ধিরে ধিরে মানুষের মনে জায়গা করে নিচ্ছে দেশি কোম্পানি ওয়ালটন। কিছুদিন যাবত ওয়ালটন কম দামে বেশ কিছু ভালো মানের ফোন প্রভাইড করছে।
তারই ধারাবাহিতায় ওয়ালটন কিছুদিন পূর্বে দেশের বাজারে রিলিজ করে এন্ট্রি লেভেল স্মার্টফোন ওয়ালটন প্রিমো H9 প্রো। যেটি ওয়ালটন প্রিমো H9 এর পরিপূরক হিসেবে বাজারে আসে।
প্রথমেই কথা বলব ফোনটির ডিজাইন ও বিল্ড মেটেরিয়াল নিয়ে।
ফোনটি অল বডি প্লাস্টিক। তবে স্মুথ ফিনিশিং থাকায় হাতে নেওয়ার সময় আলাদা অনুভূতি তৈরি হয়।
ফোনটি ৪টি কালার ভেরিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে। ক্রিস্টাল স্কাই, পারপেল, মিড নাইট সায়ান এবং ব্লাক। ৪টি কালারই পছন্দ হওয়ার মত।
ফোনটির উপরে থাকছে ৩.৫ এমএম হেড ফোন জ্যাক, লেফট সাইডে ট্রিপল স্লট যাতে দুটি ন্যানো সিম কার্ড সহ একটি মাইক্রো এসডি কার্ড ইউজ করা যাবে। রাইট সাইডে পাওয়ার বাটন ও ভলিউম ব্রোকার।
এক কথায় বলতে গেলে ছোট বড় সবারই পছন্দসই ডিজাইন। আমার পার্সোনাল্লি ডিজাইন খুব ভালো লেগেছে এবং আশাকরি আপনাদেরব পছন্দ হবে।
স্মার্টফোনের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে এর ডিসপ্লে। তো চলুন ডিসপ্লে সম্পর্কে কিছুটা জেনেনি,
ওয়ালটন প্রিমো H9 প্রোতে ডিসপ্লে হিসেবে পাচ্ছেন এইচডি প্লাস অর্থাৎ 720 x 1560 পিক্সেল এর IPS LCD 6.1 ইঞ্চি ডিসপ্লে। যা এই বাজেটে একদম পার্ফেক্ট। আর ডিসপ্লে বড় হওয়ায় ভিডিও দেখেও মোটামুটি মজা পাবেন।
এবার কথা বলব ফোনটির ব্যাটারি সম্পর্কে,
ফোনটির অন্যতম আকর্ষণ এর ব্যাটারি। একটু কম বাজেটে ফোন কেনার কথা ভাবলে ভালো ব্যাটারির কথা চিন্তা করা যায়। কিন্তু ওয়ালটন তাদের এই ফোনটিতে দিচ্ছে ৪০০০ mAh এর লিথিয়াম পলিমার নন রিমুভাল ব্যাটারি। আপনি যদি সাধারণ ইউজার হন তাহলে মোটামুটি এক থেকে দেড় দিন ব্যাকআপ পাবেন। তবে থাকছে না কোন ফাস্ট চার্জার। তাই চার্জ হতে একটু বেশি সময় লাগে।
ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে মিডিয়াটেকের পাওয়ারফুল প্রসেসর হেলিও A20. এবং 4 জিবি র্যাম ও 64 জিবি ইন্টারনাল স্পেস। এই দামে 2 জিবি র্যাম ও 32 জিবি রম এসপেক্ট করছিলাম। কিন্তু ওয়ালটনতো পুরাই বাজিমাত করে দিল। ফোনটি ব্যবহার করে আপনি পাবজি, পাবজি লাইট, ফ্রী ফায়ার সহ অন্যান্য গেম গুলো ভালো ভাবেই খেলতে পারবেন। এই ফোনটি রান করছে এন্ড্রয়েড 10 এ। সর্বোপরি পারফরমেন্স নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন জায়গা রাখেনি ওয়ালটন। সাধারণ ইউজার থেকে হেভি ইউজার কারো কোন সমস্যা হওয়ার কথা না।
ফোনটির পিছনে আছে একটি led ফ্লাশ লাইট সহ তিনটি ক্যামেরা। যার মধ্যে থাকছে ১৩ mp প্রাইমারী ক্যামেরা, ৫ mp আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরা ও ০.৩ mp ডেথ সেন্সর ক্যামেরা। যদি ফটো কোয়ালিটির কথা বলি তাহলে অবশ্যই এই বাজেটে ঠিক আছে। তবে ভালো ফটো পাওয়ার জন্য অধিক লাইট প্রয়োজন। প্রটেড শট গুলো ও মোটামুটি ভালো ছিল।
ফোনটির সামনে থাকছে ৮ mp র ফন্ট ক্যামেরা। যা থেকেও মোটামুটি ভালো মানের ফটো পাবেন।
পিছনের ক্যামেরা ইউজ করে ১০৮০ পিক্সেলে ভিডিও রেকর্ড করা যাবে। পাশাপাশি সেল্ফি ক্যামেরা দিয়ে ৭২০ পিক্সেলে ভিডিও রেকর্ড করা যাবে।
সর্বশেষ আমার ব্যাক্তিগত মতামত হলো আন্ডার 10k বাজেটে ফোনটি মোটামুটি ভালো মানের ফোন। আর এই বাজেটে আমরা যেসব ফিচার এসপেক্ট করি তা সবই রয়েছে এই ফোনটিতে। তবে যদি কারো দেশি প্রোডাক্টে এলার্জি থাকে তার কথা ভিন্ন। তবে আমার দেশি প্রোডাক্টে এলার্জি নাই।