হ্যালো এভরিওয়ান দিসিজ ২০২১ নতুন বছর নতুন এক্সাইটমেন্ট! ভিভো বাংলাদেশের ফ্যামিলির নিউ মেম্বার হিসেবে অ্যাড হতে যাচ্ছে বাজেট ডিভাইস Vivo Y12s
আর আজ আমরা এর ফাস্ট ইম্প্রেশন নিয়ে কথা বলবো তাহলে চলুন সরাসরি মূল টপিকে।
VIVO Y12s Bangla Review Video↙️
সবার কাছে ছোট্ট একটি রিকোয়েস্ট? প্লিজ এই লিংকে ক্লিক করে আমার অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে দিয়েন ????
শুরুতেই জেনে নিই Vivo Y12s এর বক্সে কি কি পাচ্ছি।
ফোনটির প্যাকেজিং আমার কাছে খুবই সিম্পল মনে হয়েছে, বক্সটি ওপেন করলেই পাচ্ছেন একটি মিনি সাইজ এর প্যাকেট।
যার মধ্যে থাকছে ইউজার ম্যানুয়াল ডকুমেন্ট প্রটেক্টিভ কেস আর সব শেষে একটি স্টিকার। এরপর স্মার্টফোনটি থাকছে এবং এর সাথে রয়েছে চার্জিং অ্যাডাপ্টার উইথ মাইক্রো ইউএসবি 2.0 কেবল।
Vivo Y12s এর বিল্ড কোয়ালিটি বেশ সলিড মনে হয়েছে, 2 টি কালারে পাওয়া যাচ্ছে বর্তমানে একটি হলো গ্লেসিয়ার ব্লু আর অন্যটি হলো ব্ল্যাক। দুইটি কালার ই বেশ রিফ্রেশিং।
এছাড়াও নতুন একটি ইন্টারেস্টিং ফিচারস যোগ হয়েছে, যা হচ্ছে সাইড ফিঙ্গারপ্রিন্ট মাউন্ট যার জন্য ব্যবসায়ীদের সম্পূর্ণ ক্লিন একটা লুক পাওয়া যাবে।
এর হ্যান্ড গৃপিং অসাধারণ ছিল এছাড়াও এতে পোর্ট এন্ড বাটন হিসেবে নতুন করে যুক্ত হলো সাইট ফিঙ্গারপ্রিন্ট মাউন্ট যা কিছুক্ষণ আগেই বললাম।
এটি সাধারণত স্কিন অন থাকাকালীন সময়ে ০.২৩ সেকেন্ডে আনলক করে, আরে স্কিন অফ থাকাকালীন সময়ে এটি ১ সেকেন্ড সময় নেয়।
এছাড়া টপ পোরশন একদম ফ্রি থাকছে আর নিচের সাইডে থাকছে ৩.৫ এমএম হেডফোন জ্যাক, micro-usb টু পয়েন্ট ও আর সবশেষে স্পিকার গ্রিল।
VIVO Y12S ফিচারস ৬.৫১ ইন্স এইচডি প্লাস ডিসপ্লে, আর এর পিক্সেল দেন্সিটি ছিলো 720×1600 pixels আর এর এক্সপেক্ট রেশিও ছিল 20:9 ratio (~270 ppi density)
ডিসপ্লের কোয়ালিটি ভালই বলা যায় আর আউটডোরে এর ভিজিবিলিটি মোটামুটি লেভেলের ছিল মানে খুব ভালোও না আবার খুব খারাপ ও না।
VIVO Y12S এর রিয়ার সেন্টেন্স এর উপরেই ক্যামেরা মডিউল এর ক্যামেরা মডিউলে প্রাইমারি ১৩ মেগাপিক্সেল উইথ টু মেগাপিক্সেলের ডেপ সেন্সর, আর সেইসঙ্গে এলইডি ফ্ল্যাশ।
আর ফ্রন্টে থাকছে ৮ মেগা পিক্সেলের সেলফি শুটার।
এতে বেশ কিছু কমন ফিচারস থাকছে যেমন প্র মুড, ম্যাক প্রো, টাইম ল্যাপস, স্লোমো, ইত্যাদি ইত্যাদি।
এছাড়াও এতে ডেইলি ডিপি 1080p তে থার্টি এফ পি এস এ ভিডিও রেকর্ড করতে পারবে।
ম্যাক্সিমাম ব্যবহারকারীরাই বাজেট ডিভাইসে ব্যাপক পরিমাণ গেমিং করতে চান, আর তাদের কথা মাথায় রেখেই VIVO Y12S এ ৫,০০০ মিলি এম্পিয়ার এর ব্যাটারি ইনপুট করা হয়েছে।
এছাড়াও অফিশিয়ালি ক্লেম করা হচ্ছে ১৬.৩ ঘন্টা অনলাইন এইচডি মুভি স্ট্রিমিং ও ৮.৯ ঘন্টা গেমিং করা সম্ভব ননস্টপ ভাবে।
এছাড়াও এতে ১০ ওয়ার্ডের চার্জিং অ্যাডাপ্টার থাকছে, এবং থাকছে রিভার্স চার্জিং এর মত ফিচারস এটার সুবিধা হলো আপনি চাইলে ফোনটি পাওয়ার ব্যাংক হিসাবেও ব্যবহার করতে পারেন।
VIVO Y12S এ ফানটাচ ১১ বেস্ট অন অ্যান্ড্রয়েড ১০ ভিভোর ui এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি লোড ফ্রি আর আর ফোনের সঙ্গে কোন প্রিলোডেড অ্যাপস থাকছে না।
এছাড়াও প্রসেসর হিসেবে থাকছে এবার Mediatek MT6765 Helio P35 (12nm) চিপসেট উইথ PowerVR GE8320
Octa-core (4×2.35 GHz Cortex-A53 & 4×1.8 GHz Cortex-A53)
যারা গেমিং করে থাকেন তারা বেশ স্মুথলি পাবজি এবং ফ্রী ফায়ার এর মত গেম গুলি সহজেই খেলতে পারবেন।
তো সব শেষে Vivo Y12s এর নিয়ে কিছু বললে প্রথমেই বলতে হবে এর প্রিমিয়াম এন্ড হেব্বি বিল্ড কোয়ালিটি নিয়ে, বেশ কয়েকদিন আগে হয়তো আমরা ভাবতেই পারতাম না বাজেট ডিভাইসগুলো এমন প্রিমিয়াম বিল্ড কোয়ালিটির হবে।
আর এই প্রাইস রেঞ্জ এ সাইট মাউন্টেন ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর খুবই ভালো একটা ফিচারস এবং স্টাইলিশ ও এছাড়াও ফোন টিতে বিগার ডিসপ্লে এবং ৫,০০০ মিলি এম্পিয়ার এর ব্যাটারি মিলে দুর্দান্ত কম্বিনেশন।
তাই VIVO Y12S নিয়ে যেকোনো কোশ্চেন থাকলে ঝটপট কমেন্ট করে ফেলুন, আর আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি কথা হবে আবার নতুন কোন পোস্টে ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকবেন অনেক ভালো।