৬,৯৯০ টাকার মধ্যে বর্তমানে একটি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন পাওয়া যাচ্ছে যেখানে কেনার নস যুক্ত এইচডি প্লাস রেজুলেশনের ডিসপ্লের পাশাপাশি স্ন্যাপড্রাগন এর প্রসেসর এর দেখা পেয়ে যাব আমরা।
এছাড়াও সেই ফোনটি রিয়ার প্যানেলে ইউজ করা হয়েছে ডুয়েল ক্যামেরা সেটআপ তো আজকের এই পোস্টটিতে আমি সেই স্মার্টফোনটি সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে জানাচ্ছি।
কথা বলছিলাম Samsung Galaxy A01 ফোনটির সম্পর্কে, তো আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা কিনা সিম্ফোনি ওয়ালটন এবং অন্যান্য সব কোম্পানির স্মার্টফোন গুলো ৫ থেকে ১০ টাকার মধ্যে পার্সেস করে থাকেন কিন্তু স্যামসাং এর মধ্যে একটি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন এই ৭,০০০ টাকায় যে পাওয়া যাচ্ছে সেটা খুবই ভালো একটা ব্যাপার।
তাই চলুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক এই ফোনটার মধ্যে কি কি স্পেসিফিকেশন অফার করছে স্যামসাং।
৫.৭ ইঞ্চি একটি এইচডি প্লাস ডিসপ্লে ইউজ করা হয়েছে এই ফোনটির ফ্রন্ট সাইডে, আর এখানে থাকছে নস যুক্ত ডিসপ্লে।
আর অবিয়েসলি বাজেট ডিভাইস হওয়ার কারণে ফোনটির চীন এরিয়াটা কিছুটা মোটা তারপরও বাজেট অনুযায়ী এটা আমরা মেনে নিতেই পারি।
এই ফোনটির পিছনে থাকছে প্লাস্টিকের ব্যাগ এবং নর্মাল সাদামাটা একটা ডিজাইন,
এবং পুরো ফোনটার বিল্ড কোয়ালিটি প্লাস্টিকের তৈরি। ফ্রন্টে ডিসপ্লের উপরে তেমন কোনো প্রটেকশন গ্লাস ইউজ করেন নি স্যামসাং।
সফটওয়্যার হিসেবে লেটেস্ট অ্যান্ড্রয়েড ১০ এর পাশাপাশি ওয়ান ইউ আই টু এর সাপোর্ট টা আমরা দেখতে পাবো আর এখানে যে ওয়ান ইউ আই ইউজ করা হয়েছে স্যামসাং এর পক্ষ থেকে সেটা যথেষ্ট লাইটওয়েট।
কারণ ফোনটির মধ্যে ২ জিবি রেম এবং ১৬ ইন্টার্নাল মেমোরি ব্যবহার করেছে স্যামসাং।
চিপসেট হিসেবে স্ন্যাপড্রাগন এর 439soc কে ব্যবহার করা হয়েছে স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এ০১ ডিভাইসটিতে।
যেটা কিনা শুধুমাত্র ১২ ন্যানোমিটার এ ট্রেডে বিল্ড করা একটি অক্টা কোর প্রসেসর যেখানে কিনা অ্যাড্রিনো ৫০৫ জিপিইউ টি আপনারা পেয়ে যাচ্ছেন।
যেহেতু ১২ ন্যানোমিটার ট্রেডে তৈরি করা হয়েছে এই প্রসেসরটি কে তাই যথেষ্ট পাওয়ার এফিশিয়েন্সি পাওয়া যাবে এই প্রসেসরটি থেকে এছাড়াও শুধুমাত্র এইচডি প্লাস রেজুলেশনের ডিসপ্লে থাকায় এর ব্যাটারি ব্যাকআপ টাও কিন্তু যথেষ্ট ভালো পাওয়া যাবে।
ব্যাটারির সম্পর্কে যেহেতু বলছি এখানে ৩০০০ এমএএইচ এর ব্যাটারি ইউজ করেছে স্যামসাং যদিও কিনা ফাস্ট চার্জিং সুবিধা থাকছে না, তাই এই ব্যাটারিকে ফুল চার্জ করতে বেশ খানিকটা সময় প্রয়োজন হবে।
তবে ব্যাটারি ব্যাকআপ ও বেশ ভালো পাওয়া যাবে।
এছাড়াও ওভার অল পারফরমেন্স এর ক্ষেত্রে বাজেট অনুযায়ী যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স ডেলিভারি করতে পারবে এই ফোনটি যদিও কিনা পাবজির মতো হাই গ্রাফিক্স গেম গুলো খেলতে একটু প্রবলেম হতে পারে।
তবে একদম লো এবং মিডিয়াম গ্রাফিক্সে মোটামুটি খেলা যায় তবে ফ্রী ফায়ার অনায়াসে খেলা যায়।
২ জিবি রেম থাকায় মাল্টিটাস্কিং এ কিছুটা প্রবলেম ফেস করতে পারেন তারপরও বাজেট টাকে কনসিডার করলে এই বাজেটের মধ্যে স্যামসাং আমাদের সেরাটাই অফার করছে।
তো বন্ধুরা আমাদের ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে ম্যাক্সিমাম মানুষেরই বাজেট থাকে একটি স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে তাই আমি বলব এই ফোনটি আপনি অবশ্যই ট্রাই করে দেখতে পারেন।
আর ক্যামেরা সেকশনে কিন্তু স্যামসাং কোন কষ্ট কাটিং করিনি এখানে।
১৩ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি লেন্সের পাশাপাশি টু মেগাপিক্সেলের এর একটি ডেপ সেন্সর ইউজ করা হয়েছে রিয়ার সাইডে।
যেখানে কিনা 1080p রেজুলেশনে সর্বোচ্চ থার্টি এফ পি এস এর ভিডিও গুলো রেকর্ড করা পসিবল হবে।
এছাড়াও ৫ মেগা পিক্সেলের ডিসেন্ট সেলফি ক্যামেরা ইউজ করা হয়েছে এই ফোনটার ফ্রন্ট সাইড এ তাই অভিয়েসলি বাজেট অনুযায়ী একদম মোটামুটি লেভেলের ক্যামেরা কোয়ালিটি পাওয়া যাবে এই ফোনটা থেকে
Samsung Galaxy A01 ডিভাইসটির তৈরি করা হয়েছে মূলত এন্ট্রি লেভেলের ইউজারদের কে টার্গেট করে। এছাড়াও যারা কিনা একটি সেকেন্ডারি স্মার্টফোন খুঁজছেন তারাও এই ফোনটি কে দেখতে পারেন।
যেহেতু স্যামসাংয়ের ব্র্যান্ড ভ্যালু অন্যান্য স্মার্টফোন থেকে অনেকটাই বেশি তাই এই ফোনটি সকলের পছন্দ হবে।
বিঃদ্রঃ এই প্রাইস এ ফোনটি কেনা যাবে বাংলাদেশের যেকোনো স্যামসাং শোরুমে।এছাড়াও পোস্টটি ভাল লাগলে লাইক এবং বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করে দিবেন যদি আপনি না করে থাকেন।
তো দেখা হচ্ছে পরবর্তী পোস্টে টাটা।