Site icon Trickbd.com

5 STAR Note 1 বাংলা রিভিউ | এত সস্তা কিভাবে?

Unnamed

স্মার্টফোন বাজারে একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে কে কার থেকে কম দামে বেশি এবং ভালো ফিচারের ফোন বাজারে আনতে পারে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নতুন করে নাম লেখালো 5 Star।

রিসেন্টলি তারা মার্কেটে নিয়ে আসলো 5 Star note 1,
ফোনটিতে থাকছে ৬.৬ ইঞ্চ একটি এইচডি প্লাস আইপিএস ডিসপ্লে, ৩ গিগাবাইট র্যাম এবং ৩২ জিবি স্টোরেজ এবং মিডিয়াটেক হেলিও P25 প্রসেসর। এবং সেইসাথে দুর্দান্ত ৪,০০০ মিলিয়াম্পেরে ব্যাটারি।

তো এই ফোনটির ভালো দিক এবং মন্দ দিক তুলে ধরবো আপনাদের সাথে থাকুন পোস্টে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।


ফোনটি আনবক্সিং করলে যা পাবেন।
একটি সিলিকন ব্যাক কভার।
১০ ওয়াট এর একটি চার্জার।
চার্জিং ক্যাবল ও একটি ইয়ারফোন।
বর্তমানে অনেক নামিদামি ব্র্যান্ডের ফোনে হেডফোন পাওয়া যাচ্ছে না সেখানে এই ফোনটির সাথে পাবেন একটি হেডফোন।
আর হেডফোনের সাউন্ড কোয়ালিটি মাশাল্লাহ অনেক ভাল ছিল।

ফোনটি প্রথম স্পর্শেই বোঝা যায় ডিজাইন এবং বিল্ড কোয়ালিটির দিকে বেশ নজর রেখেছে ফাইভ স্টার, কারণ বাজেট অনুযায়ী একটা প্রিমিয়াম লুক দেয়ার চেষ্টা করেছে।
তাই ফোনটি হাতে নিয়ে খুব ঘাটাঘাটি না করলে বোঝার উপায় নেই যে এটা বোঝার উপায় নেই যে এটি প্লাস্টিক।
যেহেতু প্লাস্টিকের তৈরি ব্যাক প্যানেল টা চাই আঙ্গুলের ছাপ লাগবে এটাই স্বাভাবিক। তাই সাথে থাকা ব্যাক কভার টি ইউজ করবেন ফোনটির সুরক্ষার জন্য।

ভলিউম এবং পাওয়ার বাটন দেয়া হয়েছে ডান পাশে পাওয়ার বাটন আঙুলে পাওয়া গেলেও ভলিউম বাটন সহজে পাওয়া যাচ্ছে না।
আমার মতে বাটন পজিশন আরেকটু নিচে দিলে ভালো হতো অথবা বাম পাশের ফাঁকা না রেখে সেখানেও দেওয়া যেত।

উপরে থাকতে ৩.৫ এমএম অডিও জ্যাক এবং চার্জিং পোর্ট স্পিকার এবং মাইক্রোফোন দেয়া হয়েছে নিচের দিকে।
স্পিকারের লাউড়নেস খুব বেশিও না আবার একেবারে কম ও না মানে এভারেজ বলা যায়।

পিছনের ক্যামেরা মডিউল একেবারে আইফোন ইলেভেন প্রো এর কপি আর এজন্য হঠাৎ দেখলে আইফোন ইলেভেন এর মতই মনে হয়।
যাই হোক এখন বেশিরভাগ মোবাইলের ক্যামেরা মডিউল এরকমই এটাই বর্তমানে ট্রেন্ড চলছে।

ক্যামেরার নিচে থাকছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর পজিশন পারফেক্ট জায়গায় আছে। সহজেই আঙুলে পাওয়া যায় যদিও আনলক স্পিড একটু স্লো তবে বাজেট অনুযায়ী ঠিকই বলা যায়।
এতে আরও থাকছে ফেস আনলক সিস্টেম ভালো আলোতে বেশ ফাস্ট কাজ করছিল কিন্তু আলো যত কমতে থাকে এর আনলক স্পিড ও স্লো
হতে থাকে।


ফোনটির ব্যাক প্যানেল খুলতে পারবেন আর সেখানে একটি মেমোরি কার্ডের পাশাপাশি দুইটি সিম কার্ড ব্যবহার করা যাবে।
ফোনটির ব্যাকপাট খোলা যায় এটা সাধারন ভাবে দেখে বোঝার উপায় নাই।
ফোনটিতে 4G সাপোর্ট করে তাই আপনি ফোরজি সিমের সকল সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

ফ্রন্ট লুকিং টা পুরাই জোস,
৬.৬ ইঞ্চি আইপিএস এলসিডি ওয়াটার ড্রপ নচ ডিসপ্লে যার পিপিআই ডেনসিটি ২৮২।
বেজেল এবং চিনের পরিমাণ কিছুটা বেশি একটি ৩ শতাংশ স্কিন টু বডি রেশিও।
এই বাজেটে এটা নিয়ে কমপ্লেইন করার কোন অপশন এখানে থাকছে না।
এই ডিসপ্লে কালার অ্যাকুরেসি ছিল বেশ ভালো কালার ঠিকঠাক প্রোভাইড করছিল আর নেগেটিভ ইসু থাকছে না।
আর এলসিডি ডিসপ্লে হওয়ায় এর ব্রাইটনেস কিছুটা কম তবে আউটডোরে তেমন একটা প্রবলেম ফেস করিনি।

ব্যাটারি ব্যাকআপ হিসেবে 4000mh এর একটা বিশাল ব্যাটারি থাকছে,
তাই ব্যাটারি ব্যাকআপ পাবেন পুরাই জোস কারণ এই বাজেটের ফোন গুলো সাধারণত মাল্টিটাস্কিং এর জন্য কেনা হয়।
আমার ইউজার এক্সপেরিয়েন্স থেকে বলতে পারি একবার ফুল চার্জ দিলে একদিন নিশ্চিত চলে যাবে।


এবারের সফটওয়্যার নিয়ে কথা বলা যাক,

5 Star note 1 রান করছে অ্যান্ড্রয়েড ৯ পাই এ দেখতে অনেকটাই স্টক ইউ আই এর মতো হলেও এটা স্টক ইউ আই না অনেকটাই কাস্টমাইজ করা।
তবে ইউজারদের টুকিটাকি কাস্টমাইজ করা ছাড়া বেশি কিছু কাস্টমাইজ করার মতো থাকছে না।
থিমস স্টোরে নির্দিষ্ট কিছু থিম ছাড়া নতুন করে থিম ডাউনলোড করার কোন সুবিধা নেই এখানে,
তবে এর একটা জিনিস খুবই ভালো লেগেছে তা হল এতে অপ্রোজনীয় কোন অ্যাপস প্রি ইন্সটল করা ছিল না।
এবং আজাইরা কোন অ্যাপ built-in ভাবে ইন্সটল করা নাই যেসব অ্যাপ্লিকেশন কোন প্রয়োজন হয় না সেইসব অ্যাপ built-in ভাবে ইন্সটল করা থাকলে সেগুলো আনইন্সটল ও করা যায় না।
তাই এসব অ্যাপ রানিং থাকার জন্য র্যামের জায়গা দখল করে আর এজন্য অনেক সময় মোবাইল স্লো কাজ করে।
তাই অন্য সব ডিভাইজের মত built-in ভাবে আজাইরা অ্যাপ না দেয়ার জন্য ফাইভ স্টার কে থামস অ্যাপ।


এবারের বিশেষ দিক হার্ডওয়ার নিয়ে কথা বলবো,
বিশেষ দিক বলছি কারণ মার্কেটে এই বাজেটে ৩-৩২ ভেরিয়েন্ট অনেক স্মার্টফোন ই পাবেন।
কিন্তু তাতে কোন প্রসেসর ইউজ করা হয়েছে তা মেনশন করা থাকে না
আসলে মেনশন করার মত প্রসেসর ব্যবহার করলে তো মেনশন করবে?
কিন্তু এই নোট ওয়ান এ ব্যবহার করা হয়েছে মিডিয়াটেক হেলিও p25 আর এ কারণেই মার্কেটে এই বাজেটের মধ্যে অন্য সকল স্মার্টফোনের থেকে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে।
অক্টাকোর ২.৩৯ গিগাহার্জ প্রসেসর এর সঙ্গে থাকছে জিপিও হিসেবে মালি T880

বাজেট হিসেবে প্রসেসর অনেক ভালো হওয়ায় এতে মাল্টিটাস্কিং এ কোন সমস্যা হয়নি ব্যাকগ্রাউন্ডে বেশকিছু অ্যাপ রানিং রাখা যাচ্ছিল।
তবে খুব বেশী অ্যাপ রানিং থাকলে একটু স্লো হয়ে যাবে এটি স্বাভাবিক যেহেতু এটি একটি বাজেট ফোন।


এটা দিয়ে টুকটাক গেমিং অনায়াসে করা যাচ্ছিল।
এটা দিয়ে পাবজি মোবাইল খেলা যাই তবে ডিফল্ট গ্রাফিক্সে খেললে হালকা ফ্রেম ড্রপ দেখা যায়। তবে আপনি যদি গ্রাফিক্স লেভেল একেবারে কমিয়ে খেলেন তাহলে তুলনামূলক ভালো পারফর্মেন্স করে।


কল অফ ডিউটি মোবাইল অনেক কাস্টমাইজ তাই তেমন একটা ফেম ড্রপ হচ্ছিল না, আর ফ্রী ফায়ার একেবারেই স্মর্টলি খেলা যাচ্ছিল।
তাই পাবজি মোবাইল সহ যারা ছোটখাটো গেম খেলেন মাঝেমধ্যে তারা নোট ১ টা চয়েজএ রাখতে পারেন।


এবার কথা বলবো ফোনটির ক্যামেরা নিয়ে।
এর পিছনে থাকছে ১৩ মেগাপিক্সেল এর সাথে একটি ২ মেগাপিক্সেল এর ক্যামেরা সেন্সর এবং বড়োসড়ো একটা ফ্লাশ লাইট।
আর সামনে থাকছে সিঙ্গেল ৫ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা।
এই বাজেট অনুযায়ী ক্যামেরা নিয়ে কোনো কমপ্লেন থাকছে না।
পর্যাপ্ত আলো না পেলে শ্যাডো এরিয়াগুলো নষ্ট হয়ে যায় তবে ডাইনামিক রেনস অনেকটাই ঠিকঠাক পাচ্ছিলাম।
তাই বলা যায় দিনের বেলায় মোটামুটি মানের ছবি তুলতে পারবেন ফোনটি দ্বারা।
ফোনটি অনলাইনে কেনা যাবে এই ফেসবুক পেজ থেকে।
তো সবমিলিয়ে 5 STAR NOTE 1 কে নিয়ে এই ছিল আমার ওপেনিয়ন।
তাই আপনি যদি ৭,০০০ টাকার মধ্যে একটি স্মার্টফোন কেনার কথা ভাবেন তাহলে আপনার জন্য এই ফোনটি কেনার সাজেস্ট রইল।

তো ফোনটা আপনার কাছে কেমন লাগলো জানাতে পারেন কমেন্ট বক্সে, আর ভালো লাগলে পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন!
ডিভাইসটি অর্ডার করার জন্য এখনই আমাদের পেজে মেসেজ করুন ধন্যবাদ

Exit mobile version