের প্রসেসর।

তো ফোনটির পারফরম্যান্স নিয়ে আমার এক্সপেরিয়েন্স এর কথা যদি বলি আমি এতে Pubg mobile খেলার ট্রাই করি এবং বেশ ভাল রেজাল্টই পাই তবে আমি ডিফল্ট সেটিং এ পাবজি প্লে করেছি।
এবং কোন রকম লেগ এর দেখা পায়নি অর্থাৎ আপনি নরমালি খেলতে পারবেন বাট অ্যাকশন সিন গুলো তে মাঝেমধ্যে প্রবলেমে পরতেও পারেন।

ইউ আই নেভিগেশনের কথা যদি বলি ফোনটিতে আপনারা out-of-the-box পেয়ে যাচ্ছেন রিয়েলমি ইউ আই ১.O আর রিয়েল মি ইউ আই ১.O এর কথা যদি বলি এটা অনেকটাই স্টকের কাছাকাছি করার ট্রাই করেছে রিয়েলমি,

যদিও আইকন গুলো এখনো অনেকটাই কাস্টমাইজ বাট আপনারা কিন্তু রিয়েলমি অন্যান্য ফোন গুলোর মত এটিতেও আইকন সাইজ যে আকৃতি সেটি চেঞ্জ করতে পারবেন।
এবং ভালো ব্যাপার হলো এটিতে এন্ট্রি বাজেট হওয়া সত্বেওকোন সফটওয়্যার ফিচার কিন্তু রিমুভ করা হয়নি! ফর এক্সাম্পল এটি তেও আপনারা পেয়ে যাচ্ছেন ডার্ক মোড। যেটা আমরা অনেক ফোনের ক্ষেত্রেই দেখে থাকি।


আর হ্যাঁ ফোনটিতে আপনারা কিন্তু পেয়ে যাচ্ছেন ১০ ওয়ার্ডের একটি ফাস্ট চার্জার এবং সেই চার্জারটি দিয়ে ফোন ফুল চার্জ করতে সময় লাগবে অলমোস্ট ৩ ঘন্টার মত।
কারণ যেহেতু এই ফোনটিতে থাকছে ৫,০০০ মিলি এম্পিয়ার এর ব্যাটারী।
আর হ্যাঁ ফোনটির ব্যাটারি লাইফ কিন্তু আপনারা পাবেন সত্যিই দুর্দান্ত এটা সাধারণ ইউজ এ ২ থেকে ৩ দিন ব্যাটারি ব্যাকআপ পাবেন অনায়াসে।

তো এখন কথা বলা যাক ভ্যালু নিয়ে ৮,৯৯০ টাকা বা ৯ হাজার টাকায় এই ফোনটি আপনার কতটা ভ্যালু অফার করছে! আই থিং আপনারা যদি ৯ হাজার টাকায় অফিশিয়াল প্রাইস এ একটি অভার অল বেটার স্মার্টফোন চান তাহলে Realme C11 আপনার জন্যই সেরা!

তাই আমার পক্ষ থেকে এই বাজেটে এই ফোনটি কেনার রিকুমেন্ট থাকলো তারপরও কিনবেন কি কিনবেন না সেটা পুরোটাই আপনার ব্যাপার!
সো গাইজ এই ছিল আজকের পোস্টটিতে, পোস্টটি কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট সেকশনে জানিয়ে ফেলুন।
ভালো লাগলে লাইক এন্ড শেয়ার করবেন। আর ভালো না লাগলে কেন লাগেনি সেটিও জানাতে পারেন আজকের মত আল্লাহ হাফেজ ভালো থাকুন!